Bartaman Patrika
 

স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখে হ লি উ ড 

মৃণালকান্তি দাস: মুখ চাই মুখ?
আমাদের দেখেই সাগ্রহে জানতে চাইলেন অ্যান্তলোনি। বছর বাইশের শিল্পীর হাতে পেন্সিল। সামনে ক্যানভাস। পাশে ফাঁকা টুল। ওই টুলে বসিয়ে মাত্র ৫ ডলারের বিনিময়ে অ্যান্তলোনি আগ্রহীদের মুখের ছবি আঁকেন। উল্টো দিকে সোনালি রঙা ডলবি থিয়েটার। রাস্তাজুড়ে ভিনদেশি পর্যটকের ভিড়। হাতে যে সময় নেই! অ্যান্তলোনির চটজলদি উত্তর, ‘পনেরো মিনিটে এঁকে দেবো।’ জাত শিল্পী বলে কথা। হলিউডের রাস্তায় তখন ভেসে আসছে জন ডেনভারের গানের সুর। ইউ ফিল আপ মাই সেন্সেস, লাইক আ নাইট ইন দ্য ফরেস্ট/ লাইক দ্য মাউন্টেন ইন স্প্রিং টাইম, লাইক এ ওয়াক ইন দ্য রেন...। নিক জোনসের সঙ্গে এই রাস্তাতেই নাকি হুল্লোড়ে মেতেছিলেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। কেট উইন্সলেট নাকি অস্কারের অনুষ্ঠানে এসে উল্টো ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যান্তালোনিদের দেখে হাত নাড়িয়েছিলেন। লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, জুলিয়া রবার্টস, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, মেরিল স্ট্রিপ থেকে টম হ্যাঙ্কস— এই রাস্তাজুড়েই রয়েছে হলিউড তারকাদের কত গল্প।
রাস্তা মানে, হলিউড ওয়াক অব ফেম। সিনেমা জগতে অসামান্য অবদানকে স্মরণ করে রাখার জন্য হলিউড ওয়াক অব ফেমে কিংবদন্তি তারকাদের নাম খোদাই করে বসানো হয়। এগুলো তাদের অবদানের স্থায়ী স্বীকৃতি। হলিউড বুলভার্ডের ১৫টি ব্লক এবং ভাইন স্ট্রিটের ৩টি ব্লক মিলে এই ওয়াক অব ফেম। আড়াই হাজারের বেশি তারা বসানো রয়েছে হলিউড ওয়াক অব ফেমের মেঝে, দেওয়ালে। তারাগুলো পিতল এবং টেরাজো টাইলস দিয়ে তৈরি। মাইকেল জ্যাকসন, ড্যানিয়েল রেডক্লিফ, টম ক্রুজ, চার্লি চ্যাপলিন, আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার, ড্রু ব্যারিমোর, কেট উইন্সলেট, দ্য বিটলস, ব্যাকস্ট্রিট বয়েজ, ওয়াল্ট ডিজনি, মহম্মদ আলিসহ আরও অনেক তারকার নাম খোদাই করা রয়েছে ওয়াক অব ফেমে। মিকি মাউস, স্নো হোয়াইট, ডোনাল্ড ডাক, উডি উডপেকার এরকম অনেক কাল্পনিক চরিত্রের নামও ফুটপাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামও। ফি বছর এই তল্লাটেই জমে ওঠে অস্কারের আসর। হলিউডের এই ডলবি থিয়েটার যেন হয়ে ওঠে স্বর্গরাজ্য। অধরা তারারা নেমে আসেন বাস্তবের মাটিদের। গ্ল্যামার কোশেন্টে পিছিয়ে থাকেন না কেউই। নিজেদের সেরাটাই উজাড় করে দেয় হলিউড। ডিজাইনার পোশাকে চোখ ধাঁধিয়ে দেয় বেভারলি হিলসের একের পর এক নামী দামী মুখ। দ্য বিগেস্ট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস অন আর্থ। এক নামে যাকে গোটা বিশ্ব জানে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস বলে। চারদিকে সেই অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের রেপ্লিকার ঝলক।
লস এঞ্জেলেস শহর থেকে হলিউড যাওয়ার রাস্তায় পড়ে সানসেট বুলেভার্ড। ১৯১১ সালে এই সানসেট বুলেভার্ডে ছোট্ট একটি স্টুডিও নির্মাণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় হলিউড সিনেমার যাত্রা। হলিউড অভিনেত্রী নরমা ডেসমন্ড-এর কল্পিত কাহিনী নিয়ে ১৯৫০ সালে নির্মিত হয়েছিল সানসেট বুলেভার্ড নামে সিনেমাটি। নরমার ভূমিকায় গ্লোরিয়া সোয়ানসন-এর অসামান্য অভিনয়ে এটি আমেরিকার সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে একটি। তারপর থেকে হলিউড নামটিকে বিশ্বের দরবারে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি আর। কালক্রমে চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলা-কুশলী সবাই এসে ভিড় করেছে এখানে। নামীদামী হোটেল কিংবা বার, বিশাল ব্যয়বহুল মুভি সেটে আজ পরিপূর্ণ হলিউড। আগের শতাব্দীর দুইয়ের দশকের পরের ২০ বছর পরিকাঠামোগতভাবে হলিউড এগিয়েছে তরতর করে। সেই বুলভার্ড অব হলিউডের দুই পাশে এখন বড় বড় পাম গাছ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে সম্ভাষণ জানায় প্রত্যেক আগন্তুককে। যাদের চোখে মুখে রয়েছে রঙিন স্বপ্ন। প্রতি সপ্তাহে গড়ে শুধু ৪ কোটি আমেরিকান নাগরিকই ছুটে যায় হলিউডের থিয়েটারগুলোর টানে। সেই জরাজীর্ণ হলিউড আজ স্বপ্নের আঁতুড়ঘর।
যেখানে মূল আকর্ষণ অবশ্যই ডলবি থিয়েটার। ২০১২ সালে ইস্টম্যান কোডাক কোম্পানি যখন দেউলিয়া ঘোষণা করে, তার তিন মাসের মাথায় ডলবি ল্যাব ইস্টম্যানের কাছ থেকে এই থিয়েটারের মালিকানা গ্রহণ করে। সেই থেকে কোডাকের বদলে ডলবি। চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বনেদি পুরস্কারের আসর বসে এই ভবনেই। সে যেন চাঁদের হাট। হাজির হন বিশ্বের নানা প্রান্তের চলচ্চিত্র বোদ্ধা থেকে শুরু করে তারকা শিল্পীরা। অতিথিদের জন্য ৩ হাজার ৪০০টি আসনের পাশাপাশি মিলনায়তনের যে কোনও স্থান থেকে বক্তার কথা সব জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডলবি থিয়েটারে রয়েছে ২০০টি স্পিকার। এছাড়া ছবি দেখার জন্য ৬০ গুণ ৩২ ফুটের দৈত্যাকার স্ক্রিন তো রয়েছেই। শব্দের খোঁজখবর যারা জানেন, তারা বোধ হয় ওয়াকিবহাল— অস্কারের সাউন্ড সবসময় হয় স্টেরিও, নয়তো মনো টাইপের।
২৫ ডলার খরচ করলেই ডলবি থিয়েটারের গাইড আপনাকে চেনাবেন হলিউডের আদ্যপ্রান্ত। কত ইতিহাস। এই ভবন থেকেই চোখে পড়বে দূরে পাহাড়ের কোলে হলিউড সাইন। সাইনটি হলিউডকে পরিচিতি এনে দিয়েছে সারা পৃথিবীতে। মাউন্ট লির শীর্ষে অবস্থিত যে সাইনটি দেখলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে হলিউড চলচ্চিত্রের চোখ ধাঁধানো কোনও অ্যাকশন বা লাস্যময়ী কোনও অভিনেত্রীর মিষ্টি চেহারা কিংবা কোনও হার্টথ্রব নায়কের নাম। কিন্তু নজর কাড়া এই সাইনবোর্ডের পিছনেও রয়েছে লম্বা ইতিহাস। রয়েছে শত সহস্র মানুষের পরিশ্রম, রয়েছে আত্মত্যাগ। গাইড শোনাবেন সেই ইতিহাসও।
