কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমডাঙা ব্লকের বেড়াবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধবপুরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের জল প্রকল্পের একটি পাম্পিং স্টেশন রয়েছে। ওই পাম্পিং স্টেশন থেকে বারাসত ১, আমডাঙা ও দেগঙ্গা ব্লকের সিংহভাগ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পানীয় জলের সরবরাহ হয়। কয়েক লক্ষ মানুষ এই জল প্রকল্পের জলের উপর নির্ভরশীল। পাম্পিং স্টেশন থেকে বিভিন্ন এলাকায় জল পাঠানোর সময় পাইপ লাইনের বাতাস বের করতে হয়। সেকারণে মাধবপুরের জন্য একটি পয়েন্ট পাইপ লাইন থেকে জল বের করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেখান থেকে বাতাসের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে জলও বের হয়।
এতদিন ওই জল নীলগঞ্জ সন্তোষপুর রাস্তার ধারের ড্রেন ধরে এলাকার একটি পুকুরে পড়ত। কিন্তু রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ হওয়ায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ওই পুকুরটির সিংহভাগ অংশ ভরাট হয়ে গিয়েছে। ফলে রাস্তার ধার দিয়ে জল পাশের চাষের জমিতে পড়ছে। ধান চাষ ও রবি শস্যের জমি ওই জলে ডুবে যাওয়ায় চাষিরা চরম ক্ষতির মুখে পড়ছেন। ভুক্তভোগী চাষিরা বহুবার পিএইচই দপ্তরে সমস্যা সমাধানের দাবি জানালেও কোনও লাভ হয়নি। সেকারণে ক্ষুব্ধ চাষিরা গত শনিবার থেকে পাম্পিং স্টেশন বন্ধ করে দেন। তাঁদের দাবি, যতক্ষণ না ওই জল অন্য কোথাও ফেলা হচ্ছে, ততক্ষণ পাম্পিং স্টেশন চালু করতে দেওয়া হবে না।
পাম্পিং স্টেশন বন্ধ থাকায় বারাসত ১ ব্লকের পূর্ব ও পশ্চিম খিলকাপুর, ছোট জাগুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি আমডাঙা ও দেগঙ্গা ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আর্সেনিক প্রবণ এইসব এলাকার বাসিন্দারা সম্পূর্ণভাবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের ওই জলের উপর নির্ভরশীল। তিন দিন ধরে জল বন্ধ্য থাকায় মানুষ চরম সংকটে পড়েছেন।
এর প্রতিবাদে এদিন সকাল ৯টা নাগাদ খিলকাপুর এলাকার ভুক্তভোগী মানুষ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু করেন। আন্দোলনে অংশ নেওয়া উত্তরপাড়ার বাসিন্দা হাসেম গাজি বলেন, চারদিন ধরে জল আসছে না। জলের জন্য মাসে ৩০ টাকা করে দেওয়ার পরও আমাদের চরম সমস্যায় পড়তে হয়েছে। খিলকাপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা বারাসত ১ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ হাজি শেখ মনুয়ার আলি বলেন, আর্সেনিক প্রবণ এই এলাকার মানুষ পাইপলাইনের জলের উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল। জলের জন্য এলাকায় হাহাকার শুরু হয়েছে। আমরা এদিন কোনওমতে ক্ষুব্ধ মানুষকে রাস্তা অবরোধ থেকে বিরত করতে পেরেছি। কিন্তু দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে মানুষ ফের রাস্তায় নামতে পারে। আমরা প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছি।
বারাসতের বিডিও মামুন আখতার বলেন, সমস্যার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের বারাকপুর ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সপ্তর্ষি পাল বলেন, আমাদের পাম্প ঠিক রয়েছে। রাস্তা সম্প্রসারণের সময় রাস্তার দুই দিকের ড্রেন ভেঙে যাওয়ায় জল চাষের জমিতে যাচ্ছে। আমরাও সমস্যার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।