উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
চরিত্রের প্রস্তুতি
‘যুধরা’ হয়ে ওঠা সিদ্ধান্তের জন্য নেহাত সহজ ছিল না। প্রতিটি চরিত্র অনুযায়ী শারীরিক এবং মানসিক ভাবে নিজেকে বদলে ফেলা পেশাদার অভিনেতার কাজ। সিদ্ধান্তও ব্যতিক্রম নন। তাঁর কথায়, ‘চরিত্র অনুযায়ী নিজের রূপান্তর ঘটানো আমার কাজ। তবে কোনও রকম চোট, আঘাত যাতে না লাগে সেটা খেয়াল রেখেছিলাম। চোট পেলে শ্যুটিং বন্ধ হয়ে যেত। তাতে প্রযোজকের বিপদ। শ্যুটিং শুরুর আগে অনেকটা সময় নিয়ে মার্শাল আর্ট, জুজুৎসু, জিমন্যাস্টিকের ট্রেনিং নিয়েছি। যাতে আমার অ্যাকশন দৃশ্যগুলো পর্দায় বাস্তবের মতো দেখায়।’
বক্স অফিসের উত্তেজনা
নায়কের চরিত্রের অফার সিদ্ধান্ত আগেও পেয়েছেন। নিজেকে একাধিকবার প্রমাণ করেছেন। কিন্তু একক নায়ক হিসেবে এই ছবিতে প্রথমবার সুযোগ পেলেন। বক্স অফিসের চাপ এবার তাঁর একার কাঁধে। সেই দায়িত্ব স্বীকার করে নিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘চাপ নয়, বরং উত্তেজনা বলব। আমরা প্রচুর পরিশ্রম করেছি। আর অফুরান ভালোবাসা দিয়ে তৈরি করেছি ছবিটা। পরিশ্রম করা আর নিজের সেরাটা দেওয়া আমার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাকিটা আমার হাতে নেই। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী, ছবিটা বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করবে।’
ঝুঁকি নেওয়ার অভ্যেস
তথাকথিত বাণিজ্যিক ছবির বাইরে অন্য ধারার চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিলেন সিদ্ধান্ত। তার কারণ ব্যাখ্যা করে বললেন, ‘পর্দায় হয়তো একবার বা দু’বার ম্যাজিক সৃষ্টি করার সুযোগ পাব, সবসময় নয়। তাই ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আমিও চেষ্টা করছি। সত্যি বলতে একই ধরনের চরিত্রের অফার পেলে একঘেয়ে লাগে। ‘গাল্লি বয়’-এর পর আমি একই ধরনের চরিত্রের প্রস্তাব পাচ্ছিলাম। আবার আমাকে অনেকে বলেছেন যে আমার বয়স কম, তাই আমার রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয় করা উচিত। আমি সবসময় অন্য ঘরানার ছবিতে অভিনয় করতে চেয়েছি। বক্স অফিস নিয়ে ভয় পেলে তো বলব, আমার নিজের প্রতিভার উপরই বিশ্বাস নেই। ফলে ঝুঁকি নিতেই হবে।’
শেখার সুযোগ
প্রতিটা চরিত্র সিদ্ধান্তকে নতুন কিছু শেখায়। ফলে প্রতিটা চরিত্রের কিছুটা অংশ তাঁর সঙ্গে আজীবন থেকে যাবে। অভিনেতার কথায়, ‘আমি ‘গাল্লি বয়’-এ র্যাপ শিখেছি। ‘ইনসাইড এজ’-এ বোলিং শিখেছি। ‘খো গয়ে হম কহাঁ’তে স্ট্যান্ড আপ পারফরম্যান্স শিখেছি। এই ছবিতে শিখলাম জুজুৎসু। এই শেখার সুযোগ সকলে পায় না। এটা চমৎকার অভিজ্ঞতা।’