ইতিহাস তো সঙ্গে নিয়েই এসেছি! ১৯২০ সালের গোড়ার দিকে ‘দ্য লস এঞ্জেলেস টাইমস’ পত্রিকার মালিক হ্যারি চ্যান্ডলার কয়েকজন ধনী ব্যবসায়ীকে নিয়ে প্রোমোটিং ব্যবসায় নেমেছিলেন। ব্যবসায়ী গ্রুপটি মাউন্ট লির পাদদেশে বিপুল পরিমাণে জায়গা কিনে বাড়ি তৈরির কাজে হাত দেয়। প্রকল্পের নামকরণ করা হয় ‘হলিউড ল্যান্ড’। নিজেদের কোম্পানির নামকে অক্ষয় ও ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় করতে বেশ জমকালো একটি সাইনবোর্ড তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিটি। ওই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ১৯২৩ সালে বিখ্যাত ডিজাইনার থমাস ফিস্কের ডিজাইনকৃত হলিউড ল্যান্ড লেখা ১৩ অক্ষরের সাইনবোর্ড তৈরি করে পাহাড়ের শীর্ষে স্থাপন করা হয়। মাত্র বছর দুয়েকের জন্য স্থাপন করা হলেও সাইনবোর্ডটি আর সরানো হয়নি। গ্রিফিথ পার্কের মাউন্ট লি নামে পাহাড়ের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত এই সাইনবোর্ডটির প্রতিটি অক্ষরের উচ্চতা ৪৫ ফুট অর্থাৎ ছয়তলা উঁচু দালানের সমান এবং প্রস্থ ৩১ থেকে ৩৯ ফুট। রাতের বেলায়ও এটি যাতে দিনের মতো স্পষ্ট দেখায় সেজন্য ৪ হাজার বৈদ্যুতিক আলো লাগানো আছে!
শুনলে অবাক হবেন, একসময় হলিউড সাইনটিকে অপয়া হিসেবে বিবেচনা করা হতো। অবশ্য এর পিছনে কিছু কারণও ছিল। ১৯৩২ সালে হলিউড অভিনেত্রী ‘পেগ এন্টউইসটল’ হলিউডের এইচ অক্ষরের উপর থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। এরপর ১৯৪০ সালে ওই সাইনের কেয়ারটেকার আলবার্ট কোথ পাহাড়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই এইচ অক্ষরের উপরই পড়েছিলেন। ওই দুর্ঘটনায় কোথ বেঁচে গেলেও এইচ অক্ষরটি দুমড়ে মুচড়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল অনেকদিন। ১৯৪৯ সালে হলিউড চেম্বার অব কমার্স ‘ল্যান্ড’ শব্দটি বাদ দিয়ে এটিকে হলিউড সাইন হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যেগ নেয়। কাঠ এবং টিনের শিট দিয়ে তৈরি করা হয় সাইনটি। তবে অল্পদিনেই হলির ‘ও’ অক্ষরটি ভেঙে ইউ আকার ধারণ করে এবং ‘উড’-এর একটা ‘ও’ গায়েব হয়ে যায়। ১৯৭৮ সালে হলিউড চেম্বার মোটা অঙ্কের ডলার খরচ করে অস্ট্রেলিয়া থেকে স্টিল শিট এনে সাইনটি নতুন করে স্থাপনের কাজ শুরু করে। আর ওই বছর ১৪ নভেম্বর হলিউডের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে হলিউড সাইন উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু অত্যন্ত বেদনাদায়ক যে উদ্বোধনের কয়েকদিন পরেই একজন স্কুল ছাত্রী এর উপর থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। এরপর থেকে সাইনটির কাছে যাওয়া একেবারেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একসময় এক প্রোমোটিং কোম্পানি ঘরবাড়ি নির্মাণসহ এলাকা উন্নয়নের নামে বিশ্বখ্যাত হলিউড সাইন সরিয়ে ফেলারও পরিকল্পনা করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বব্যাপী আমেরিকার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিত্ব করা হলিউড সাইনটি রক্ষার জন্য স্থানীয়রা উদ্যোগ গ্রহণ নেন। জায়গাটি কিনে নেওয়ার জন্য ‘দ্যা ট্রাস্ট ফর পাবলিক ল্যান্ড’ নামে একটি ফান্ড গঠন করা হয়।
