উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা মোতলেব হুসেন বলেন, সকাল ৯টা নাগাদ হাসপাতালের অউটডোর পরিষেবা চালু হয়। কিন্তু ইন্ডোর পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রসব যন্ত্রণা কিংবা অন্য কোনও সমস্যা নিয়ে গ্রামবাসীদের এখন ১৪ কিমি দূরে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। আমরা হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা চালু রাখতে প্রশাসনকে অনুরোধ জানাচ্ছি। শীঘ্রই তা চালু না হলে আমরা গ্রামবাসীরা আন্দোলনে নামব।
শিবশঙ্করবাবু বলেন, হাসপাতালের সমস্তরকম পরিষেবা দ্রুত চালু করার ব্যপারে পর্যটনমন্ত্রীর কাজে আর্জি রেখেছি। তিনি স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে পরিষেবা সচল করার আশ্বাস দিয়েছেন।
ময়নাগুড়ির বিএমওএইচ লাকি দেওয়ান বলেন, দুপুরের পর থেকে ভূরঙ্গবাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষেবা মিলছে না। কিন্তু সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আউটডোর পরিষেবা চালু থাকছে। সেই সময় কোনও রোগী এলে চিকিৎসকরা তাঁদের দেখছেন। আমাদের ওই হাসপাতালে দু’জন চিকিৎসক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন উচ্চশিক্ষার জন্য ছুটি নিয়ে বাইরে গিয়েছেন। একজন চিকিৎসকের পক্ষে দিনে এবং রাতের পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই ইন্ডোর পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা চিকিৎসক চেয়ে ওপর মহলে আবেদন করেছি। চিকিৎসক এলেই ইন্ডোর পরিষেবা চালু করা হবে।
ধর্মপুরের ভূরঙ্গবাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির ইন্ডোর পরিষেবা নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে বন্ধ হয়ে রয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা প্রথমে ভেবেছিলেন এক-দু’দিন বন্ধ থাকার পর ফের এখানে পরিষেবা চালু হবে। কিন্তু ওই সময় থেকে এখনও পর্যন্ত বিকেলের পর হাসপাতাল বন্ধ করে রাখা হচ্ছে। সন্ধ্যার পর অসুস্থ লোকেরা এখানে চিকিৎসা করাতে এসে হাসপাতাল বন্ধ দেখে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করতে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, ধর্মপুরের ভূরঙ্গবাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে শুধুমাত্র ধর্মপুর গ্রাম পঞ্চায়েতই নয় বার্নিশ, পদমতী-১, পদমতী-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ এসে পরিষেবা নেন। এই হাসপাতালে ১০টি বেড রয়েছে। এখানে প্রসব করানোর ব্যবস্থাও আছে। কিন্তু বিকেলের পর হাসপাতাল বন্ধ থাকায় এখন আর প্রসব করানো হচ্ছে না।