বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (ট্র্যাফিক) গৌরব লাল বলেন, অধিকাংশ বাস বেআইনিভাবে চলছে। এখানকার পারমিট নয় সেগুলিও এখান থেকে চালানো হচ্ছে। বাসের সংখ্যাও দিনে দিনে বাড়ছে। এত বড় বাসগুলি জংশন থেকে ছাড়ায় রোজই ওই এলাকায় যানজট হচ্ছে। আমরা আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরে বার বার জানিয়েছি। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলাশাসককেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কিছুই হচ্ছে না।
শিলিগুড়ির সহকারী আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক মিল্টন দাস বলেন, কিছু অভিযোগ আমাদের নজরে আসার পরে তল্লাশি হয়েছে। তিনটি বাস ধরা হয়েছে, যাদের কোনও পারমিট ছিল না। অথচ এখান থেকে চালানো হচ্ছিল। পুরোপুরি বেআইনি। আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছি। রোজই শহরের প্রাণকেন্দ্র শিলিগুড়ি জংশন এলাকা থেকে নতুন নতুন দূরপাল্লার বাস রাস্তায় নামছে। অথচ আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের কাছে ঠিক কতগুলি দূরপাল্লার বাস রাস্তায় চলছে তার রেকর্ড নেই বলে অভিযোগ। আঞ্চলিক সহকারী পরিবহণ আধিকারিক বলেন, কত বাস চলছে তা বলতে পারব না। অভিযোগ পৌঁছেছে শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক সিরাজ দানেশ্বরের কাছে। মহকুমা শাসক বলেন, বেআইনিভাবে গাড়িগুলিকে চলতে দেওয়া যাবে না। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের সঙ্গে কথা বলব।
দূরপাল্লার বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠন শিলিগুড়ি বাস ওনার্স বুকিং অ্যান্ড এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ভরত কুমার চৌধুরী স্পষ্টই স্বীকার করেন অধিকাংশ বাস বেআইনিভাবে চলছে। তিনি বলেন, অনেক বাসের পারমিটই নেই। সেই বাসও চলছে। আবার কিছু বাসের পারমিট জয়গাঁ, আলিপুরদুয়ার কিংবা কোচবিহার হলেও সেগুলি শিলিগুড়ি থেকে চলছে। কারণ এখান থেকে যাত্রী হয়। কোচবিহার কিংবা আলিপুরদুয়ার থেকে যাত্রী পাওয়া যায় না। আমরা বাস মালিকদের অনেকবার সতর্ক করেছি। কিন্তু তারা শুনছেন না। এটা ট্রাফিক পুলিস, পরিবহণ দপ্তর না দেখলে আমাদের তো কিছু করার নেই।
অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি জংশন এলাকা থেকে রোজ অন্তত ১০০ টি দূরপাল্লার বাস চলাচল করে। মূলত কলকাতা, খড়গপুর, বর্ধমান ছাড়াও প্রতিবেশী দুই রাজ্য অসম ও বিহারের মধ্যে এই বাসগুলি বেশি চলে। এখান থেকে গুয়াহাটি, শিলিং থেকে রাঁচি, দেওঘর, থেকে পূর্ণিয়া, পাটনা, মজফ্ফরপুর থেকে বেগুসরাই রুটেও বহু বাস চলে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে এই দূর পাল্লার বাসগুলি চলতে শুরু করে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলে। বাসগুলি ছাড়ার অন্তত দেড়-দু’ঘণ্টা আগে থেকে সেগুলিতে মালপত্র লোড করা হয়। তোলা হয় যাত্রী। আর এর ফলে দিন থেকে রাত সারাদিনই জংশন এলাকার যানজট লেগে থাকে।