কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেডের একটা অংশ ভরানোর দায় স্বেচ্ছায় নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বিভিন্ন সভায় গিয়ে জেলা থেকে ছ’লক্ষ মানুষকে ব্রিগেড নিয়ে যাওয়ার দাবি করেছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই জেলাবাসীর আশঙ্কা ছিল ১৯ জানুয়ারি জেলা স্তব্ধ হয়ে পড়বে। তাই এদিনের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছিল জেলাবাসী। এমননিতেই শনিবার অফিস ছুটি। স্কুল কলেজের শিক্ষক অশিক্ষক কর্মীরাও অনেকে ব্রিগেড যাওয়ার নাম করে গৃহবন্দি থাকার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। তাই সকাল থেকে আর পাঁচটা দিনের মতো মানুষজন বাইরে বের হননি। কিন্তু, সকালেই ভুল ভেঙেছে অনেকের। দেখা গিয়েছে, সরকারি বাসের মতো নিয়ম মাফিক বেসরকারি বাসও চলাচল করছে। তাই বেলা বাড়তেই বাসগুলিতেও তুলনায় কম হলেও যাত্রী উঠতে শুরু করে। দোকানপাট, বাজার সবই খোলা ছিল। তবে বিপুল সংখ্যক লোক ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দেওয়ায় বাজারহাট অনেক ফাঁকা ছিল।
সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডের এক যাত্রী দেবেশ দাস বলেন, এদিন আচমকা শ্বশুরমশাই অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরিবার নিয়ে কী করে তাঁকে দেখতে যাব ভেবে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। এখন বাস রয়েছে দেখে স্বস্তি পেলাম।
এদিন এই বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখার ফর্মুলা প্রকাশ্যে আনেন এই জেলার বাস মালিক সমিতির রামপুরহাট শাখার সম্পাদক জামারুল ইসলাম। তিনি বলেন, বেশিরভাগ মানুষই ট্রেনে গিয়েছেন। তবু আমাদের স্ট্যান্ড থেকে ২৮টি বাস নেওয়া হয়েছিল। ১০টি ট্যুরিস্ট ও ১৮টি রুটের বাস পাঠানো হয়েছে। আমাদের এখানে ২৩টি রুট রয়েছে। ১৮টি রুট থেকে একটি করে বাস দেওয়া হয়েছে যাতে সাধারণ মানুষের কোনও অসুবিধা না হয়। সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে প্রায় ৩০টি রুটের বাস চলে। সেখান থেকে ২৫টি রুটের ২৫টি বাসকে ব্রিগেডের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। বোলপুরেরও একইভাবে বাস নেওয়া হয়েছিল সমাবেশের জন্য। যদিও আইএনটিইউসির জেলা সভাপতি মৃণালকান্তি বসু বলেন, বাস চলাচলে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি এটা সত্যি। কিন্তু, লোকল বাসগুলি কি কলকাতা যাওয়া উপযোগী আছে? বেহাল বাসে কি শাসক দলের নেতারা যেত?