সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে উলুবেড়িয়া ২ ব্লকের তেহট্ট কাঁটাবেড়িয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে নিয়েছিল আইএসএফ এবং কংগ্রেস জোট। এবার লোকসভা নির্বাচনে এই গ্রাম পঞ্চায়েতে হারানো জমি আবার ফিরে পেতে উদ্যোগী তৃণমূল কংগ্রেস। সেই লক্ষ্যে বুধবার তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদ তেহট্ট কাঁটাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জনসংযোগ করেন। পাশাপাশি কর্মীদের নিয়ে বৈঠকও করেন। এদিনের বৈঠকে তৃণমূল কর্মীদের আরও বেশি করে মানুষের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার কথাও তুলে ধরতে বলা হয়। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে কী হয়েছিল ভুলে যান। আগের লোকসভা নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনেও কাঁটাবেড়িয়ার বাসিন্দারা তৃণমূলের পাশেই থাকবে।
এদিকে, কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো লোকসভা নির্বাচনেও এই গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে লিড পাবে তারাই। পঞ্চায়েত ভোটে তেহট্ট কাঁটাবেড়িয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল সাতটি আসন। আইএসএফ ছ’টি, কংগ্রেস দু’টি, এবং নির্দল দু’টি আসনে জয়লাভ করে। আইএসএফ এবং কংগ্রেস জোট গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে। আইএসএফ থেকে প্রধান এবং কংগ্রেস থেকে উপপ্রধান নির্বাচিত হন। যদিও, এখনও পর্যন্ত উলুবেড়িয়া আসনে বাম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেনি। ফলে জোট নিয়ে এখনও ধোঁয়াশাও কাটেনি। তবে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য তাপস কোদালি জানান, এই গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে এবারের ভোটেও আমাদের লিড থাকবে।
কংগ্রেস নেতার এই বক্তব্য অবশ্য মানতে রাজি নন রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায়। তিনি বলেন, আগে ওরা ঠিক করুক প্রার্থী কে হবেন। তারপরে লিড নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে। আর বিগত লোকসভা নির্বাচনের মতো এবারেও এই গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই থাকবেন। উল্লেখ্য, এদিন শ্যামপুরে নির্বাচনী প্রচার করেন বিজেপি প্রার্থী অরুণউদয় পালচৌধুরী।