বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
ব্লকের নিত্যযাত্রীরা বলেন, বাসস্ট্যান্ডটি রোজ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এর পরিকাঠামো বলতে কিছুই নেই। এখানে যাত্রী প্রতীক্ষালয় না থাকায় বাইরে অপেক্ষা করতে হয়। বৃষ্টির দিনে ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে ভিজতে হয়। আবার গরমকালে রোদে পুড়তে হয়। পানীয় জলেরও সুব্যবস্থা নেই, রাতে পর্যাপ্ত আলোর অভাব রয়েছে। এমতাবস্থায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর কাজ করতে বরাদ্দ দিয়েছে। যত তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে ততই নিত্যাযাত্রীরা এর সুবিধা পাবেন।
বামনগোলা ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার বলেন, বাসস্ট্যান্ডটির উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নদপ্তর থেকে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য আমরা ২০ লক্ষ টাকা পেয়েছি। ওই টাকায় বাসস্ট্যান্ডটির মেঝে কংক্রিটের করা হবে। তাছাড়াও বাকি কিছু কাজ ওই টাকায় করা হবে। সেখানে পূর্তদপ্তর যাত্রী প্রতীক্ষালয় বানিয়ে দিচ্ছে। আশা করছি, খুব শীঘ্রই পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ হবে।
পাকুয়াহাট সুকান্ত বাজার মার্কেট বাসস্ট্যান্ড কমিটির সম্পাদক জয়ন্ত সরকার বলেন, বিডিও’র মাধ্যমেই আমরা জানতে পেরেছি বাসস্ট্যান্ডের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ২০ লক্ষ টাকা অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। এতে আমরা খুব খুশি। বৃষ্টি হলে বাসস্ট্যান্ডে এখন কাদা জমে যায়। ওই টাকায় নীচের অংশ পাকা করা হবে শুনেছি। এতে সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে।
বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিজেপি’র উৎপল সরকার বলেন, এখানে বাসস্ট্যান্ড করার জন্য আমরা জেলাশাসকের কাছে প্রস্তাব রেখেছিলাম। এখানে দীর্ঘদিনের দাবি মেনে প্রশাসন বাসস্ট্যান্ড বানিয়েছে। ব্লক অফিস ও পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে বাসস্ট্যান্ডের কাজটা দ্রুততার সঙ্গে হয়েছে।
পাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপি’র সীমা মজুমদার ঘোষ বলেন, বাসস্ট্যান্ড হওয়াতে এখানকার লোকেদের সুবিধা হয়েছে। আমরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বাসস্ট্যান্ড চত্বর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে থাকি। শুনেছি, প্রতীক্ষালয় করা হবে। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূল কংগ্রেসের গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, পাকুয়ার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বাসস্ট্যান্ড হোক। সেটা আমাদের সরকার করে দিয়েছে। ধীরে ধীরে বাসস্ট্যান্ডের পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে। আগামী দিনে আরও উন্নতি হবে।
বছর কয়েক আগে পাকুয়ায় বাসস্ট্যান্ড ছিল না। বাসগুলি রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানো নামানো করত। এতে বাস ধরতে যাত্রীদের দৌড়ঝাঁপ করত হতো। পাকুয়াহাটের বাসস্ট্যান্ডের কাছেই বামনগোলা ব্লক অফিস রয়েছে। ব্লকের বিভিন্ন এলাকার মানুষ ওই অফিসে রোজ আসেন। তাঁরা বাসস্ট্যান্ডে নেমে হেঁটেই ব্লক অফিসে যেতে পারেন। এখান থেকে মালদহের বিভিন্ন এলাকায় বাস চলাচল করে। তাই নিত্যযাত্রীদের ওসব জায়গায় যেতে কোনও অসুবিধা হয় না।