গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ সকালে এলাকার বাসিন্দা সুদের কারবারি শম্ভুর বাড়ির সামনে থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বছর ছাব্বিশের যুবক পবিত্রকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এরপরেই উত্তেজিত জনতা শম্ভুর বাড়ি ভাঙচুর চালায়। বাড়ির সামনে থাকা একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্রের খবর, সেই রাতে বচসা থেকে শম্ভুর সঙ্গে পবিত্রর হাতাহাতি হয়। তারপরই হাতের কাছে থাকা একটি বেসবলের ব্যাট দিয়ে পবিত্রকে মারা হয়। কিন্তু কেন খুন? জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শম্ভু বন্ধকী কারবার করত। চড়া সুদে টাকা দিত। এমনকী, ৩০ শতাংশ হারেও সে টাকা খাটাত বলে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ। কেউ সুদের টাকা দিতে না পারলেই অত্যাচার করা হতো। অভিযোগ এলাকায় তার প্রভাব থাকায় অবৈধ কারবারের চক্র চালালেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পেত না। কিন্তু পবিত্র খুন হওয়ায় এলাকাবাসীর ক্ষোভ আছড়ে পড়ে। খুনের কারণ হিসেবে আরও একটি বিষয় সামনে এসেছে। শম্ভুর ছেলের বন্ধু ছিলেন পবিত্র। শম্ভুদের বাড়িতে পবিত্রর যাতায়াত ছিল। সেই সূত্রে সম্পর্কের টানাপোড়েনে খুন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কাঁকসার এসিপি সুমন জয়সওয়াল বলেন, খুনে ব্যবহৃত ব্যাটটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ব্যাট দিয়েই মেরেছে বলে অভিযুক্তরা দেখিয়েছে। ধৃত দম্পতি ছাড়া অন্য কেউ খুনে যুক্ত রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনের কারণ জানতে তদন্ত চলছে। নিজস্ব চিত্র