ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
কেএমআরসিএল সূত্রের খবর, প্রথম টানেলের যে জায়গায় বিপর্যয়টি ঘটেছে, সেটি ধর্মতলা থেকে ১.৬৫ কিলোমিটার দূরে। আর ৭০০ থেকে ৭৫০ মিটার এগলেই টানেলটি শিয়ালদহে পৌঁছে যেত। তার আগেই গত ৩১ আগস্ট সন্ধ্যা সাতটা থেকে টানেলে জল ঢুকতে শুরু করে। প্রথম দিকে সেই জলের পরিমাণ বেশি থাকলেও বর্তমানে তা অনেকটাই কমেছে। তবে, একেবারে বন্ধ করা যায়নি। সংস্থার এক কর্তা বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আর খুব বেশি হলে ১৫০ মিটার এগলেই টানেল বোরিং মেশিনটি বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের নীচে চলে যেত। আগের ২০০ মিটারও একই চরিত্রের মাটি কেটে এগিয়েছে বোরিং মেশিন। সেখানে কিছুই ঘটেনি।
সংস্থার এক ইঞ্জিনিয়ারের কথায়, টানেলটি মাটির সাড়ে ১৪ মিটার নীচে দিয়ে কাটা হচ্ছিল। কলকাতায় ভূতলের জলস্তর বেশি নীচে নয়। কাজেই টানেল কাটার সময় জল-মাটির স্তর থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। যাবতীয় পরীক্ষা করে সমস্ত আটঘাট বেঁধেই কাজ করা হচ্ছিল। এই টানেল কাটার সময় জল-মাটির স্তর আগেও পেরিয়েছে বোরিং মেশিন। শেষ ২০০ মিটার বোরিং মেশিনটি সুষ্ঠুভাবেই গিয়েছে জল-বালির স্তরের মধ্যে দিয়ে। তাহলে হঠাৎ টানেলে জল ঢুকল কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তরেই উঠে আসছে বোরিং মেশিনের গোলযোগের তত্ত্ব। যদিও সেই তত্ত্বকে এখনই পুরোপুরি সঠিক বলে ধরে নিচ্ছেন না ইঞ্জিনিয়াররা।
নির্মাণকারী সংস্থার এক কর্তা বলেন, যতক্ষণ না ওই মেশিনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হচ্ছে, ততক্ষণ গোলযোগের কথা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তাই মেশিনটিকে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করানো হবে। যদিও সেই কাজ এখনই সম্ভব নয়। কারণ, মেশিনটি বর্তমানে যেখানে রয়েছে, তার পিছনে টানেলের মধ্যেই দু’টি পাঁচিল তোলা হয়েছে। স্থিতাবস্থা ফেরাতে পাল্টা জলের চাপ বাড়ানো হচ্ছে। নতুন করে টানেলের মধ্যে দুই পাঁচিলের মধ্যে জল ঢোকানো হচ্ছে। একইসঙ্গে মাটির উপরের অংশে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজ শেষ হলে উপরে কিছুটা ফাঁকা জায়গা পাওয়া যাবে। সেখানে আরও বড় মেশিন দিয়ে গ্রাউটিং পদ্ধতিতে মাটি শক্ত করার কাজ করা হবে। এলাকায় সার্বিক স্থিতাবস্থা ফিরলে পাঁচিল ভেঙে আটকে পড়া বোরিং মেশিনকে উদ্ধার করা হবে। সেই সময়ে সেটি পরীক্ষা করা হবে। কী কারণে জল ঢুকেছে, তা বোঝার পাশাপাশি মেশিনটিকে আর ব্যবহার করা যাবে কি না, তাও ধরা পড়বে ওই পরীক্ষায়। সেটিকে আর ব্যবহার করা না গেলে অন্য মেশিন মাটির নীচে শিয়ালদহের দিক থেকে নামানো হতে পারে।