গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত ২৫ মার্চ সোমবার ছিল দোল উৎসব তথা গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আবির্ভাব তিথি। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে নবদ্বীপের বিভিন্ন মঠ মন্দিরগুলিতে দেশবিদেশের বহু মানুষই ভিড় করেছিলেন। সেই সব মানুষকে কমবেশি পরিষেবা দিতে দেখা যায় সব রাজনৈতিক দলের কর্মীদের। তবে সব দলকে ছাপিয়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
বিজেপির নবদ্বীপ বিধানসভার জয়েন্ট কনভেনার জীবনকৃষ্ণ সেন বলেন, দোলের সময় অনেক জায়গায় ক্যাম্প হয়েছিল। তীর্থযাত্রী, দর্শনার্থীদের আমরা যতটা পেরেছি সহযোগিতা করেছি। এখন আমাদের প্রতিটা মণ্ডলের সাংগঠনিক মিটিং করছি। বুধবার আমাদের পাঁচটা মণ্ডলে মিটিং আছে। এর পরেই আমরা বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করব। পথসভা করা হবে। তবে বেশি দেওয়াল লিখন আমরা করব না। ফ্লেক্স, ব্যানারের মাধ্যমেই প্রচার করব। প্রচারে রাজ্য সরকারের চরম দুর্নীতি, কেন্দ্র সরকারের সাফল্য তুলে ধরব।
এদিন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী প্রচারে বের হন। সকালে নবদ্বীপ বিধানসভা এলাকায় ফকিরডাঙা-ঘোলাপাড়া, দুপুরে ভালুকা, জোয়ানিয়া পঞ্চায়েত এলাকা এবং বিকেলে নবদ্বীপে প্রচার এবং সভা করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা, পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা এবং নবদ্বীপ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কল্লোল কর। প্রচারে বেরিয়ে মুকুটমণি অধিকারী নবদ্বীপ কোলেরডাঙা শ্রীচৈতন্য সারস্বত মঠের (জল মন্দির) বৈষ্ণবসাগর মহারাজ ও অনন্তকৃষ্ণ দাসের চিকিৎসা করেন। মুকুটমণি বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবার অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি গ্রামের ছেলে। এখন গ্রামেই থাকি। বিগত দিনে সাংসদ জগন্নাথ সরকার তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের মানুষের জন্য কিছুই করেননি। রানাঘাট লোকসভার সঙ্গে সঙ্গে নবদ্বীপবাসীকে বিশেষ করে তিনি ঠকিয়েছেন। তিনি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তিনি নবদ্বীপবাসীর জন্য কী কাজ করেছেন শ্বেতপত্রে তার উল্লেখ নেই।
নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, নবদ্বীপ শহরে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এত বড় উৎসব গেল, দেশ বিদেশ থেকে লক্ষাধিক মানুষ এখানে এসেছিল। এইসব মানুষের জন্য আমরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্যশিবির থেকে শুরু করে প্রসাদের আয়োজন করেছিলাম। এখন আমাদের মূলত প্রচারে তুলে ধরা হচ্ছে মা মাটি মানুষ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন।