গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
দিলীপবাবু আরও বলেন, কেউ নাগরিকত্ব আগে দিতে পারেনি। আপনাদের তা পাওয়ার অধিকার আছে। মোদি যা বলেন সেটাই করেন। তৃণমূল ভেবেছিল সিএএ আটকে দেবে। ফর্ম ফিলআপ করতে দেবে না। সেকারণে মেদিজি অনলাইনে ফর্ম ফিলাপের ব্যবস্থা করেছেন।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবু টুডু বলেন, বিজেপি নেতারা সবসময় ভাঁওতা দেয়। এবারও তাই করছে। কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য বিভিন্ন নথি জমা করার জন্য বলেছে। তা অনেকেরই কাছে নেই। দিলীপবাবু এখন ভোট পাওয়ার জন্য মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। মতুয়াদের সঙ্গে ওরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এর জবাব ওরা নির্বাচনে পাবে।
দিলীপবাবু বলেন, ওপার বাংলা থেকে অনেকেই বহু বছর আগে এখানে এসেছেন। কোনও কেস হলে তাঁরা নাগরিকত্বের প্রমাণ এতদিন দেখাতে পারতেন না। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, পূর্ব বর্ধমানে মতুয়া ভোটের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। ২০১৯সালের লোকসভা নির্বাচনে মতুয়াদের বড় অংশ বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। বিভিন্ন বুথের রিপোর্ট সেটাই প্রমাণ করে। কিন্তু শর্তসাপেক্ষ সিএএ কার্যকর হওয়ার পর তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। সেকারণে বিজেপি নেতারা বিভিন্ন ধরনের আশ্বাস দিচ্ছেন। তবে তা কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
মতুয়া সংগঠনের নেতা বাসুদেব যশ বলেন, বিনা শর্তে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দিতে হবে। কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো যাবে না। প্রাণ রক্ষা করার জন্য সেইসময় অনেকেই সব কিছু ছেড়ে এদেশে চলে এসেছিলেন। তাঁরা কোনও নথি আনতে পারেননি। এখন সেই সব নথি দেখানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের শর্ত মানলে অধিকাংশ পরিবারই নাগরিকত্ব পাবে না। এতদিন বহু পরিবার বিজেপিকে ভোট দিয়ে এসেছে। এখন তারা আক্ষেপ করছে। মতুয়াদের ক্ষোভ ভোটব্যাঙ্কেও পড়তে পারে, বুঝেই দিলীপবাবু নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে আইন সরলীকরণের আশ্বাস দিচ্ছেন। কিন্তু দিলীপবাবুর কথায় নাগরিকত্ব আইন তো বদলাবে না। সবটাই ধাপ্পা।