গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তৃণমূলের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে ২১১ নম্বর বুথের পঞ্চায়েত সদস্যা মামনি বর্মনের বাড়িতে ঢুকে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। মারধর করা হয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী জগবন্ধু বর্মন, জা জ্যোৎস্না বর্মন ও ভাশুর মদন বর্মনকে। তাঁদের শীতলকুচি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকরা। পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে হামলার সময় প্রদীপ বর্মন নামে এক বিজেপি কর্মী বাসিন্দাদের হাতে আটক হন। সেও আহত অবস্থায় কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন।
বুধবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা মামনি বর্মন বলেন, রাতে সবাই বাড়িতেই ছিলাম। হঠাৎ বেশ কয়েকটি বাইকে করে একদল দুষ্কৃতী এসে গেট ভেঙে বাড়িতে ঢুকে আমাদের উপর চড়াও হয়। আমার স্বামী, ভাশুর এবং জা’কে ওরা মারধর করে জখম করে। বৃদ্ধ মাকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। আমি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য, তাই ভোটের মুখে গোলমাল পাকাতে ওরা আসে। এর পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে।
যদিও বিষয়টি নিয়ে বিজেপির ৫ নম্বর মণ্ডল সভাপতি পবিত্র অধিকারী বলেন, মঙ্গলবার ডাকঘরা বাজারে আমাদের কর্মীরা মিছিল করেন। সেখান থেকে ফেরার পথে পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়ির সামনে আমাদের কর্মীদের আটকায় তৃণমূলের পোষা দুষ্কৃতীরা। ওরা আমাদের কর্মীদের মারধর করে। এখন আমাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা অভিযোগ করছে তৃণমূলের লোকজন।
তৃণমূলের শীতলকুচি ব্লক সভাপতি তপনকুমার গুহ বলেন, রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে হামলা চালায়। একজনকে গ্রামবাসীরা আটক করেন, সে আবার বিজেপি কর্মী। বেশ কয়েকদিন ধরেই সন্ধ্যার পর বিজেপির কিছু দুষ্কৃতী বাইকে করে গোঁসাইরহাটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যেখানে সেখানে ওরা বোমাবাজি করছে। আমরা বিষয়টি পুলিসের নজরে এনেছি। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত করে সত্য সামনে আনুক। বিজেপির বুথ সভাপতি সুরেন্দ্রনাথ বর্মন জানান, হোলির রাতে কিছু মদ্যপের রং খেলা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। এটাকেই রাজনৈতিক রং দেওয়া হচ্ছে এখন। আমার ঘরের জানালার কাচ ভাঙচুর করেছে তৃণমূল কর্মীরা। পুলিসকে সবটাই জানানো হয়েছে। পুলিস তদন্ত করলে প্রকৃত বিষয়টি সামনে আসবে।
শীতলকুচি থানার ওসি এন্থনি হোড়ো বলেন, মারপিটের একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মনোরঞ্জন বর্মন ও পঙ্কজ বর্মন নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।