গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি রতনকুমার সরকার বলেন, আমাদের সঙ্গে সিপিএমের সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু বামফ্রন্টের সঙ্গে সমঝোতা হয়নি। এই জেলায় আরএসপির সঙ্গে আমাদের কোনওরকম সমঝোতা হয়নি। অন্য জায়গায় ফরওয়ার্ড ব্লক এবং কংগ্রেসও প্রার্থী দিচ্ছে। তাই আমরা বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রেও প্রার্থী দিতে চাই।
রতনের সংযোজন, মহিলা সভানেত্রী সহ আমরা অনেকেই এআইসিসি সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, পশ্চিমবঙ্গের অবজার্ভার সহ আরও অনেক জায়গায় চিঠি দিলাম। আমরা নিশ্চিত, এখানে কংগ্রেস প্রার্থী দিলে একটা ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
তবে এদিনের এই কর্মসূচি নিয়ে রীতিমতো বিব্রত কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী। বলেছেন, এটা দলীয় কর্মসূচি নয়। আমরা আগেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের তরফ থেকে তিনজনের নাম রাজ্যকে পাঠিয়েছি। শাখা সংগঠনের কেউ যদি দু-একজন লোককে নিয়ে নিজের নাম নিজেই পাঠায়, তাহলে কিছু করার নেই।
তাঁর অভিযোগ, আমাকে এদিনের কর্মসূচি নিয়ে কেউ কিছু জানায়নি। জানালেও আমি যেতাম না। এটা হাস্যকর।
এবিষয়ে আরএসপির জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে বামফ্রন্টের আসন নিয়ে আলোচনা চলছে। কংগ্রেস প্রার্থী দিতে চাইলে আমাদের কিছু করার নেই।
লোকসভা ভোটের আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের তরফে শ্রমিক,ছাত্র-যুব মহিলা- সব সংগঠন একত্রিত হয়ে তিনজনের নাম রাজ্যকে পাঠিয়েছে। এদিকে এখনও আসন সমঝোতা হয়নি। তবে আরএসপি থেকে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন জয়দেব সিদ্ধান্ত। তিনি প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেস কোন পথে যাবে, তা এখনও ঠিক করতে পারেনি। এরই মাঝে একদল বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা দলের জেলা সভাপতিকে না জানিয়েই নিজেদের নাম পাঠালেন। যা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে।