হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
এদিন তিনটে দলে ভাগ হয়ে জেলার তিন প্রান্তে যান স্বাস্থ্যভবনের জনস্বাস্থ্য বিভাগের পদস্থ কর্তারা। খোদ স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী একটি দলের নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি গিয়েছিলেন বনগাঁ ও গাইঘাটায়। অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য) শরদ দ্বিবেদী যান অশোকনগরে। দেগঙ্গায় পরিদর্শনে যান উপসচিব (জনস্বাস্থ্য) রূপম বন্দ্যোপাধ্যায়। সামগ্রিকভাবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার স্বাস্থ্যসংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ের নোডাল অফিসার তথা অন্যতম স্বাস্থ্যসচিব বিনোদ কুমার ছিলেন সামগ্রিক দায়িত্বে। তিনটি দল জেলার তিন জায়গার বিভিন্ন হাসপাতাল সরেজমিনে দেখে, যাবতীয় তথ্য নিয়ে আসে বারাসতে। সেখানে জেলাস্তরের বৈঠকটি হয়। উত্তর ২৪ পরগনা ছাড়াও এদিন স্বাস্থ্যভবনের এক প্রতিনিধিদল ডেঙ্গু পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ছোটে হাওড়ায়। একটি যায় উত্তরবঙ্গে।
এই পরিদর্শন প্রসঙ্গে শনিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়বাবু বলেন, বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে, চিকিৎসক ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলে আমরা বুঝতে পেরেছি, এবার উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হয়েছে। হেমারেজিক ডেঙ্গু এবার তুলনায় খুব কমই হচ্ছে। তবে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও ডাক্তাররা ডেঙ্গু চিকিৎসার আদর্শ নিয়ম মেনে ভালো কাজ করছেন। উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। দপ্তরের কাজ হাতে-কলমে দেখে আমরা সন্তুষ্ট। তবে আত্মবিশ্বাসের জায়গা নেই।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, এবার উত্তর ২৪ পরগনা সহ বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু হেমারেজিক ফিভার যে কম হয়েছে, তা বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্কের তথ্য দেখেও আমরা বুঝেছি। ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক প্লেটলেট রাখা হয়েছে। বহু জায়গাতেই চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি হওয়ায় প্লেটলেট নষ্ট পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এবার শুধুমাত্র হেমারেজিক ফিভার কম হয়েছে বলেই প্লেটলেটও কম লাগছে—এমনটা নয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে প্লেটলেট নিয়ে সচেতনতাও বেড়েছে। তাই ৫০ হাজার কাউন্টেও প্লেটলেট চালানোর বদভ্যাস কমেছে। রোগী ও বাড়ির লোকজনের মধ্যে এই সচেতনতা যেমন বেড়েছে, পিসিভি বা প্যাকড করপাসকুলার ভলিউম-এর মতো জরুরি পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা এখন অনেক বেশি বুঝেছেন জেলার ডাক্তাররা। ডেঙ্গুর সময় শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জল জমছে কি না, এই পরীক্ষার মাধ্যমে জানা সম্ভব। ফলে চিকিৎসায় অনেকটাই সুবিধা হয়। আশঙ্কাজনক রোগীর প্রাণও বাঁচানো যায়।