উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এরমধ্যে সান্তাক্লজ সাদা দাড়িতে হাত বুলোতে বুলোতে বললেন, তোমাদের কাছে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। তোমরা সকলে পড়াশুনায় মনোযোগী শুনে খুব খুশি হয়েছি। তোমাদের কোনও ইচ্ছে থাকলে বলতে পার। সেই ইচ্ছে পূরণ হবে। কচিকাঁচারা কী আর বলবে। প্রত্যেকে নিজেদের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করতে লাগল। কারণ, সান্তাক্লজ তাদের সামনে হাজির। এতেই তারা খুশি। এরপর আর কোনও ইচ্ছে থাকতে পারে না। ফলে ঘাড় নাড়ল সকলে। সেদিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসলেন সান্তাক্লজ। আধঘণ্টার বেশি সময় ধরে যখন এসব চলছে, তখন ঘরের কেউ ধরতেই পারেনি সান্তাক্লজের পোশাকের আড়ালে আসলে লুকিয়ে বিশ্বকাঁপানো ক্রিকেটার ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাঁর মেকআপ ও নিখুঁত অভিনয় কচিকাঁচারা কেউ ধরতেই পারেনি। আচমকা মুখের সামনে ঢাকা সান্তাক্লজের মুখোশটা খুলে ফেলতেই হলঘরে হাজির সকলে ‘থ’ হয়ে গেল। হাজির প্রত্যেকের চোখে বিস্ময়। সম্মান জানাতে উঠে দাঁড়ালো সকলে। সান্তাক্লজের আড়ালে যাকে তারা দেখছে তিনি কচিকাচাদের সকলের ‘আইকন’। ‘বিরাট কোহলি’ একেবারে তাদের নাগালের মধ্যে। ঠিক একদিন পর শুক্রবার ইডেনে শুরু হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম গোলাপি বলের টেস্ট যুদ্ধ। তার আগে এভাবে একেবারে এত কাছে ভারতীয় অধিনায়ককে কাছে পাওয়া ও তাঁকে ছোঁয়া যেতে পারে-তা কারও কল্পনায় ছিল না। স্বাভাবিকভাবে তাদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা তৈরি হল। তা দেখে মিটিমিটি হাসছেন ধীর বিরাট কোহলি। আচমকা ভারতীয় অধিনায়ককে চমকে দিয়ে তাঁর সামনে হাজির হল ২৫৪টি বড় গোলাপের বিশাল তোড়া। কচিকাঁচারা সেই উপহার তুলে দিল তাঁর হাতে। এরমধ্যে একজন খুদে বিরাটকে বললে, তুমি পুণেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২৫৪ রানে নট আউট ছিলে। তারই উপহার ২৫৪টি গোলাপ। পাশ থেকে আরও একজন আবদারের সুরে বললে, এবার ইডেনে ২৫৫ রানে তোমাকে দেখতে চাই। তখন চারপাশে হাততালি পড়ল। বিরাট ঘাড় নেড়ে আশ্বাস দিলেন। বললেন, চেষ্টা করব। তারমধ্যেই বিরাটের সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল সকলে। বিরাটও একে একে ডেকে কাছে টেনে নিলেন। একজন বলল, তুমি কী খেতে ভালোবাসো? বিরাট বললেন, চানাচুর। এটা শোনার পর কোথা থেকে দৌড়ে একজন খুদে নিয়ে এল চানাচুরের প্যাকেট। বিরাট প্যাকেটটি খুলে চানাচুর খেলেন। আলাপপর্ব চলার মধ্যে কখন যে চার ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে কেউ খেয়াল করেনি। ফের বিরাট কোহলি সান্তাক্লজের মুখোশ পরে নিয়ে বললেন, তোমরা কেউ কিছু চাওনি। কিন্তু সান্তাক্লজের বেশে আমি প্রত্যেককে উপহার দিতে চাই। এরপর হাততালি দিতেই বাইরের দরজা ঠেলে ঝকঝকে কয়েকজন যুবক নিয়ে এল হরেকরকমের আধুনিক খেলনা, আঁকার সরঞ্জাম, পুতুল, গাড়ি থেকে ইলেকট্রিকের বাজনা। ৭৩ জন কচিকাচাদের হাতে আলাদা করে সেই সব উপহার একে একে তুলে দিলেন বিরাট। বললেন, তোমাদের পাশে সব সময় থাকব।
কচিকাচারা সকলে এইচআইভি পজিটিভ রোগে আক্রান্ত। কিন্তু তারা অপাংক্তেয় নয়, বরং সমাজের অংশ তা বোঝাতে ভারতীয় অধিনায়কের এখানে আসা। জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার কল্লোল ঘোষ। তাঁর কথায়, বিশ্বের কাছে এই বার্তাই দিতে চাইছেন তিনি। এই কারণে শুক্রবার ইডেনে উভয় দেশের খেলোয়াড়দের হাত ধরে মাঠে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবে এই কচিকাঁচারা। শুধু তাই নয়, এখানকার কাফে পজিটিভ সদস্যদের সঙ্গে ইডেনে প্রাক্তনদের নিয়ে ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হয়েছে।