Bartaman Patrika
 

জয় জগন্নাথ বলে চলুন পুরী

বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী: চার ধাম— দ্বারকা, বদ্রীনাথ, রামেশ্বরম ও পুরী। মনে করা হয়, শ্রীবিষ্ণু দ্বারকায় বিশ্রাম নেন, বদ্রীনাথে ধ্যানমগ্ন হন, রামেশ্বরমে স্নান করেন এবং পুরী ধামে আহার সারেন। এই জন্যই পুরীকে চারধামের এক ধাম বলা হয়। বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত এই পুরী বিশ্বের আপামর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এক অতীব পুণ্যস্থান। শুধুমাত্র তীর্থক্ষেত্র হিসেবেই নয়, পর্যটনপ্রিয় মানুষের কাছেও অন্যতম সেরা গন্তব্য পশ্চিমবঙ্গের নিকটতম প্রতিবেশী রাজ্যের এই পর্যটন কেন্দ্র ও তীর্থস্থান। ভ্রমণ প্রিয় বাঙালির কাছে পুরীর মাহাত্ম্য চিরকালীন।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর পদধূলিধন্য এই পুরীধাম। নানা নামেও পরিচিত এই তীর্থস্থান। বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন মানুষের কাছে নীলাচল, নীলগিরি, শ্রীক্ষেত্র, পুরুষোত্তমক্ষেত্র, জগন্নাথধাম প্রভৃতি নামে পরিচিতি পায় পুরী।
সমুদ্র আর বিস্তীর্ণ সোনালি বালুকাবেলার আকর্ষণ তো আছেই। কিন্তু পুরীর মূল এবং সর্বাধিক পরিচিতি জগন্নাথ মন্দিরের জন্যই।
কিংবদন্তি ও প্রচলিত কাহিনি অনুসারে, সূর্যবংশীয় রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বপ্নাদিষ্ট হলেন সমুদ্রতটে ভেসে আসা এক বিশেষ কাষ্ঠ খণ্ড দিয়ে দেবমূর্তি নির্মাণ করে সেই বিগ্রহকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই মতো সাগরে ভেসে এল কাষ্ঠখণ্ড। এবার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন চিন্তিত হয়ে পড়লেন এই ভেবে যে, কে আছেন এমন দারুশিল্পী। যাঁকে দিয়ে তিনি নির্মাণ করাতে পারেন দেব বিগ্রহ? তিনি যখন উপযুক্ত দারুশিল্পীর খোঁজ করছেন, ঠিক সেই সময়ই এক রহস্যময় বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ তাঁর সামনে উপস্থিত হলেন যিনি এই বিগ্রহ নির্মাণে প্রস্তুত। কিন্তু তাঁর শর্ত, কয়েকদিন সময় তাঁকে দিতে হবে এবং সেই সময়সীমায় তাঁকে বিরক্ত করা যাবে না। রাজা এই শর্তে রাজি তো হলেন, কিন্তু প্রতিদিনই তিনি কৌতূহলী হয়ে উঠতেন কাজ কতদূর এগল তা জানার জন্য। যে রুদ্ধ কক্ষে শিল্পী বিগ্রহ নির্মাণ করেছিলেন সেই কক্ষের ভিতর থেকে কাজ করার শব্দ অবশ্য শোনা যেত। কয়েকদিন এইভাবে কাজ চলার পর রাজা আর কৌতূহল সম্বরণ করতে না পেরে কক্ষের দরজার বাইরে এসে দাঁড়ান, ঠিক সেই মুহূর্তেই কাষ্ঠ খোদাইয়ের শব্দ বন্ধ হয়ে যায়। রাজা কক্ষে প্রবেশ করেন এবং অবাক হয়ে দেখেন, শিল্পী উধাও হয়ে গিয়েছেন। এদিকে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি তখনও অসমাপ্ত। মূর্তির হাত-পা গড়া তখনও বাকি। রাজা বুঝতে পারেন যে ওই শিল্পী আর কেউ নন, স্বয়ং দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা। কাজে বাধা সৃষ্টি করার জন্য অনুতপ্ত হন রাজা। ঠিক সেই সময় রাজার সামনে আবির্ভূত হন দেবর্ষি নারদ। অনুতপ্ত রাজাকে সান্ত্বনা দিয়ে তিনি বলেন যে, এই অর্ধসমাপ্ত মূর্তি পরমেশ্বরের এক রূপ বলে জগতে পূজিত হবে।
এ হল এক জনপ্রিয় প্রচলিত কাহিনি। তবে পুরীর মন্দির তৈরি নিয়ে বিভিন্ন রকম অভিমত রয়েছে। কারও কারও মতে, এই মন্দির নির্মাণ করেন রাজা যযাতি কেশরী। কেউ কেউ বলেন, রাজা অনঙ্গভীমদেব এই মন্দিরের নির্মাতা। তবে অধিকাংশ মানুষের মত, দ্বাদশ শতকে গঙ্গা রাজবংশের রাজা অনন্তবর্মা চোডগঙ্গা দেব (১১১২-১১৪৮ খ্রিস্টাব্দ) এই মন্দিরের নির্মাতা।
প্রায় ২১৫ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট জগন্নাথ মন্দিরটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ৬৬৫ এবং প্রস্থে ৬৪০ ফুট। চারদিকে প্রবেশদ্বার। এগুলি হল— সিংহদ্বার, ব্যাঘ্রদ্বার, হস্তীদ্বার ও অশ্বদ্বার। মন্দিরের প্রধানদ্বার সিংহদ্বারের রক্ষক জয় ও বিজয়। মূল প্রবেশপথের সামনে রয়েছে অরুণস্তম্ভ নামে এক স্মৃতিস্তম্ভ। ২২টি ধাপ অতিক্রম করে পৌঁছতে হয় মন্দির প্রাঙ্গণে। মন্দিরের মূল দেবতা জগন্নাথ আর তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বলরাম ও সুভদ্রা। এছাড়াও এই মন্দির চত্বরেই রয়েছে আরও কিছু মন্দির। তারমধ্যে বিমলাদেবী, মঙ্গলাদেবী, বিশ্বনাথ, রাধাকৃষ্ণ, গণেশ, রামচন্দ্র, জয়-বিজয়, ক্ষেত্রপাল, মার্কণ্ডেশ্বর অন্যতম। মূল মন্দিরে উঁচু বেদির উপর অবস্থান করছেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। পাশে রয়েছে সুদর্শন চক্র। বাঁদিকে রয়েছে সোনার লক্ষ্মী আর ডানদিকে আছে রুপোর সরস্বতী মূর্তি। পিছনে নীলমাধব।
মন্দিরের উত্তরে বৈকুণ্ঠ বাগান। নবকলেবরের সময়ে এখানে জগন্নাথ দেবের পুরনো বিগ্রহটিকে সমাধিস্থ করে নতুন বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা হয়। করোনা অতিমারীর প্রকোপে পড়ে এ দেশের অন্যান্য মন্দিরের মতো পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজাও বন্ধ হয়ে যায়। গত বছর মার্চ মাস থেকে বন্ধ হয়ে যায় মন্দির। তারপর কেটে যায় সুদীর্ঘ প্রায় ৯ মাস। অবশেষে আপামর পর্যটক এবং পুণ্যার্থীর মনোবাসনা পূর্ণ করে গত ২৩ ডিসেম্বর’২০২০ মন্দিরের দ্বার খুলে দেওয়া হয়। মন্দির কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেন মন্দির খোলার প্রথম সপ্তাহ অর্থাৎ ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ পর্যন্ত কেবলমাত্র স্থানীয় দর্শনার্থীদের জন্যই মন্দির খোলা থাকবে। বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দর্শনার্থীর ভিড় এড়াতে জানুয়ারির ১ ও ২ তারিখ মন্দির সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। ৩ জানুয়ারি থেকে সর্বসাধারণের জন্য মন্দিরদ্বার উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছে। তবে অবশ্যই স্বল্প সংখ্যক দর্শনার্থীকে সবরকম কোভিড সতর্কতা মেনে মন্দিরে প্রবেশ করতে হচ্ছে।
নিউ নর্মালে সবকিছুর মতোই পুরী মন্দিরের কাজকর্মও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। বর্তমানে সম্পূর্ণ না হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আবার আগের মতো জমজমাট হয়ে উঠেছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির। বর্তমানে প্রচুর পুণ্যার্থী প্রতিদিন মন্দিরে আসছেন, বিগ্রহ দর্শন করছেন এবং স্বাভাবিক নিয়মেই পুজো দিচ্ছেন।
পুরী মন্দিরের দীর্ঘদিনের পাণ্ডা ভীমসেন ছাপ্পান্নভোগীর পুত্র বাবু পাণ্ডা দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে এই মন্দিরে পুণ্যার্থীদের পুজো দেওয়াতে সহযোগিতা করছেন। নিউ নর্মাল প্রসঙ্গে বাবু পাণ্ডার বক্তব্য, ‘মন্দিরে এখন আগের মতোই ভক্ত সমাগম হচ্ছে। তবে কয়েকটি বিধি নিষেধ মেনে চলার কথা বলা হয়েছে মন্দির কমিটির তরফে। তারমধ্যে রয়েছে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে মন্দিরে প্রবেশ করা, বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার করা প্রভৃতি। ব্যবস্থা করা হয়েছে স্যানিটাইজেশনেরও।’ রাজবাড়ির কাছ থেকে মন্দির পর্যন্ত গ্র্যান্ড রোডের উপর ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। এই ব্যারিকেডের মধ্যে দিয়ে কেবলমাত্র মূল দরজা দিয়েই দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন মন্দিরে। বাইরের কোনও জিনিস, মিষ্টি বা পুজোর সামগ্রী নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মন্দিরের নির্দিষ্ট কাউন্টারে অর্থ জমা দিয়ে মন্দির থেকেই প্রসাদ বা ভোগ নিতে হচ্ছে। আর মন্দির প্রাঙ্গনেই বিক্রি হচ্ছে ফুল, মালা প্রভৃতি। সেখান থেকেই কিনতে হচ্ছে ওই সমস্ত পুজো সামগ্রী। এই সামান্য কিছু নির্দেশিকা পালন করলেই পুণ্যার্থীরা যেতে পারছেন জগন্নাথ দর্শনে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবার নতুন উদ্যোমে শুরু হয়েছে পর্যটন ব্যবসা। খুলে গিয়েছে প্রায় সব হোটেলই। পর্যটকও আসছেন যথেষ্ট সংখ্যায়।
একইভাবে দীর্ঘকাল বন্ধ থাকার পর আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে রেল পরিষেবা। কলকাতা থেকে পুরী যাওয়র সব ট্রেন না চললেও কিছু ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে হাওড়া-পুরী স্পেশাল ও শিয়ালদা-পুরী স্পেশাল ট্রেন চলছে। আশা করা যায় খুব শিগগিরই সমস্ত ট্রেনই চলাচল শুরু করবে এবং বাঙালির অন্যতম প্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পুরী আবার আগের মতো সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
ছবি: সোমনাথ পাল
31st  January, 2021
হিমাচলে 
অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম

হিমাচলের কাংড়া, কুলু, মাণ্ডি, চাম্বা, সিমলায় শুরু হয়েছে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম। মূলত হিমাচলের অপরিচিত জায়গাগুলোকে আকর্ষণীয় করে তুলতেই এই উদ্যোগ। বিশদ

14th  March, 2021
চীনের ভ্যাকসিন
পাসপোর্ট

 

কোভিড-১৯ এর উৎপত্তিস্থল চীন। আবার এরাই প্রথম ভ্যাকসিন পাসপোর্ট নিয়ে এল গ্লোবাল পর্যটনের জন্য। কোভিড পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক পর্যটন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে। যত্রতত্র যাওয়া সহজ নয়। বিশদ

14th  March, 2021
তিন অরণ্যে 
নাইট সাফারি

এবার মধ্যপ্রদেশের তিন অরণ্য কানহা, বান্ধবগড় ও পেঞ্চে শুরু হল নাইট সাফারি। বাফার জোনে হলেও জঙ্গলের রোমাঞ্চ পাবেন পর্যটকরা। বিশদ

14th  March, 2021
সিকিম প্রবেশে কড়াকড়ি

 দেশের নানা প্রান্তে ফের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সতর্ক হল সিকিম। পাহাড়ি এই রাজ্য সরকারিভাবে পাঁচটি রাজ্য থেকে আসা পর্যটকদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিশদ

14th  March, 2021
শহরের বুকে ভ্রমণ মেলা 

করোনা এখনও চোখ রাঙাচ্ছে। আনচান করা মনকে অক্সিজেন জোগাতে চলছে ফেয়ার ফেস্ট মিডিয়ার টিটিএফ। গৃহবন্দি মানুষকে আবার বেড়িয়ে পড়ার আমন্ত্রণ। পুজোর আগে এই মেলার অপেক্ষায় থাকে ঘরছুট বাঙালি। কোন রাজ্য নতুন কী সন্ধান দেয় তার জন্য। যেন পরীক্ষার আগে লাস্ট মিনিট সাজেশন।  
বিশদ

28th  February, 2021
টিকটক 

‘টাইগার স্টেট’ মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড়ে এবার হট এয়ার বেলুনে চেপে জঙ্গল সাফারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপর থেকে লক্ষ করা যাবে বন্যপ্রাণের গতিবিধি। ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্রে এই ধরনের অ্যাডভেঞ্চার সাফারি দেশে প্রথম। সাফারির জন্য ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা সময় নির্ধারিত হয়েছে। 
বিশদ

28th  February, 2021
মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুর 

পশ্চিমবঙ্গের মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুর। বাঁকুড়া জেলার এই শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মল্ল রাজাদের তৈরি টেরাকোটার সুন্দর সুন্দর অসংখ্য মন্দির। হাওড়া থেকে ট্রেনে মাত্র ৪ ঘণ্টার পথ। শরৎ ও শীতকাল বিষ্ণুপুর যাওয়ার উপযুক্ত সময়।  
বিশদ

28th  February, 2021
দেবভূমিতে বিচরণ

ছোটবেলা থেকে ইচ্ছা জেগেছিল মায়ের মুখে কেদারনাথ ধামের গল্প শুনে। তাই ছুটিটা পেয়েই মাথায় এল ছোটবেলার স্বপ্নপূরণের ইচ্ছা। কেটে ফেললাম দুন এক্সপ্রেসের টিকিট। ট্রেনে যেতে যেতেই আলাপ হল এক বাঙালি পরিবারের সঙ্গে।   বিশদ

28th  February, 2021
জীবাশ্মের খোঁজে লালমাটির দেশে 

রাজস্থানের জয়সলমির বেড়াতে গিয়ে অনেকেই হয়তো অকাল উড ফসিল পার্ক দেখে এসেছেন। থর মরুভূমির কোলে অবস্থিত এই জীবাশ্ম উদ্যানটি প্রমাণ করে যে, প্রায় ১৮ কোটি বছর আগে এখানে বিশাল জঙ্গল ছিল।  
বিশদ

28th  February, 2021
ফুলের উপত্যকা

পশ্চিমবঙ্গের ‘ফুলের উপত্যকা’- ক্ষীরাই। হাওড়া থেকে ট্রেনে ঘণ্টা দুয়েকের পথ। যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময় জানুয়ারি। শীতের হিমেল রোদে গা ভাসিয়ে দিয়ে পিকনিকের মজাও নেওয়া যায় কাঁসাই নদীর ধারে। বিশদ

14th  February, 2021
পর্যটন মেলা

করোনার ভীতি কাটিয়ে শুরু হতে চলেছে ‘টার্ন দ্য হুইল’— পর্যটন, খাদ্য ও হস্তশিল্প মেলা। সল্টলেকের ঐকতানে আয়োজন করা হয়েছে এই মেলার। চলবে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। এই মেলায় থাকছে প্রায় ১০০টির মতো স্টল। পিছিয়ে পড়া হস্তশিল্পী ও মহামারীর জেরে ধুঁকতে থাকা পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতেই এই উদ্যোগ। বিশদ

14th  February, 2021
কুয়াশা ঘেরা তুরুক
অজন্তা সিনহা

শিলিগুড়ি শহর ছাড়িয়ে সুকনা জঙ্গলে ঢুকতেই আকাশের মুখ ভার। সকালে কিন্তু দিব্যি পরিষ্কার ছিল ! যাই হোক, সুকনা পেরিয়ে চড়াই-মুখী হল আমাদের গাড়ি। সফরসঙ্গী কলকাতার প্রাক্তন ফুটবল তারকা ও উত্তরবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ী দম্পতি। বেশ কয়েকটি হেয়ারপিন বেন্ড পার হয়ে পৌঁছলাম রোহিণী। ব্রেকফাস্ট পথের পাশের এক নেপালি রেস্তরাঁয়। 
বিশদ

