বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
এদিন সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন বাউড়িয়ার শহিদ পরিবারের বাড়িতে। সকালেই তাঁর বাড়িতে পৌঁছন রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়, বিধায়ক পুলক রায়, রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। তখনই দিল্লি থেকে বিধায়ক পুলক রায়ের মোবাইলে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বাবলুবাবুর মা বনলতাদেবীর সঙ্গে প্রায় চার মিনিট কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি পরিবারের পাশে রাজ্য সরকার যে আছে, সেই কথাও জানিয়ে দেন। বনলতাদেবী মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, জঙ্গিদের কঠোর শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত বাবলুর আত্মা শান্তি পাবে না।
বুধবার সকালেই স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছিল বাবলুবাবুর। তখন তিনি বলেছিলেন ৩ মার্চ বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু, বৃহস্পতিবার রাতে এই ভয়াবহ খবর জানার পর থেকেই স্ত্রী কার্যত বাকরুদ্ধ। কারও সঙ্গে কথা বলেননি। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই মেয়েকে জড়িয়ে নিঃশব্দে কেঁদে যাচ্ছেন। সাত বছরের ছোট্ট মেয়ে পিয়ালও হতবাক হয়ে মাকে আঁকড়ে রয়েছে। এদিন হাওড়া (গ্রামীণ) পুলিসের কর্তারা বাবলুর মা ও স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। পুলিসের একটি বড় দল তাঁর বাড়ির সামনে মোতায়েনও করা হয়।
শহিদ সুদীপের মা মমতাদেবী বলেন, হাঁসপুকুরিয়া বিদ্যাপীঠ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর ছেলে চাকরি পায়। ও চাকরি পাওয়ার পর পাকা বাড়ি হচ্ছে, তা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এবার যাওয়ার সময় বলেছিল, আমি টাকা পাঠাব, ঘরের কাজ শেষ করে বিয়ের জন্য মেয়ে দেখে রেখো। ছুটিতে এসে বিয়ে করব। তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল। তিনি আরও বলেন, আমি জিলিপি খেতে ভালোবাসি। প্রতিবার ফোনে বলত, তোমার জন্য জিলিপি আর বাবার জন্য মিষ্টি নিয়ে যাব। প্রতি ছুটিতে বাড়ি ফেরার সময় বাসস্টপ থেকে ওর বাবা বাড়ি নিয়ে আসত।
কার্যত কথা বলার শক্তি হারিয়েছেন বাবা সন্ন্যাসী বিশ্বাস। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যকে হারিয়ে দিশাহারা গোটা পরিবার। এই খবর শোনার পরই হাঁসপুকুরিয়ার বাড়িতে ভিড় করেন প্রতিবেশীরা। বীর ভূমিপুত্রের মৃত্যুতে গ্রামের সকলেরই সমবেত আর্তি— এই নৃশংসতার বদলা চাই। সুদীপের ভগ্নিপতি সমাপ্তবাবু বলেন, আমাকে রাত ৩টে নাগাদ বলা হয় সুদীপ জখম। এদিন সকালে আবার ফোন করে জানানো হয় যে সুদীপ শহিদ হয়েছে।