উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
তিনি বলেন, মালদহ ডিস্ট্রিক্ট সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ(এমডিসিসি) ব্যাঙ্কের এনপিএ দ্রুত ৫ শতাংশের নীচে নামাতে হবে। সময় মতো ঋণ পরিশোধ করেন না, এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে হবে। তাঁদের টাকা ঋণ দিলে হবে না। উল্টে ওই টাকা সময়ে ঋণ পরিশোধকারীদের দিতে হবে। যাতে তাঁরা উৎসাহিত হন। এদিনের সভায় জেলাশাসক ছাড়াও মালদহ জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারপার্সন সুমালা আগরওয়াল, ভাইস চেয়ারম্যান অম্লান ভাদুড়ি, সেক্রেটারি সফিকুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সুমালাদেবী বলেন, গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত ব্যাঙ্কের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪২ কোটি টাকা। আমরা গত আট মাসে প্রায় আট কোটি টাকা আদায় করেছি। গত আর্থিক বছরে ব্যাংক ৩ কোটি ৩ লক্ষ টাকা লাভ করেছে। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে মুনাফার পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। আগামী দিনে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে কালিয়াচক-১, ২ ও ৩ ব্লকে সমবায়গুলির আওতায় থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দেড় হাজার মহিলাকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। আগে তাঁরা ওই প্রকল্পের আওতায় ছিলেন না। ইতিমধ্যে জেলার অন্যান্য ব্লক এলাকায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ব্যাঙ্কের এনপিএ প্রায় ৩৪ কোটি টাকা। তা ৭.২৪ শতাংশ। জেলাশাসক এদিন তা কমিয়ে ২থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে আনার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা সেই লক্ষ্যে এগব। পুজোর আগে মালদহ টাউন হলে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের ৬২ তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের হিসাব নিকাশ পেশ করা হয়। সেইসঙ্গে ২০১৯-২০ অর্থ বৎসরের পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়। এদিন আমরা ব্যাঙ্কের তরফ থেকে এক ছাত্র এবং ক্রীড়াবিদকে আর্থিক সাহায্য করি। পাশাপাশি তাঁদের শংসাপত্রও প্রদান করা হয়েছে। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে ওই দু’জনে নিজ নিজ ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছিলেন। তাঁরা যাতে সাফল্য পান, সে জন্যই আমরা তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছি।
অম্লানবাবু বলেন, জেলায় মোট ২০টি সমবায় ব্যাংক এবং ১৬২টি সমবায় সমিতি রয়েছে। সমবায়ের মাধ্যমে জেলায় গত আর্থিক বছরে কৃষি লোন দেওয়া হয়েছে ৯৫ কোটি টাকা। আর স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ঋণ দেওয়া হয়েছে ৪৯ কোটি টাকা। দ্রুত আমরা মালতীপুর, মাধবনগর ও বুলবুলচণ্ডীতে শাখা খুলব। জেলার বেহাল এটিএমগুলি সংস্কার করার পাশাপাশি কালিয়াচক সহ অন্যান্য জায়গায় নতুন এটিএম খোলারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।