বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) প্রণব ঘোষ বলেন, মৎসজীবীরা সমস্ত নিয়ম মেনে দিঘিগুলিতে মাছ চাষ করার অনুমতি পেয়েছে। কিন্তু তাদের কে বা কারা ভয় দেখিয়ে মাছ চাষ করতে দিচ্ছে না সেই বিষয়টি পুলিসের দেখা উচিত। কেন পুলিস দেখছে না সেই বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার দেবাশিস নন্দী বলেন, বিষয়টি শুনেছি। মৎস্যজীবীদের সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে।
তপনের বিধায়ক তৃণমূলের বাঁচ্চু হাঁসদা বলেন, মৎস্যজীবীদের সমস্যার কথা শুনেছি। তৃণমূলের বড় মাথা বলে কেউ নেই। একজনই মাথা তিনি মুখ্যমন্ত্রী। জেলায় যদি অন্য কোনও মাথা থেকে থাকে সেই বিষয়ে জানা নেই। যে সমস্ত দুষ্কৃতী তৃণমূলের নাম করে মৎস্যজীবীদের ভয় দেখাচ্ছে এতে দলের বদনাম হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসকের পাশাপাশি দলের উপরমহলে কথা বলব। পুলিস কীসের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না তা জানা নেই।
মিরজাপুর আজাদিয়া ফিশ প্রোডাকশন সংঘের সদস্য হুমায়ুন সরকার বলেন, সরকারি নিয়ম মেনে দিঘিতে মাছ চাষ করার অনুমতি আমরা পেয়েছি। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে লক্ষাধিক টাকা দিয়ে দিঘিতে মাছ চাষের অনুমতি পেলেও তৃণমূল আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতীর আতঙ্কে আমরা মাছ চাষ করতে পারছি না। এনিয়ে পুলিসের দ্বারস্থ হলেও তারা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে এনিয়ে কিছু করতে পারবে না। দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়েছে মাছ চাষ করতে গেলে প্রাণে মেরে ফেলবে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি।
তপন থানার গুরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের বাটুরিয়া ও হজরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাসনাহার, মোলকাহারে তিনটি দিঘিতে মাছ চাষের অনুমতি পেয়েছে দু’টি দল। দু’টি দলে প্রায় ৩০ জন সদস্য রয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, অনুমতি পেয়ে দিঘি সংস্কারের জন্য গেলে কিছু দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাদের এলাকাছাড়া করে দেয়। প্রাণ ভয়ে তারা চলে আসেন। মাছ চাষ করতে না পেরে জেলা ভূমিদপ্তর ও পুলিসের কাছে অভিযোগ করেন। তাতেও কোনও কাজ হয় নি। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মাছ করতে না পেরে মৎস্যজীবীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে।