গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় নিজস্ব তদন্ত কমিটি গড়েছে কলকাতা পুরসভা। তারা বাড়ি ভাঙার কারণ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে। সূত্রের খবর, ভেঙে পড়া নির্মাণের জমিতে প্রায় ১০ ফুট বাই ১০ ফুট জমিতে বোরিং বা গর্ত করতে হবে। তারপর সেখান থেকে মাটির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে হবে। কিন্তু ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে গর্ত খোঁড়ার পর্যাপ্ত জমি বার করতেই কালঘাম ছুটছে পুরকর্মীদের। কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী শুক্র বা শনিবার গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু করা যাবে। এদিকে, বুধবার থেকে ঘটনাস্থল লাগোয়া আরও দু’টি বেআইনি বাড়ি ভেঙে ফেলার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুরসভার তদন্তকারী দল। ঘুরে এসেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল এবং স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতিনিধি দলও। তারা জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে জায়গাটি খালি না করা গেলে মাটি পরীক্ষা সম্ভব নয়। তদন্তকারী দলের এক সদস্যের কথায়, ‘ওখানে জমি ও মাটির প্রকৃতি কেমন, তা জানার জন্য অনেকটা গর্ত করতে হবে। নরম মাটির তলায় কোথায় বালির (শক্ত) স্তর রয়েছে, বোরিং করে সেখানে পৌঁছনো দরকার। তাহলে বোঝা যাবে, ওখানে একটি বাড়ি নির্মাণ করতে কতটা নীচ পর্যন্ত ভিত দেওয়া প্রয়োজন।’ ওই সদস্য আরও বলেন, ‘নরম মাটিতে ভিত তৈরি করা যায় না। যতক্ষণ পর্যন্ত বালির স্তর না মিলছে, ততক্ষণ আমাদের খোঁড়াখুঁড়ি চালাতে হবে। তারপর বোঝা যাবে, ভেঙে পড়া পাঁচতলা নির্মাণের ভিত কতটা করা উচিত ছিল।’ প্রাথমিকভাবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ওই এলাকার জমির যা ধরন, তাতে প্রায় ৩০ মিটার (৬০ ফুট) পর্যন্ত গর্ত করতে হতে পারে। ঘিঞ্জি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এও এক চ্যালেঞ্জ! সেই সঙ্গে নির্মাণ সামগ্রীর মান বুঝতে ছাদের প্রায় চার ফুট বাই চার ফুট চাঙড় ও কলামের খানিকটা অংশ সংগ্রহ করবেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা।
বুধবার জানা যায়, ঘটনাস্থলের পাশে থাকা গার্ডেনরিচ মুদিয়ালি স্কুলটি ভেঙে ফেলা হবে। নতুন স্কুল বানিয়ে দেবে সরকার। এদিন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু একটি বৈঠক করেন। তারপর মেয়র বলেন, ‘আপাতত পড়ুয়াদের পাশের স্কুলে সরানো হবে। নতুন স্কুল নির্মাণের জন্য শিক্ষাদপ্তর টাকা দেবে।’