বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে দলের এক রাজ্য কমিটির সদস্য বলেন, লোকসভা ভোটের আগে থেকে দলবদলের এই প্রক্রিয়ায় বহু বেনো জল ঢুকে পড়েছে। অনেকে আবার শক্ত খুঁটি ধরে দিল্লি গিয়ে যোগদান করেছেন। যদিও তাঁদের অধিকাংশের স্থানীয় স্তরে জনভিত্তি নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। যার প্রায় সবক্ষেত্রেই দিলীপ ঘোষ কার্যত অন্ধকারে ছিলেন। বিষয়টি বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যাচ্ছে বুঝে রাশ নিজেদের হাতে রাখতে মাঠে নেমেছে আরএসএস। সংগঠনের প্রাক্তন প্রচারক তথা বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতির মাধ্যমে এই দলবদল প্রক্রিয়ায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রাখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন ওই নেতা। সূত্রের দাবি, তৃণমূলের লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলামের বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই এই বিতর্ক আরও মাথাচাড়া দেয়। মনিরুলকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা আগে থেকে অজানা ছিল দিলীপের কাছে। শেষ মুহূর্তে তিনি জানতে পারেন। ওই সময় দিলীপ ঘোষ দেশের রাজধানীতেই ছিলেন। কিন্তু মনিরুলকে নিয়ে দিলীপের প্রবল আপত্তি ছিল। তাই এই যোগদানপর্বে পাছে হাজির থাকার জন্য ডাক পড়ে। তাই ওইদিন হরিদ্বার চলে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। প্রত্যাশা মতো সেদিন তাঁর কাছে ফোন যায়, কিন্তু অনেক দূরে আছেন বলে কাটিয়ে দেন। এবার সেই কারণে ঠিক হয়েছে, দিলীপ ঘোষের চূড়ান্ত ছাড়পত্র ছাড়া কাউকে বিজেপিতে নেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, পুরসভার কাউন্সিলার বা ছোট পর্যায়ের নেতাদের দিল্লি যাত্রার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এখন থেকে চাইলেই দিল্লি বিজেপির হেড কোয়ার্টারে গিয়ে বিজেপির পতাকা ধরা যাবে না। সংশ্লিষ্ট যোগদান পর্ব হবে জেলায়। বড় মাপের নেতা হলে দিলীপ ঘোষ মনে করলে দিল্লিতে যোগদান হতে পারে।