শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
রাজ্যপালের নির্দেশে জারি করা বিবৃতিতে এদিন রাজভবন জানিয়েছে, উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য ওই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাওয়ার পর আটকে পড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উদ্ধার করার ব্যাপারে ধনকার মুখ্যসচিব ও ডিজি’র সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে নিজের ক্ষমতা ও এক্তিয়ার হিসেবে যথেষ্ট সচেতন রাজ্যপাল নজিরবিহীন সঙ্কট কাটাতে শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কয়েক দফায় ফোনে কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রীর পদের প্রতি পূর্ণ সম্মান জানানোয় বিশ্বাসী রাজ্যপাল যথেষ্ট সময় অপেক্ষা করার পরও অবস্থার কোনও পরিবর্তন না হওয়ায় নিজে সেখানে যাওয়ার ব্যাপারে মনস্থ করেন। আইন ও সংবিধান রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ রাজ্যপাল অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথোপকথন প্রকাশ্যে আনেননি। তাই এসব বিষয় অজানা থাকায় সরকারকে না জানিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার বিষয়ে তৃণমূলের মহাসচিব (শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়) যে অভিযোগ এনেছেন, তা তথ্যগতভাবে সঠিক নয়। একই সঙ্গে নিজের দায়-দায়িত্ব কার্যত জলাঞ্জলি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে উপাচার্যের চলে যাওয়া, রাজ্যপালের অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য প্রশাসনের ব্যর্থতার বিষয়গুলি তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপের ক্ষেত্রে বিবেচ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজভবন।
দুপুরে রাজভবনের এই বিবৃতিতে বেজায় চটেন মুখ্যমন্ত্রী সহ শাসকপক্ষের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই পার্থবাবুকে দিয়ে ফের সন্ধ্যায় সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে দলের পূর্বতন অবস্থানে অনড় থাকার বার্তা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বলা হয়, সাংবিধানিক পদাধিকারী হিসেবে রাজ্যপালকে সম্মান করি আমরা। তবে আমরা আশা করব, তিনি উপাচার্য, অধ্যাপক, ছাত্রদের বিচার দেবেন। আমরা সর্বদা তাদের পাশে থাকব। সেই সঙ্গে যে বহিরাগতরা ছাত্রছাত্রীদের মারধর এবং ক্যাম্পাসে তাণ্ডব চালিয়েছে, তাদের শাস্তির ব্যবস্থা অবশ্যই করব। সকলের মনে রাখা দরকার, বহুকালের ঐতিহ্য মেনে স্বশাসিত উপাচার্যের অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে কখনও পুলিস ঢুকতে পারে না।