অভিনেতা ও ক্যালিফোর্নিয়ার তৎকালীন গভর্নর আর্নল্ড শোয়ার্জনিগারের উদ্যোগে আমেরিকার পঞ্চাশটি রাজ্য ও কয়েকটি বিদেশি রাষ্ট্র থেকে সাহায্য আসে। চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত শিল্পী এবং কলাকুশলীসহ হাজারো মানুষ এই সাইন রক্ষায় মাঠে নামেন। ওই সময় বিশ্বখ্যাত প্লেবয় ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা হিউ হেফনার এককভাবে ৯ লাখ ডলার অনুদান দেন। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অনুদান নিয়ে ১ কোটি ২৫ লাখ ডলারের সংস্থান করে ১৩৮ একর ভূমি রক্ষা করা হয়। একই সঙ্গে আগামী পৃথিবীর জন্যই রক্ষা করা হয় হলিউড সাইন। হলিউড সাইন এখন হলিউডের নিজস্ব সম্পত্তি। এখানে ঘর বাড়ি করার জন্য আর কোনও প্রোমোটিং কোম্পানি ছুটে আসে না।
লস অ্যাঞ্জেলস আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। বিশ্বের এই সৃজনশীল শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে আছে বিশ্ববিখ্যাত হলিউড, আছে ডিজনিল্যান্ড, আছে অস্কার আয়োজনকারী ডলবি থিয়েটার, ইউনিভার্সাল স্টুডিওসহ নামকরা আর সব স্টুডিও। রয়েছে মাদাম তুসো মিউজিয়ামও। সবার উপরে আছে মন মাতানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর অনন্য প্রশান্ত মহাসাগর। এখানকার নাগরিকদের প্রতি ছ’জনের একজন কোনও না কোনও সৃষ্টিশীল প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গোটা মানব সভ্যতার ইতিহাসে পৃথিবীর আর কোনও শহরে একসঙ্গে এত বেশি শিল্পী-লেখক-নির্মাতা বসবাস করেনি। তবে, অন্য আরেকটা ব্যাপার তারা বলতে ভুলে গিয়েছে। আমেরিকার ইতিহাসে অন্য আর কোনও শহরে একসঙ্গে এত বেশি ট্র্যাফিক জ্যামও সৃষ্টি হয়নি। ট্র্যাফিক জ্যামের জন্য গোটা আমেরিকায় কুখ্যাত এই শহর। তবুও এত এত দর্শনীয় জিনিস এই শহরে। কোনটা রেখে কোনটা দেখবেন!
ধরুন ডলবি থিয়েটার লাগোয়া মার্শাল ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের কথাই। ঠিকানা ৭০১৩ হলিউড বুলেভার্ড। ৮৯তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস পাওয়া ‘লা লা ল্যান্ড’-এর নামেই এই স্টোরের নাম। যেখানে রয়েছে এলভিস প্রেসলির বিখ্যাত সেই আকাশি রঙের ক্যাডিল্যাক গাড়িটি। গোটা স্টোর জুড়েই হলিউডের নানা রেপ্লিকা। কিন্তু এই বিশাল স্টোরের নাম কেন ‘লা লা ল্যান্ড’ বেছে নেওয়া হয়েছে জানেন? আসলে লা লা ল্যান্ড মানেই লস অ্যাঞ্জেলেস। লা লা ল্যান্ড মানেই হলিউড। আবার লা লা ল্যান্ড মানে এমন একটা জায়গা, যেখানে রোজ শ’য়ে শ’য়ে মানুষ আকাশকুসুম স্বপ্ন নিয়ে আসেন। এই সিনেমা স্বপ্ন দেখতে শেখা আর স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখা নিয়ে। বিষণ্ণ সময়ে ‘লা লা ল্যান্ড’ আশার আলো দেখায়। হলিউডের আড়ম্বরকে ফের ভালবাসতে শেখায়। বলেছিলেন মার্শাল ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের কর্মী এমা ক্যালম্যান। 
20th  October, 2019
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অপরূপ মালয়েশিয়া 
উত্তরা গঙ্গোপাধ্যায়

থাইল্যান্ড বা সিঙ্গাপুরের থেকে কোনও অংশে কম নয় মালয়েশিয়া। কিন্তু তবুও যেন এখনও পর্যটক মহলে তেমনভাবে জায়গা করে নিতে পারেনি। তাই সিঙ্গাপুর বা থাইল্যান্ডের সঙ্গে জুড়ে নিতে পারেন এ দেশের রাজধানী শহর কুয়ালালামপুর। বছরের যে কোনও সময় যাওয়া যায়। 
বিশদ

17th  November, 2019
অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে ভারতীয় পর্যটকদের বিশেষ প্যাকেজ

ভারতীয় পর্যটকদের কাছে গত কয়েক বছর ধরেই বিদেশ সফরের গন্তব্য তালিকায় অস্ট্রেলিয়া উপরের দিকে এসেছে। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপ। তাই ভারতীয় পর্যটকদের জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকার বিশেষ সুযোগ সুবিধা নিয়ে এসেছে। ট্যুরিজম অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে নিশান্ত কাশিকরের সঙ্গে কথা বললেন শুভজিৎ ঘোষ।
বিশদ

03rd  November, 2019
পশ্চিমবঙ্গের নতুন পর্যটন কেন্দ্র আসাননগরের লালন মেলা 

বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী: পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিকতম পর্যটনকেন্দ্র নদীয়া জেলার আসাননগরে সাড়ম্বরে পালিত হতে চলেছে লালন মেলা। এই মেলা এই বছর ৩০ বছরে পদার্পণ করল। বাউলশ্রেষ্ঠ লালন শা ফকিরের ১২৯তম তিরোধান দিবস (মৃত্যু ১৮৯০) উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হতে চলা এই মেলাটি বিশ্ব শান্তি, মানব মৈত্রী ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদ্দেশে নিবেদিত হতে চলেছে। 
বিশদ

03rd  November, 2019
বারাণসীর দেব দীপাবলি উৎসব 

অয়ন গঙ্গোপাধ্যায়: গঙ্গাতীরের বারাণসী। হাজার বছরের পুরনো এই জনপদ ভারতীয় সনাতন ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির আধারভূমি। বারাণসীর গঙ্গাছোঁয়া শতাধিক ঘাটে, পুরনো মহল্লায়, আলোছায়া মাখা গলিপথে আজও ইতিহাসের ছোঁয়া মেলে। 
বিশদ

03rd  November, 2019
মহীশূর হাম্পিতে দোতলা বাস 

কর্ণাটক পর্যটন দপ্তর মহীশূর ও হাম্পিতে সাইট সিয়িং করানোর পরিকল্পনা নিয়েছে দোতলা বাসে।  বিশদ

20th  October, 2019
দেবীর ৫১ পীঠ এবার ত্রিপুরায় 

ত্রিপুরা সরকার গোমতী জেলার উদয়পুরে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের কাছে গড়ে তুলছে ৫১ শক্তি পীঠ। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও তিব্বতে ছড়িয়ে থাকা শক্তি স্থলগুলিকে অনুকরণ করে একত্রে নিয়ে আসছে পর্যটন দপ্তর।  বিশদ

20th  October, 2019
ঐতিহ্যশালী পাহাড়ি দুর্গ 

 রাজস্থানের উদয়পুরের নিকট রাজসমন্দ জেলায়, আরাবল্লীর কোলে অবস্থিত কুম্ভলগড় ফোর্ট। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যার উচ্চতা ৩ হাজার ৬০০ ফুট। উদয়পুর থেকে গাড়িতে প্রায় ৮৬ কিমি পথ।  বিশদ

20th  October, 2019
টিকটক 

বিশ্বের অন্যতম আশ্চর্যজনক স্টেশন
দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি রেলওয়ে টার্মিনাস। বিশ্ব ঐতিহ্যের তকমা প্রাপ্ত এই ভিক্টোরিয়ান আমলের রেল স্টেশনটি সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম আশ্চর্যজনক স্টেশনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান ছিনিয়ে নিয়েছে। 
বিশদ

15th  September, 2019
পাহাড়ের কোলে ছোট্ট গ্রাম 

লাভা ও লোলেগাঁওয়ের কথা আমরা অনেকেই শুনেছি। তারই পাশে ছোট্ট গ্রাম রিশপ। লাভা থেকে জঙ্গলের পথে ট্রেকিং করেও যাওয়া যায় ৫ কিমি পথ। পথের দৃশ্য খুবই সুন্দর। রিশপের উচ্চতা প্রায় ২ হাজার ৫৯১ মিটার। 
বিশদ

15th  September, 2019
মহীশূরের দশেরা উৎসব
অয়ন গঙ্গোপাধ্যায়

প্রাসাদের শহর মহীশূর কর্ণাটকের এক ইতিহাস প্রসিদ্ধ পর্যটনকেন্দ্র। ওয়াদিয়ার রাজাদের হাতে গড়ে ওঠা এই শৈল্পিক শহরে ছড়িয়ে আছে একাধিক দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মহীশূর প্রাসাদ। শহরের বিউটিস্পট এই প্রাসাদ যেন এক স্বপ্নপুরী।  
বিশদ

15th  September, 2019
নতুন নামে, নতুন সাজে দুর্গাপুরের দ্য দামোদর রিট্রিট 

সম্প্রতি সাধারণ পর্যটকের জন্য খুলে দেওয়া হল দুর্গাপুরের দ্য দামোদর রিট্রিট হোটেল। পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের এই হোটেলটির একসময় নাম ছিল রিভিয়েরা। জেটেক্স ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস নামক এক বেসরকারি সংস্থার পরিচালনাধীন ছিল হোটেলটি।  
বিশদ

15th  September, 2019
লাটপাঞ্চারে দেখা হতে পারে রেড পাণ্ডার সঙ্গে 

অজন্তা সিনহা: প্রথম একা একা বেড়াতে যাওয়া এবং এক অনামি পাহাড়ি গ্রামে। প্রায় দু’দশক আগে এক বাঙালি মধ্যবিত্ত মহিলার পক্ষে ব্যাপারটা যথেষ্ট দুঃসাহসিক ছিল বলাই বাহুল্য। মনে পড়ছে ট্রেনের কথা। কামরায় একটি বড় পরিবার ছিল। পরিবারের মহিলাদের একজন তো অবাক হয়ে জিজ্ঞেসই করে ফেললেন, ‘আপনার স্বামী আপনারে একা ছাইড়া দিল?’ খুব মজা পেয়েছিলাম।  
বিশদ

01st  September, 2019
ছোট্ট গ্রাম চটকপুর 

দার্জিলিং জেলার সিঞ্চল ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি মধ্যস্থিত একটি ছোট্ট গ্ৰাম চটকপুর। বড় বড় পাইন গাছের মধ্যে ১৮/২০ টি বাড়ি নিয়ে তৈরি গ্রামটি। আকাশ পরিষ্কার থাকলে ১৮০° পর্যন্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা রেঞ্জ স্পষ্ট দেখা যায় গ্রামের যেকোনও প্রান্ত থেকে। ভোরের সোনালি আলোয় আর সন্ধের রুপোলি আলোয়, এক অদ্ভুত মায়াজগৎ রচনা করে সে।  
বিশদ

01st  September, 2019
টিকটক 

রাতের তাজ
শ্বেতশুভ্র তাজকে পূর্ণিমায় দেখার সৌভাগ্য সবার হয় না। পূর্ণিমা না থাক,অন্ধকারের আলোকেও মায়াময় হয়ে ওঠে মমতাজের স্মৃতি। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের রাতের তাজ দেখানোর জন্য নানামহল থেকে অনুরোধ এসেছে পর্যটন মন্ত্রকের দপ্তরে। 
বিশদ

01st  September, 2019

Pages: 12345

একনজরে
বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যে হয় হয়। কান্নুরের আকাশজুড়ে ছড়িয়ে লালচে আভা। কিছুটা দূরে ধুলোর কুণ্ডলি পাকিয়ে উঠেছে। একটু ভালো করে তাকাতেই বোঝা গেল, দ্রুতগতিতে একটা গাড়ি ...

হ্যামলিনের সেই বাঁশিওয়ালার গল্প জানতে বইয়ের পাতা ওল্টাতে হয়। তাঁর বাঁশির সুরে মুগ্ধ হয়ে সকলেই বেরিয়ে আসতেন। বাস্তবে সেই চিত্র যেন ধরা পড়ল বর্ধমানে তৃলমূল ...

জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলতে দেশে ফিরে গিয়েছেন বাংলাদেশের পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যাশা করা হচ্ছিল চোট সারিয়ে ফিরবেন মাথিশা পাথিরানা। ...

