উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তুরস্কের ধৃত দুই জনের নাম হাকান জানবারকান ও ফেতাহ আলদেমির। আর দুই বাংলাদেশির নাম মহম্মদ হান্নান ও মহম্মদ রফিক। তুরস্কের দু’জনের সঙ্গে দুই বাংলাদেশি যোগসাজশ করে এটিএম হ্যাক করে ও নকল এটিএম কার্ড বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছে বলে পুলিস জানতে পেরেছে। গত ১৪ নভেম্বর বেলঘরিয়া বি টি রোডের ধারে একটি ফ্ল্যাট তারা ভাড়া নিয়েছিল। এই ফ্ল্যাট থেকেই ল্যাপটপ মারফৎ তারা অপারেশন চালাত। পুলিস সূত্রের খবর, ত্রিপুরা পুলিস চারজনের নামে একটি রিপোর্ট পাঠায়। ত্রিপুরা পুলিসের কাছে তথ্য পেয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিস তদন্ত চালায়। মঙ্গলবার তাদের বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ভারতীয় ৩১ লক্ষ টাকা ও মার্কিন ৩০ হাজার ডলার। একটি ল্যাপটপও উদ্ধার করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে চার বিদেশি বিভিন্ন রাজ্যে এটিএম জালিয়াতি চালিয়ে যাচ্ছে। এটিএম নম্বর ‘ক্লোনিং’ করে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছে দিল্লি, গুয়াহাটি, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যে। ৫০টি এসবিআই শাখা থেকে তারা টাকা তুলেছে। আগরতলার বিভিন্ন এটিএম কাউন্টার থেকে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা তারা হাতিয়ে নিয়েছে। পুলিস সূত্রের খবর, প্রহরীহীন এটিএম কাউন্টার গুলিতে গোপন ক্যামেরা, মেমারি কার্ড ও স্কিমার মেশিন নিয়ে চার বিদেশি ঢুকে পড়ত। এটিএম কার্ড যেখানে ঢুকিয়ে টাকা তোলা হয়, সেখানেই তারা একটি গোপন ক্যামেরা বসাত। সাধারণ গ্রাহকরা যখন টাকা তোলার আগে পিন নম্বর ব্যবহার করেন, সেই ছবি উঠে যেত গোপন ক্যামেরায়। এরপর নকল এটিএম কার্ড বানিয়ে এটিএম কাউন্টার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নিত এই চক্রটি।
ধৃত দুই তুর্কি যুবক মুম্বইয়ে এটিএম জালিয়াতি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিল। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেও তারা এই চক্র চালাচ্ছিল মূলত ত্রিপুরা, অসম ও পশ্চিমবঙ্গে। সঙ্গে নিয়েছিল দুই বাংলাদেশিকে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃত চারজনকেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিস ও ত্রিপুরা পুলিস জেরা করছে। প্রয়োজনে তাদের ত্রিপুরা নিয়ে যাওয়া হতে পারে। পুলিস সূত্রের খবর, ভারতীয় লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর পর মার্কিন ডলারে রূপান্তরিত করত। ভারত থেকে লক্ষ লক্ষ মার্কিন ডলার হাতানোর পর দুই তুর্কি এ দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল। এই চক্রে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস।