কর্মস্থলে জটিলকর্মে অনায়াস সাফল্য ও প্রশংসালাভ। আর্থিক দিকটি শুভ। ক্রীড়াস্থলে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ
সিনেমার সমালোচনা: দ্য বাকিংহাম মার্ডারস
হংসল মেহতার ‘দ্য বাকিংহ্যাম মার্ডারস’এর শ্যুটিং চলাকালীনই করিনা জানিয়েছিলেন, তাঁর চরিত্রটি কেট উইন্সলেট অভিনীত ‘মেয়ার অফ ইস্টটাউন’ চরিত্রটির থেকে অনুপ্রাণিত। যারা এই সিরিজটি দেখেছেন, তাঁরা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন, কেন করিনা একথা বলেছিলেন। অসীম আরোরার লেখা এই দ্রুতগতির থ্রিলারটি পর্দায় তুলে ধরতে গিয়ে পরিচালক বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন। কমবয়সি কিছু ছেলে, যারা হঠাৎ এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ধ্বংসলীলায় মাতে, তারা কেন একাজ করে? সমাজ থেকে বহিষ্কৃত হতে হতে এদের মানসিক চাপ ঠিক কতটা গভীর হলে, কোনও মানুষের আনন্দ তাদের আর সহ্য হয় না? কেন পারিবারিক বিবাদ আজও সাম্প্রদায়িক কলহে পরিণত হয়? তার জেরে বহু সাধারণ মানুষের প্রাণ যায় বিনা কারণে? আর কেন আজও কিছু মহিলা স্বামীর সঙ্গে মৃত সম্পর্কগুলি টিকিয়ে রাখে?
আগের ছবিগুলির মতো এখানেও হংসল সাধারণ মানুষের মনের কথা পড়তে চেয়েছেন। তাঁদের দিকের গল্পগুলো তুলে ধরতে চেয়েছেন। যদিও মানুষের মন বোঝা ভার। তবুও হংসল সেই জটিল মনস্তত্বগুলো নিয়েই তাঁর ছবির চরিত্রদের বুনেছেন। মহামারীর কারণে মাকে হারানো দলজিত কোহলি (রণবীর ব্রার) ব্যবসাও হারিয়ে ফেলে। পরে নিজের সন্তানের মৃত্যুও দেখতে হয় তাকে। প্রতিদিন স্বামীর মারধর সহ্য করা এক গৃহিণী প্রীতি (প্রভলীন সান্ধু)। আরও এক পুলিস গোয়েন্দা হার্দিক (অ্যাশ ট্যান্ডন), যার মনে বহু বছর ধরে জমে রয়েছে ক্ষোভ। এই চরিত্রদের বহু যত্নে গড়েছেন পরিচালক। সহ অভিনেতারা যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন। বিশেষ করে রণবীরের অভিনয় প্রশংসনীয়। তবে এই ছবি আদতে করিনারই। রাগ, দুঃখ, আবেগ, অসহায়তা – সব মিলিয়ে নায়িকা প্রায় সবটুকু উজাড় করে দিয়েছেন। গ্ল্যামারের ধার ধারেননি। বরং গোটা ছবিতে কালো আর মেরুন ছাড়া আর কোনও রঙের পোশাক পরেননি। মনে যে তোলপাড় চলছে, তা সূক্ষ্ম অভিব্যক্তিতে মুখ-চোখে ফুটিয়ে তুলেছেন। চিত্রপরিচালক এম্মা ডালস্ম্যান যে রঙের প্যালেট ব্যবহার করেছেন, তা প্রশংসনীয়।
দেবত্রী ঘোষ