গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
অন্যদিকে পুরাতন মালদহ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডে দেওয়াল লিখনে প্রত্যাশিতভাবেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রচারে বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে। সেখানে মাটির লক্ষ্মীর ভাঁড় আঁকা হয়েছে। প্রকল্পের নানা সুবিধার কথা আম জনতাকে জানিয়ে ভোট চাওয়া হচ্ছে। এছাড়া শহরের ৫ এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে দেওয়াল লিখনে বিভিন্ন ছড়ার মাধ্যমে বিজেপিকে কটাক্ষ করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, যদি চাই উন্নয়ন, দিদির সৈনিককেই প্রয়োজন। আবার অনেক জায়গায় তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যর প্রচারের গানও লেখা হয়েছে। সেখানে মোদিকে আক্রমণ করে বলা হয়েছে, আমজনতা দিচ্ছে ডাক, কোথায় গেল ১৫ লাখ। এই বিজেপি আর না, আর না।
এনিয়ে শহরে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। দু’দল একে অপরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। উত্তর মালদহের বিজেপির সম্পাদক স্নেহাংশু ভট্রাচার্য বলেন,অসম এবং মধ্যপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যে সরকার গঠনের আগে বিজেপি যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সব পূরণ করে দিয়েছে। মহিলাদের নানা সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তাই হবে। গত লোকসভা নির্বাচনে আমরা ১৮টি আসন পেয়েছিলাম। বিধানসভায় পরাজিত হলেও বেশিরভাগ আসনে খুব কম মার্জিনে হেরেছিলাম। ২০২৬ সালে আমরা রাজ্যে ক্ষমতায় এলে সব প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে।
জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি শুভময় বসুর মন্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেবেন, তিনি দিয়েছেন। এখন তার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী সহ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অনেক কটূক্তি করেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ৫০০ টাকার জন্য কেউ বিক্রি হবেন না। আমাদের খুব ভালো লাগছে, মমতা দিদির প্রকল্পের প্রচার করতে হচ্ছে। আমরা গর্বিত, বিজেপি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের যত প্রচার করবে, তৃণমূলের ভোট বাড়বে।
জেলা সহ সভাপতির আরও বক্তব্য, দেশের বড় অর্থনীতিবিদরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রশংসা করেছেন। তাঁদের মতে মহিলাদের হাতে টাকা দেওয়া মানে, অর্থনীতি মজবুত করা। নিজস্ব চিত্র।