সংবাদদাতা, বারুইপুর: লোকসভা ভোটে ইতিমধ্যে জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীরা। এই অবস্থায় জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী নিয়ে এখনও বাম, কংগ্রেসের মধ্যে চলছে টানাপোড়েন। যদিও আইএসএফ প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বুধবার থেকে তিনি প্রচারও শুরু করেছেন। এদিন তিনি জয়নগর ২ ব্লক এলাকায় প্রচারে যান। তবে তাঁর সঙ্গে হাতেগোনা কয়েকজন সমর্থক ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।  এই আসনে গত লোকসভা ভোটে আরএসপি প্রার্থী হিসেবে প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ নস্কর লড়েছিলেন। এবারও বাম নেতৃত্ব আসনটি শরিক আরএসপিকেই দিতে চেয়েছিল। প্রার্থীর নামও ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আইএসএফের পক্ষ থেকে আচমকা এই কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেওয়া হয়। আইএসএফ প্রার্থী দেওয়ায় বাম নেতৃত্ব পড়েছে বিপাকে। তারা আইএসএফকেই সমর্থন করবে কি না, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্ব এই কেন্দ্রে আবার বামের সঙ্গে জোট করে লড়তে চাইলেও আইএসএফকে সমর্থন করতে চাইছে না। এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কংগ্রেস নেতা জয়ন্ত দাস বলেন, আইএসএফের সঙ্গে কোনও জোটে যাবে না কংগ্রেস। বাম দলের প্রার্থীকে সমর্থন করা হবে। তবে কোনও কেন্দ্রে বাম প্রার্থী না থাকলে কংগ্রেস কাকে সমর্থন করবে, সেই বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
এই লোকসভা কেন্দ্রে আইএসএফ প্রার্থী করেছে ৬৭ বছরের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মেঘনাদ হালদারকে। তিনি সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা। মেঘনাদবাবু বলেন, বামেদের সঙ্গে জোট হয়নি আমাদের। কিন্তু তাঁরা ভিতর থেকেই আমাদের সমর্থন করবে বলে মনে হয়। আর কংগ্রেস কাকে সমর্থন করবে, সেটা তাঁদের ব্যাপার। ওদের সঙ্গে জোট নেই। বাম সূত্রে খবর, বাম নেতৃত্বের সঙ্গে আইএসএফের বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, জয়নগর লোকসভা কেন্দ্র আইএসএফ প্রার্থী চূড়ান্ত হলে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ঘোষিত আইএসএফ প্রার্থী তুলে নিতে হবে। সেই জায়গায় বামেরা ওই কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে। কিন্তু আইএসএফ এই রফা মানতে চাইছে না। তাই জট থেকেই যাচ্ছে।
এই অবস্থায়, জয়নগর কেন্দ্রে কংগ্রেস ও বামেদের সমর্থন এখন কোনও দিকে যায়, সেটাই দেখার। এক বাম নেতা বলেন, আইএসএফের জয়নগরের ব্লক এলাকায় ভোট ব্যাঙ্ক থাকলেও অন্য বিধানসভায় নেই। পাশাপাশি, তাঁদের প্রবীণ প্রার্থীকে সমর্থন করা নিয়ে কর্মীরাও অস্বস্তিতে।