গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন বেলা ১টা ১০ মিনিটে আচমকা আগুন লাগে ঢাকুরিয়া স্টেশন সংলগ্ন বস্তিতে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, একটি ঝুপড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে এই বিপত্তি। গায়ে গায়ে লাগানো একের পর এক দোতলা কাঁচা-পাকা ঘরে সহজেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের
সাতটি ইঞ্জিন। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে এলেও প্রাথমিকভাবে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় দমকলকে। স্টেশন লাগোয়া বাবুবাগান রোডে গাড়ি দাঁড় করিয়ে পাইপ টেনে নিয়ে গিয়ে আগুন নেভাতে কালঘাম ছুটেছে দমকল কর্মীদের। তবে, দমকল আসার আগে স্থানীয় বাসিন্দা বাপি, মধু, জগা, নেপালরাই আগুন নেভানোর কাজ চালান।
প্রত্যক্ষদর্শী বাপি গাইন বলেন, ঘরে ছোট গ্যাস ছিল। সেটাই কোনওভাবে ফেটে গিয়েছে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আগুন থেকে কোনওকিছুই বের করা যায়নি। মেয়ের বিয়ের জন্য গয়না তৈরি করেছিলেন নস্কর দম্পতি। ঘটনাস্থলে বসে হাউহাউ করে কাঁদছেন তাঁরা। স্ত্রী মলিনার কথায়, দুমদাম কিছু ফাটার শব্দ পেয়ে ছুটে আসি।
ঘরের সামনে গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। সেটা সরিয়ে ফেলি। বাকি আর কিছুই বাঁচানো যায়নি। স্বামী গঙ্গা বলেন, গয়নার বাক্স আর টাকাগুলি বের করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পারিনি। সোনার হার, কানের দুল, চারগাছা চুড়ি সহ নগদ প্রায় তিন লক্ষ টাকা পুড়ে শেষ হয়ে গিয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ঘটনার সময় সকলেই বাইরে ছিলেন। ফলে, বড় ধরনের বিপদ এড়ানো গিয়েছে। কেউ হতাহত হননি।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বালিগঞ্জ-যাদবপুর লাইনের রেল পরিষেবা। জানা গিয়েছে, বেলা ১টা ১৫ থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। রেলের দাবি, ২টো বেজে ২৬ মিনিটে আপ ও ডাউন লাইনের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এই ঘটনায় ১০টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়। বারুইপুরের বাসিন্দা গোবিন্দ প্রামাণিক, নামখানার শ্যামলী বসাক সকলেই কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ভোগের শিকার হন। আবার, যাদবপুরের বাসিন্দা কৌশিক লোহার কিংবা গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনে পড়তে যাওয়া সুদীপ্ত সাহা, শৌভিক সরকারকে রেললাইন ধরে হেঁটেই গন্তব্যে পৌঁছতে দেখা গিয়েছে।