কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
অহর্ষির বাবা ইঞ্জিনিয়ার, মা স্কুল শিক্ষিকা। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিল অহর্ষি। হাসিখুশি, ছটফটে স্বভাবের অহর্ষি মাতিয়ে রাখত ওই আবাসনের বাসিন্দাদের। সোমবার ভোরে সেখানে অহর্ষির দেহ নিয়ে এলে কান্নায় ভেঙে পড়েন পাড়াপড়শিরা। আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী, সব্জি বিক্রেতা সবাই শোকস্তব্ধ হয়ে গিয়েছেন। অহর্ষিকে ওই আবাসনের সবাই বিতান বলে ডাকত। সল্টলেকের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে লোয়ার নার্সারিতে পড়া শুরু করেছিল সে। ও যখন সকাল বেলায় স্কুলের জন্য বেরত আবাসনের অনেকেই ওর জন্যে দাঁড়িয়ে থাকতেন। শিশুটির মা স্মিতা কর্মকার বলেন, বুধবার ওর জ্বর আসে। বৃহস্পতিবার রাতে ওকে হাসপাতালে ভর্তি করি। রবিবার অবস্থার অবনতি হয়। আমাদের মনে হয়েছে রবিবার ঠিকমতো ওর চিকিৎসা হয়নি। আমি এখন চাই, আমার ছেলের চোখ দিয়ে অন্য কোনও শিশু পৃথিবীর আলো দেখুক। সেজন্য আমরা ওর সুন্দর চোখটা দান করেছি। ওই হাসপাতালের কর্ণধার ও বিশিষ্ট শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অপূর্ব ঘোষ জানান, অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। অনেকটা ভালো ছিল। হঠাৎ করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জল জমতে শুরু করে দ্রুত এমন অবস্থা হল, যে কিছু করা গেল না। শিশুটির চোখ দান করেছে ওর পরিবার।
এদিন ওই আবাসন চত্বরে অহর্ষির দিদিমা সীমা কর্মকার জানান, আমার মেয়ের ঘরের জানালা পর্যন্ত মশা আটকানোর জন্যে জাল দিয়ে ঘেরা রয়েছে। তারপরও ওই ঘটনা ঘটল। যেন সব শেষ হয়ে গেল। ওই আবাসনের বাসিন্দা প্রবীণ স্বপ কুমার দে তাঁর মোবাইল থেকে ছবি বের করে দেখান, আমি ওকে কোলে নিয়ে বসে থাকতাম। আমাদের মনের অবস্থা তাহলে কীরকম বুঝুন। গাড়ির চালক রঞ্জন টুং, নিরাপত্তারক্ষী শঙ্কর মাইতি জানান, এই আবাসনের নীচেই ওদের ফ্ল্যাট। বাচ্চাটা বেশিরভাগ সময় আমাদের সামনে আবাসনের গেটের সামনে ঘুরঘুর করত। এখানেই খেলত। আবাসনের সামনে দোকানের সব্জি বিক্রেতা ঝুমা দে জানান, এদিন ভোরে অনেক লোক দেখে আমি ওখানে যাই। ওকে ওই অবস্থায় দেখার পর থেকে আমার কেবল শিশুটির কথা মনে ভাসছে। শিশুটির পরিবারের একজন জানান, গত এক মাস ধরে বিতান এখান থেকে বাইরে কোথাও যায়নি। পুজোর ছুটির পর কয়েক দিন স্কুলে গিয়েছিল। কী করে যে কী হল!