উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, ভেটাগুড়িতে ঘাসফুল শিবির তাদের জমি হারিয়েছে। সেই কারণে বারবার ওরা সেখানে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছে। আমরা বোমা, বন্দুকের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। ওরাই এসব করছে। মঙ্গলবার রাতেও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভেটাগুড়িতে বোমা ফাটিয়েছে। ওরা হারানো জমি ফিরে পাওয়ার জন্য এমন কাজ করছে। কিন্তু এভাবে তৃণমূল মানুষের মন জয় করতে পারবে না। ভেটাগুড়িতে সংসদ সদস্যের বাড়ি থাকার কারণে তৃণমূল বারবার ওই জায়গাটিকে অশান্ত করতে চাইছে। মানুষ লোকসভা ভোটে ওদের জবাব দিয়েছে। আগামী দিনের নির্বাচনগুলিতেও ওদের মোক্ষম জবাব দেবে।
দিনহাটার বিধায়ক তৃণমূলের উদয়ন গুহ বলেন, ভেটাগুড়িতে বোম পাওয়া যাচ্ছে বিজেপির ঘর থেকে, আর আমার নেতৃত্বে নাকি এসব হচ্ছে এটা কেমন করে হয়। এটা পুলিস বলতে পারবে।
লোকসভা ভোটের পর থেকেই ভেটাগুড়ি-১ এবং ২ গ্রাম পঞ্চায়েত দখলকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে সংর্ঘষ ও বোমাবাজি চলছে। এই সব ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অনেকে জখম হয়েছেন। দিন কয়েক আগেই ভেটাগুড়ির একটি বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণে বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছিল। কিছুদিন আগে ভেটাগুড়িতেই পুলিসের গাড়িতে বোমা ও গুলি ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। একের পর এক আশান্তির কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বোমাবাজির পর পুলিস ভেটাগুড়ি থেকে কয়েকটি তাজা বোমাও উদ্ধার করেছে। এই সব ঘটনায় বিবদমান দুই রাজনৈতিক দলই একে অপরের উপরে দোষ চাপাচ্ছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে ভেটাগুড়ি-১ এবং ২ গ্রাম পঞ্চায়েত দু’টি তৃণমূল কংগ্রেস দখল করেছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে বিজেপি বিপুল ভোটে জয় লাভ করার পর থেকে জেলাজুড়েই বহু গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করে নেয়। তারমধ্যে ভেটাগুড়ি-১ এবং ২ গ্রাম পঞ্চায়েতও দল বদলের মাধ্যমে বিজেপি দখল করে নিয়েছে। পরবর্তীতে ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতেই একাধিকবার দলবদলের মাধ্যমে পরিবর্তন হয়। এই সব দল বদলকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল, রাজনৈতিক সংঘর্ষ, মারপিট, বোমাবাজির ঘটনা এখন ভেটাগুড়িতে প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিন কয়েক আগেই নিশীথ প্রামাণিকের হাত ধরে ভেটাগুড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত পুনর্দখল করে গেরুয়া বাহিনী। এদিকে ভেটাগুড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত বর্তমানে তৃণমূলের দখলে থাকলেও সেখান থেকে দু’জন সদস্য আবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এরপরেই মঙ্গলবার রাতে আবার ভেটাগুড়িতে বোমা পড়ার ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়ায়।