শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
নোটিস পাঠানোর পরও আড়ালেই রয়ে গিয়েছেন রাজীব কুমার। তাঁর অবস্থান জানতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হলে রাজ্য প্রশাসনের তরফে সহযোগিতা মেলেনি বলে দাবি করেছে সিবিআই। তাঁকে খুঁজে বের করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিবিআইয়ের দিল্লির টিম প্রথমে যায় আলিপুরে আইপিএস অফিসারদের মেসে। সেখানে তল্লাশি চলে মিনিট দশেক। তাদের কাছে খবর ছিল, ছুটিতে থাকাকালীন এখানে এসেছেন রাজীব কুমার। এমনকী হাইকোর্টে মামলা চলার সময়েও এখানে মাঝেমধ্যেই এসেছেন ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে পরামর্শ করতে। পরে রুবি মোড়ের কাছে বাইপাস লাগোয়া একটি হোটেলেও গিয়েছিল ওই টিম। সিবিআইয়ের অন্য একটি টিম হানা দেয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার তিনটি জায়গায়। তাদের কাছে খবর ছিল, কখনও কখনও এইসব জায়গায় আসছেন তিনি। সিবিআইয়ের এক কর্তার কথায়, যেভাবে জেরা এড়াচ্ছেন রাজীব কুমার, তা থেকেই স্পষ্ট তিনি নিজে ধরা দেবেন না। তাঁকে খুঁজে বের করতে হবে তদন্তকারী সংস্থাকেই। পাশাপাশি রাজীব তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে কার কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, তা নিয়েও তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে। গোটা বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সেইসঙ্গে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকেও বড় হাতিয়ার করতে চাইছে সিবিআই। বারাসত আদালত এই মামলা ফিরিয়ে দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে এনিয়ে আবেদন জানায় তারা। আদালত জানতে চায়, কেন জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হচ্ছে? সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, তাঁকে সমন পাঠালেও বারবার এড়িয়ে যাচ্ছেন। বাড়িতেও পাওয়া যাচ্ছে না। যোগাযোগও করা যাচ্ছে না। কখনও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার অজুহাত দেখাচ্ছেন, আবার কখনও পদের। অথচ রাজীব কুমারকে জেরা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি তদন্তে অসহযোগিতা করছেন। আদালত প্রশ্ন করে, হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট তাঁর গ্রেপ্তারিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। সিবিআই বলছে, এটি কগনিজেবল অফেন্স। তাহলে কেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হচ্ছে? তার উত্তর দিতে গিয়েই দাউদের প্রসঙ্গ টেনে এনে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ডনকে ধরার ক্ষেত্রে সিবিআই বা পুলিসের কোনও বাধা ছিল না। তাও শীর্ষ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছিল। এই প্রসঙ্গে, আদালত বলে, দাউদ প্রসঙ্গ এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়। তার বিরুদ্ধে টাডা আইনে অভিযোগ ছিল। রাজীব কুমারের ক্ষেত্রে এই ধরনের কোনও ভয়ঙ্কর অভিযোগ নেই। আর কাউকে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা তো সিবিআইয়ের আছেই।