গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
২০১৯ সালে ভোটের আগে ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্মপার্টিতে নাম লিখিয়েছিলেন অর্জুন সিং। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের বহু নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। অর্জুনের হয়ে প্রচারেও এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ভোটের ফলপ্রকাশের পর একাধিক বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় নৈহাটি পুরসভায়। ঘরছাড়া হন রাজ্যের শাসকদলের বহু কর্মী। এমনকী আক্রান্ত হয়েছিলেন নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়।
শুধু নৈহাটি নয় ভাটপাড়া, জগদ্দল, বারাকপুর, টিটাগড় সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় সন্ত্রাসের আবহ তৈরি হয়েছিল। সেই অশান্তি আর দেখতে চান না বারাকপুরবাসী। এদিন নৈহাটির চায়ের দোকানে এক প্রবীণ বললেন, সেই সময় দোকান, স্কুল-কলেজ দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। কাঁকিনাড়া বাজার তিন মাস বন্ধ ছিল। আতঙ্কের পরিবেশ ছিল গোটা এলাকায়।
২০২২ সালে তৃণমূলে ফিরে আসেন অর্জুন সিং। কিন্তু তৃণমূল কথা রাখেনি, এই অভিযোগ তুলে শুক্রবার দিল্লিতে গিয়ে ফের বিজেপির হাত ধরেন তিনি। এরপরই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন বিজেপি কর্মীরা। অর্জুন পার্থর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন নৈহাটিবাসী। নৈহাটির পুর চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত লোকসভা ভোটের পর শুধু আমাকে মারধর নয়, আমাদের দলের কর্মীদের বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ, আক্রমণ করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে এই নৈহাটিতে তৃণমূল জিতলেও বিরোধী দলের কাউকেই আক্রান্ত হতে হয়নি।
অর্জুন সিংয়ের বক্তব্য, ২০১৯ সালের ভোটে গোলমাল করেছিল তৃণমূল। তারা এখন কাউন্সিলার বা চেয়ারম্যান। মানুষ সেই সময় প্রতিবাদ করেছেন। বর্তমানে বিজেপি কর্মীরা প্রতিটি এলাকায় জোটবদ্ধ হয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন। কাঁচরাপাড়ায় দেওয়াল লিখতে গিয়ে বিজেপির এক কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। তৃণমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। কিন্তু তাতে লাভ হবে না। মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।