কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
এদিন দিল্লি থেকে খবর মেলে, সেখানেও সর্বকালীন রেকর্ড গড়েছে সোনার দর। রাজধানীতে সোমবার ১০ গ্রাম পাকা সোনা বিক্রি হয়েছে ৩৮ হাজার ৪৭০ টাকায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববাজারে সোনার দাম তো বাড়ছেই। দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশীয় বাজারেও বাড়ছে চাহিদা। ওই দুই কারণেই কলকাতা ও দিল্লি সহ সর্বত্রই লাফিয়ে চড়ছে সোনার দর। তাঁরা বলছেন, এর মূল কারণ অবশ্যই আমেরিকা ও চীনের মধ্যে ব্যবসায়িক দড়ি টানাটানি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহেই বলে দিয়েছিলেন, চীনের সঙ্গে বোঝাপড়ায় তিনি প্রস্তুত নন। এরপর আর বিনিয়োগ নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বিনিয়োগকারীরা। সোনার দাম চড়লেও সেই ধাতুটির উপরই আস্থা রাখছেন বিনিয়োগকারীরা। অন্যদিকে, ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলও জানিয়ে দিয়েছে, দাম বৃদ্ধি সত্ত্বেও সোনার বিক্রি বাড়ছে দেশে।
সোমবার কলকাতায় হলমার্কযুক্ত গয়না সোনার দর যায় প্রতি ১০ গ্রাম ৩৬ হাজার ৭২৫ টাকা। অথচ পরিস্থিতি গত মাসেও এতটা সঙ্কটময় ছিল না। দিন পনেরো আগেও ওই সোনার দাম ছিল ৩৪ হাজার টাকার সামান্য বেশি। প্রায় একমাস আগে ৯ জুলাই কলকাতায় পাকা সোনা, অর্থাৎ ২৪ ক্যারেট সোনার দর গিয়েছিল প্রতি ১০ গ্রাম ৩৪ হাজার ৬৮৫ টাকা। সেই সময় ওটাই ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু এরপরও লাফিয়ে লাফিয়ে চড়েছে দর। প্রায় এক মাসের তফাতে সেই পাকা সোনা ৩৮ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ায় চিন্তিত সাধারণ মানুষ। লগনসায় কী করে বাজেটের মধ্যে বিয়ের কেনাকাটা সারা যাবে, তা নিয়ে চিন্তিত কন্যার পিতারা।
সোনার দর বৃদ্ধি নিয়ে কতটা বিপাকে পড়তে পারে ব্যবসা? ব্যবসায়ীরাও অবশ্য এর ভালো ও খারাপ— দু’টি দিকই দেখছেন। ভালো দিকটি হল, সোনা যতটা অলঙ্কার হিসেবে আদর পায়, ততটাই বিনিয়োগ হিসেবে গুরুত্ব পায়। দাম একটু বাড়লে সাধারণ মানুষ আশ্বস্ত হন, এর বাজার ভালো যাচ্ছে। এতে ক্রেতারা উৎসাহিত হন। তাঁরা ভাবেন, আগেভাগে কিনলে ঠকবেন না। কারণ আরও দাম বাড়লে আখেরে তাঁদের লাভ হবে, এই মানসিকতা কাজ করে। আবার এর বিপরীত দিকটিও আছে। বাজারে নগদের অভাব ভীষণভাবে। তাই শুধু সোনা নয়, কোনও শিল্পই ভালো ফল করছে না। বেশিরভাগ পণ্যেরই বাজার ভালো যাচ্ছে না। গোটা অর্থনীতিই যদি নষ্ট হয়, তাহলে সোনার বাজার একা টিকে থাকবে, এটা হয় না, মনে করছেন অনেকে। তবে তাঁদের আশা, সরকার এমন কিছু পদক্ষেপ করবে, যাতে বাজারে নগদ জোগান বাড়ে, সর্বস্তরের ক্রেতারা বাজারমুখী হন। তাহলে সবার মঙ্গল।