কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
২০১২ সালে সরকারি গ্রন্থাগার ও সরকার পোষিত গ্রন্থাগারগুলিতে বর্তমান, আনন্দবাজার পত্রিকা, দ্য টেলিগ্রাফ রাখা যাবে না বলে রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করেছিল। সেই নির্দেশিকা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। সরকার নির্দেশিত ৮টি সংবাদপত্র রাখতে বলা হয়। সেই তালিকায় দু’টি উর্দু সংবাদপত্র সহ বহুল প্রচারিত নয় এমন সংবাদপত্রের নামও রাখা হয়েছিল। ২০১২ সালের ১ এপ্রিল থেকে রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলিতে বর্তমান পত্রিকা রাখা বন্ধ হয়ে যায়।
গত ১৪ নভেম্বর কলকাতায় গ্রন্থাগার দপ্তরের সচিব প্রতিটি জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নতুন নির্দেশিকা দ্রুত কার্যকর করতে। গ্রন্থাগার দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সরকারি টাকায় কিনে কোনও রাজনৈতিক দলের মুখপত্র রাখা যাবে না। সূত্রের খবর, গণশক্তি বা জাগো বাংলা কিনে রাখা যাবে না। কিন্তু, কেউ যদি ফ্রি দেন? তাহলেও কি রাখা যাবে না? তার কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা নেই। অর্থাৎ জাগো বাংলা কেউ ফ্রিতে দিলে গ্রন্থাগারে রাখতে আইনি জটিলতা নেই। ২০১২ সালের আগে রাজ্যের বেশ কিছু গ্রন্থাগার কিনে গণশক্তি রাখত। আবার বেশ কিছু গ্রন্থাগারে ফ্রিতে গণশক্তি দেওয়া হত সিপিএম দলের পক্ষ থেকে।
নতুন নির্দেশিকায় ৯টি সংবাদপত্রের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে, বর্তমান, আনন্দবাজার পত্রিকা, দ্য টেলিগ্রাফ, আজকাল, প্রতিদিন, ৩৬৫, সন্মার্গ, আকবর-ই-মশরিখ, উত্তরের সারাদিন। গ্রন্থাগার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তথা অবসরপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক সঞ্জিত দত্ত বলেন, ২০১২ সালের নির্দেশিকার পর পাঠকরা হতাশ হয়েছিলেন। কারণ গ্রন্থাগারে অনেক পাঠক শুধুমাত্র সংবাদপত্র পড়তে যান। প্রথম শ্রেণীর বাংলা সংবাদপত্রগুলি না পেয়ে গ্রন্থাগারে পাঠক সংখ্যা কমছিল। অনেক পাঠক নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে প্রথম শ্রেণীর সংবাদপত্র গ্রন্থাগারে নিয়ে আসতেন। পড়ার পর আবার নিয়ে যেতেন। তাছাড়া বেশ কিছু গ্রন্থাগারে সংবাদপত্র সংরক্ষণ করা হয়। সাত বছর ধরে প্রথম শ্রেণীর সংবাদপত্র সংরক্ষিত হয়নি ওইসব গ্রন্থাগারগুলিতে। নতুন নির্দেশিকায় পাঠকদের পক্ষে ভালো হল।
এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের গ্রন্থাগার দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি বলেন, নতুন নির্দেশিকা দ্রুত কার্যকর করতে বলা হয়েছে। নির্দেশে যা লেখা আছে, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে বলা হয়েছে।