কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
একইসঙ্গে প্রয়োজন রয়েছে বিধাননগর পুর এলাকার এরকম মানুষ যাতে আরও বেশি করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে পারেন, সেবিষয়েও উদ্যোগী হচ্ছে পুরসভা। এর জন্য নতুন করে সমীক্ষা চালাতে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করা হবে পুরসভার পক্ষ থেকে। এবিষয়ে মেয়র পারিষদ জানিয়েছেন, ২০০৯-১০ সালের সমীক্ষার ভিত্তিতে এখন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়া হয়েছে বিধাননগর পুর এলাকার বাসিন্দাদের। কিন্তু, আরও বহু মানুষ এই কার্ডের আওতায় আসতে পারে। সেবিষয়ে নতুন সমীক্ষা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, বিধাননগর পুরসভার অধীনে সল্টলেকে মাতৃ সদন, বাগুইআটির দেশবন্ধুনগরে একটি এবং নারায়ণপুরে আরও একটি হাসপাতাল রয়েছে। ইদানীংকালে এই হাসপাতালগুলিতে প্রচুর মানুষ পরিষেবার জন্য আসছেন। বিশেষ করে আর্থিক দিক থেকে বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের তুলনায় অনেক কম টাকাতে বহু চিকিৎসাই এখানে করাতে পারছেন রোগীরা। তাঁদের অনেকেরই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে। কিন্তু, যেহেতু এই তিন হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় নয়, তাই এখানে চিকিৎসা করিয়েও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা নিতে পারছেন না রোগীরা। এতে কম টাকাতে হলেও, পকেট থেকে খরচ করতে হচ্ছে রোগীদের। কিন্তু, সেই মুহূর্তে ১০-২০ হাজার টাকা খরচ করারও ক্ষমতা বহু রোগীর থাকে না। ফলে অনেকে সমস্যায় পড়ে হাসপাতালের কাছে বিল ছাড়ের জন্য আবেদন করেন। তখন পুরসভাকে আবার বিলের টাকা কমানো বিচার-বিবেচনা করতে হয়।
প্রণয়বাবু বলেন, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় থাকলে রোগীকে টাকা দেওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হতে হবে না। পুরসভাকেও কারও বিল নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। এতে আরও বেশি করে রোগীরা সঠিক পরিষেবা পাবেন। আর্থিক দিক থেকে তাঁদের উদ্বেগ অনেক কম থাকবে। অন্যদিকে, পুরসভার হিসেব বলছে, এখন বিধাননগর পুর এলাকায় ৩০-৩২ হাজার মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে। ২০০৯-১০ সালের সমীক্ষার ভিত্তিতে এই কার্ড তাঁরা পেয়েছেন। নয়া সমীক্ষা হলে, আরও বেশি সংখ্যক প্রয়োজনীয় মানুষ এই কার্ডের আওতায় আসবে বলে পুরসভাও আশাবাদী। প্রণয়বাবু জানিয়েছেন, এই সব ভাবনা-চিন্তা করেই এই দুই বিষয়েই রাজ্যকে খুব শীঘ্রই চিঠি দেওয়া হচ্ছে।