ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
পিজি সূত্রের খবর, গত পাঁচ বছর ধরে এখানে আসা পথ দুর্ঘটনাগ্রস্ত বা ট্রমা পেশেন্টদের নিয়ে একটি সমীক্ষা চলছে। প্রায় ১৫ হাজার রোগীর তথ্য রয়েছে সেই সমীক্ষায়। তাতেই উঠে আসে, ট্রমা সেন্টার চালুর আগে পিজিতে আনা পথ দুর্ঘটনাগ্রস্তদের মধ্যে প্রতি ১০০ জনে ২৭ জনের মৃত্যু হয়।
১৫ জুলাই থেকে নবনির্মিত ট্রমা সেন্টারে নতুন রোগীদের সেখানকারই ইমার্জেন্সির মাধ্যমে ভর্তি করতে শুরু করে পিজি। পরবর্তী এক মাস বা ১৫ আগস্ট পর্যন্ত পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সময়কালে সবশুদ্ধ প্রায় বারোশো (১১৭৯) রোগী এসেছেন ট্রমা ইমার্জেন্সিতে। ভর্তি হয়েছেন ৪৮২ জন।
মৃত্যুহারও উল্লেখযোগ্যভাবে কমায় যারপরনাই খুশি চিকিৎসকরা। দেখা গিয়েছে, ট্রমা সেন্টার চালুর আগে ও পরে পিজি হাসপাতালে দুর্ঘটনাজনিত চিকিৎসার ফারাক অনেকটাই। আগে ৩.৭ জনে একজন ট্রমা রোগীর মৃত্যু হতো। এখন কমবেশি ছ’জন ট্রমা রোগীর মধ্যে একজনের মৃত্যু হচ্ছে। মৃত্যুহার কমেছে অনেকটাই।
প্রায় আড়াইশো বেডের এই ট্রমা সেন্টারে (বর্তমানে চালু ১২০ শয্যা) সমস্ত ধরনের পরিষেবা চালু হলে এই মৃত্যুহার আরও কমবে—এমনটাই আশা করছেন চিকিৎসক ও প্রশাসনিক কর্তারা। কিন্তু, এক মাসে কী এমন ঘটল যে, মারাত্মকভাবে জখম রোগীদের অনেক বেশি সংখ্যায় বাঁচানো সম্ভব হল? সে প্রশ্ন করা হলে শুরুর সময় থেকে ট্রমা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকা এক সিনিয়র চিকিৎসক বলেন, দেখুন, মরণাপন্ন রোগীদের এই ইমার্জেন্সিতে আনা মাত্র প্রয়োজন অনুযায়ী ভেন্টিলেশনে রাখার সুবিধা ক’টি সরকারি হাসপাতালে আছে? প্রথম ধাক্কাটা যদি দক্ষভাবে সামলানো যায়, তাহলে ফল মেলে হাতেনাতে। ট্রমা সেন্টারে এরকম ২০টি ভেন্টিলেটর বেড রয়েছে। খুব খারাপ অবস্থায় আসা ট্রমা রোগীদের কালবিলম্ব না করে এই বেডে রেখে প্রয়োজন অনুযায়ী ‘ইনকিউবেট’ করা শুরু করে দিই আমরা। রোগীর প্রাণে বাঁচার সম্ভাবনা বাড়ে অনেকটাই। ফলে ভালো ফল তো পাবই।