আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরশুড়া ব্লকের পুরশুড়া, পশ্চিমপাড়া, জঙ্গলপাড়া, হাটি এলাকার চাষিরা দীর্ঘদিন ধরে বাদাম চাষের সঙ্গে যুক্ত। খানাকুলের তাঁতিশাল, অরুণ্ডা, আরামবাগের আরাণ্ডি, সালেপুর, মানিকপাট ও গোঘাটের সাওড়া, বালি ও আরামবাগ শহর লাগোয় বেশ কিছু এলাকায় সব্জি চাষের পাশাপাশি বড় অংশের চাষিরা বাদাম চাষের উপর নির্ভরশীল।
আরামবাগের মানিকপাঠ এলাকায় দ্বারকেশ্বর নদের বাঁধের বেশ কয়েক বিঘা জমিতে বাদাম বীজ চাষ করেন স্থানীয় বাসিন্দা উত্তম মালিক, দেবু সাঁতরা, হেমন্ত দাসরা। তাঁরা বলেন, দুর্গাপুজোর পরেই শীতকালীন বাদাম চাষ শুরু হবে। এখন সেই বাদাম বীজ চাষ করছি। জুলাইয়ের শেষে চাষ শুরু হয়েছিল। চাষের জন্য সময় লাগে প্রায় আড়াই মাস। এই বীজ থেকে পরবর্তী চাষের ফলন বাড়াতে সার দেওয়া হয়েছে। বর্ষার জল জমলেও এই চাষের কোনও ক্ষতি হয় না। এবছর বাজারে বাদাম বীজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই বীজ পাইকারি ৭০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে। অনেক ব্যবসায়ী ইতিমধ্যে জমিতে এসে ফলন দেখে বীজ বুকিং করে যাচ্ছেন। এক বিঘা জমিতে সব মিলিয়ে চাষের খরচ হচ্ছে প্রায় আট হাজার টাকা। মহকুমা কৃষিদপ্তরের কর্তাদের দাবি, মহকুমাজুড়ে বাদাম চাষ অর্থকরী ফসল হিসেবে জনপ্রিয় হয়েছে। বর্ষাতেও বাদাম বীজ চাষ করে চাষিরা ধানের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন। নিজস্ব চিত্র