পড়ায় মন বসছিল না। স্কুলে যেতেও ভাল লাগত না। গত ২ মে স্কুল থেকেই অজানার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েছিল চার শিশু। বয়স আট থেকে দশ বছর। পায়ে হেঁটে চার বন্ধু পৌঁছয় মানকর রেল স্টেশনে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক নো-ডায়েট দিবস
১৫৪২: প্রথম খ্রিস্টান মিশনারি ফ্রান্সিস খ্যাভিয়ের গোয়ায় আসেন
১৫৮৯: ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ সঙ্গীতজ্ঞ, আকবরের সভার নবরত্নের অন্যতম তানসেনের মৃত্যু
১৭৩৩: প্রথম আর্ন্তজাতিক বক্সিং ম্যাচে বব হুইটেকার টিটু ডি কার্নিকে হারায়
১৭৭৫: ব্রিটিশ রাজের হাতে মহারাজ নন্দকুমার গ্রেফতার
১৮৪০: ইংল্যান্ডে প্রথম ডাকটিকিট চালু হল
১৮৫৬: অস্ট্রিয়ার মনোবিজ্ঞানী সিগমুন্ড ফ্রয়েডের জন্ম
১৮৫৭: মঙ্গল পাণ্ডেকে সিপাহি বিপ্লবের প্রথম শহীদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়
১৮৬১: স্বাধীনতা সংগ্রামী মতিলাল নেহরুর জন্ম
১৮৮৯: সকলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত হল প্যারিসের আইফেল টাওয়ার
১৯১১: পিকাসোর আঁকা ৩ কোটি ডলার মূল্যমানের ছবি প্রাগ ন্যাশনাল গ্যালারি থেকে চুরি হয়
১৯৪০: উইন্সটন চার্চিল বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন
১৯৫৩: ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের জন্ম
১৯৮১: ক্রিকেটার লক্ষ্মী রতন শুক্লার জন্ম
১৯৮৩: অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদ গগন নারাংয়ের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৬ টাকা ৮৪.৩০ টাকা
পাউন্ড ১০২.৯৮ টাকা ১০৬.৪৩ টাকা
ইউরো ৮৮.৩১ টাকা ৯১.৪৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  May, 2024

দিন পঞ্জিকা

২৩ বৈশাখ, ১৪৩১, সোমবার, ৬ মে ২০২৪। ত্রয়োদশী ২১/৩০ দিবা ২/৪১। রেবতী নক্ষত্র ৩১/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৪৩। রেবতী নক্ষত্র ৩১/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৪৩। সূর্যোদয় ৫/৪/৫৩, সূর্যাস্ত ৬/১/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১০/১৭ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৫ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/১১ গতে ২/৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৬ গতে ৫/৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪২ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ২/৪৮ গতে ৪/২৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৩ মধ্যে। 
২৩ বৈশাখ, ১৪৩১, সোমবার, ৬ মে ২০২৪। ত্রয়োদশী দিবা ১/২। রেবতী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/৩১। সূর্যোদয় ৫/৫, সূর্যাস্ত ৬/৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫১ গতে ৯/১ মধ্যে ও ১১/১২ গতে ২/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৮ গতে ৫/১৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৩ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১১ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। 
২৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ৫১ বলে সেঞ্চুরি সূর্যকুমার যাদবের, হায়দরাবাদকে ৭ উইকেটে হারাল মুম্বই

11:26:11 PM

আইপিএল: ৩০ বলে হাফসেঞ্চুরি সূর্যকুমার যাদবের, মুম্বই ১০৯/৩ (১২.২ ওভার) টার্গেট ১৭৪

10:57:36 PM

আইপিএল: মুম্বই ৯৩/৩ (১১ ওভার) টার্গেট ১৭৪

10:49:35 PM

আইপিএল: শূন্য রানে আউট নমন ধীর, মুম্বই ৩১/৩ (৪.১ ওভার) টার্গেট ১৭৪

10:14:49 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট রোহিত শর্মা, মুম্বই ৩১/২ (৩.২ ওভার) টার্গেট ১৭৪

10:10:53 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট ঈশান কিষাণ, মুম্বই ২৬/১ (১.৪ ওভার) টার্গেট ১৭৪

10:00:53 PM