14th  February, 2021
টিকটক

যেতে পারেন ভিতরকণিকা: নিউ নর্মালে ওড়িশার ভিতরকণিকা জঙ্গলে প্রবেশের অনুমতি মিলল পর্যটকদের। বিশদ

31st  January, 2021
উইকএন্ড ট্যুরে আগ্রহ বাড়ছে রাজ্যে
শীত যাওয়ার পরও ব্যবসা
চলবে, আশায় ব্যবসায়ীরা

নভেম্বর থেকেই একটু একটু করে ঘুরতে শুরু করেছিল পরিস্থিতি। বড় প্যাকেজ ছেড়ে ছোটখাট বাজেটের ট্যুরে বেরিয়ে পড়তে শুরু করেছিলেন ভ্রমণপিপাসুরা। জানুয়ারিতেও সেই ধারা অব্যহত। রাজ্যের মধ্যেই যেভাবে উইকএন্ড ট্যুর বাড়ছে, তাতে আশার আলো দেখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বিশদ

21st  January, 2021

Pages: 12345

একনজরে
ফি-বছর ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘরে পরিনত হয় দমদম ও দক্ষিন দমদম পুরসভার বিস্তীর্ন এলাকা। তাই মরসুমের শুরু থেকেই এবার সতর্ক পা ফেলতে চাইছে দমদম। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১১১২: ইতিহাসের এই দিনে চীনা জ্যোতির্বিদরা সূর্যের অভ্যন্তরে কালো বায়বীয় বস্তুর অস্তিত্ব লক্ষ করেন
১৫১৯: কালজয়ী চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মৃত্যু
১৮৮৩:  শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে কলকাতার কাশীশ্বর মিত্রের নন্দনবাগান বাড়িতে
১৯০৮: বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকীর মৃত্যু
১৯২১: চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫৯: ভারতের প্রথম বিজ্ঞান সংগ্রহশালা, বিড়লা শিল্প ও কারিগরি সংগ্রহশালা কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৬৯: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ব্রায়ান লারার জন্ম
১৯৭৫: ইংরেজ ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যামের জন্ম
২০০৮: মায়ানমারে ‘নার্গিস’ ঝড়ে মৃত্যু অন্তত ১ লক্ষ ৩৮ হাজার মানুষের
২০১১: অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনীর অভিযানে নিহত আল কায়দার জঙ্গি ওসামা বিন লাদেন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৬১ টাকা ৮৫.০৫ টাকা
পাউন্ড ১০২.২৬ টাকা ১০৬.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯১.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
01st  May, 2024

দিন পঞ্জিকা

১৮ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১ মে ২০২৪। সপ্তমী ১/৩৮ প্রাতঃ ৫/৪৭ পরে অষ্টমী ৫৭/১৫ রাত্রি ৪/২। শ্রবণা নক্ষত্র ৫৫/৮ রাত্রি ৩/১১। সূর্যোদয় ৫/৭/৫৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৯/২৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ৯/২৬ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৩ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১/২৫ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৫ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৮ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২১ গতে ৯/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। 
১৮ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১ মে ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ১২/৪৯। শ্রবণা নক্ষত্র রাত্রি ১২/২৩। সূর্যোদয় ৫/৯, সূর্যাস্ত ৬/১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৯/২১ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২১ গতে ৫/৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৪ গতে ৩/২৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২২ গতে ৯/৫৮ মধ্যে ও ১১/৩৫ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২২ গতে ৩/৪৫ মধ্যে। 
২১ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থানকে ১ রানে হারাল হায়দরাবাদ

11:37:08 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট হেটমার, রাজস্থান ১৮১/৫(১৭.৪ ওভার)(টার্গেট ২০২)

11:18:32 PM

আইপিএল: ৭৭ রানে আউট পরাগ, রাজস্থান ১৫৯/৪(১৫.৫ ওভার)(টার্গেট ২০২)

11:06:58 PM

আইপিএল: রাজস্থান ১৫৭/৩,(১৫ ওভার) টার্গেট ২০২

11:03:12 PM

আইপিএল: ৬৭ রানে আউট জয়সওয়াল, রাজস্থান ১৩৫/৩(১৩.৩ ওভার)(টার্গেট ২০২)

10:55:32 PM

আইপিএল: রাজস্থান ১০০/২,(১০ ওভার) টার্গেট ২০২

10:35:00 PM