ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
সিইএসসি’র তরফে জানানো হয়েছে, তারা ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে। ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তবে তাদের দাবি, ওই কেবলের উপরে সিইএসসি’র যে টালি ছিল, তদন্তের সময় সেটি পাওয়া যায়নি। ফলে মনে করা হচ্ছে, অন্য কোনও পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা তাদের কাজ করার সময় সেটি সরিয়ে থাকতে পারে। এমনকী, সেই কাজের সময় বিদ্যুতের কেবলের ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে। তা থেকেই হয়তো এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ওই কমিটি বিস্ফোরণের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে কারণ অনুসন্ধান করবে। বিষয়টিকে তারা গুরুত্ব দিয়েই দেখছে।
রবিবার সন্ধ্যায় ডালহৌসির ফুটপাতে বিস্ফোরণকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। ঘটনাস্থলে আসে পুলিস, দমকল এবং সিইএসসি। সেখানে কেবল বসানোর কাজ চলছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর সেখানে বিস্ফোরকের কোনও অস্তিত্ব মেলেনি। তা থেকেই তদন্তকারী অফিসাররা বুঝতে পারেন, এটা কোনও জঙ্গি-নাশকতা নয়। কিন্তু কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা জানতে ডেকে পাঠানো হয় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের। সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ সেখানে আসেন তাঁরা। দেখা যায়, ফুটপাতের একটি বড় অংশ মাটিতে বসে গিয়েছে। যে কারণে বড় ধরনের গর্ত তৈরি হয়েছে। ওই গর্তের গভীরতা সাড়ে তিন ফুটের বেশি।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মাটির নীচে ইলেকট্রিকের লাইন রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে টেলিফোনের কেবলও। কোনও কারণে বিদ্যুৎবাহী তার পুড়েছে। তা একদিনে নয়, বেশ কিছুদিন ধরেই মাটির তলায় জ্বলেছে সেই তার। যে কারণে ধোঁয়ায় ভরেছে ভূত্বকের নীচের অংশ। যা উপর থেকে বোঝা যায়নি। এই ধোঁয়া জমে জমেই মিথেন কার্বন মনোক্সাইড ও হাইড্রোজেন গ্যাস তৈরি হয়েছে। যা দাহ্য। অনেক দিন ধরে তা জমার ফলে মাটির গভীরে চাপ তৈরি হয়। ওই গ্যাসের চাপেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। ছোট জায়গায় অতিরিক্ত চাপ থাকার কারণে বিকট শব্দ হয়। ঘটনাস্থল থেকে পোড়া কেবলের অংশ সংগ্রহ করা হয়েছে।
তবে তার পোড়ার বিষয়টি কেন সিইএসসি’র নজরে এল না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর কেবল বদলাতে হয়। এক্ষেত্রে তা করা হয়েছিল কি না, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই নিয়ে সিইএসসি এবং টেলিফোন বিভাগের সঙ্গে কথা বলছেন অফিসাররা। বিস্ফোরণের কারণে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে এলাকার এটিএম পরিষেবাও। বিস্ফোরণস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। সোমবার কাজের দিন হওয়ায় ওই জায়গায় ভিড় জমানোর চেষ্টা করেন পথচলতি মানুষ। কিন্তু কাউকেও দাঁড়াতে দেননি কর্তব্যরত পুলিস কর্মীরা।