ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
দেবপ্রতিম দাশগুপ্তের আসন্ন ছবি ‘আবার আসিব ফিরে’তে ঋতব্রত অভিনয় করেছেন। তাঁর চরিত্র প্রদ্যুৎ সরকার ওরফে প্যাডি আমেরিকা থেকে কয়েকদিনের জন্য বাংলায়, নিজের পিতৃপুরুষের ভিটেতে বেড়াতে আসে। প্রতিপত্তিশালী দাদু (ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়) বঙ্গভূমি চেনানোর জন্য তার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাজ দিয়ে নাতিকে নানা জায়গায় পাঠাতে থাকে। বঙ্গভূমির সাংস্কৃতিক বৈচিত্র দেখতে দেখতে মার্কিনী কেতায় বড় হওয়া প্যাডির চোখ থেকে পাশ্চাত্য দুনিয়ার রঙিন চশমার কাচ ক্রমশ স্বচ্ছ হতে শুরু করে। ঋতব্রতর পর্যবেক্ষণ, ‘নাটকের সূত্রে ছোটবেলা থেকেই পশ্চিমবঙ্গের প্রচুর জায়গায় একাধিকবার গিয়েছি। তবে এই ছবির শ্যুটিং আমার খুব আকর্ষণীয় লেগেছিল। কারণ ছবিতে এক একটি অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে। যেমন বাঁকুড়ার টুসু গান, সুন্দরবনের বনবিবির পাঁচালী গান। বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে এমন কিছু তথ্য পেয়েছি যা আগে জানতাম না।’ সেখানেও তিনি দেখেছেন, দু’ঘন্টা ধরে টুসু, ভাদু, যাত্রা, পালাগান বা সিনেমা দেখতে মানুষ আর চাইছেন না। সকলেই এখন আট সেকেন্ডের রিলস দেখতে বেশি আগ্রহী। কিছুটা অসহায় ভাবে ঋতব্রত বললেন, ‘আমি বা আমাদের প্রজন্মের সেই বাণিজ্যিক শক্তিটা এখনও তৈরি হয়নি। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে অভিনয় করতে পারি শুধু। এমন একটা সময় আসতে চলেছে যখন বহু শিল্পীর সঙ্কট দেখা দেবে। তখন তাঁরা শুধুমাত্র সমাজমাধ্যমের ‘ইনফ্লুয়েন্সার’ হয়ে যাবেন।’
নিজের জনপ্রিয়তা মেপে দেখার জন্য কোনও সময়েই রিলস বানানো প্রয়োজন মনে করেননি ঋতব্রত। বরং নিজেদের নাট্যদলের (নাট্য আনন) প্রচারের মাধ্যম হিসেবেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন তিনি। ‘এই ব্যাপারে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এক নম্বরে। এর মাধ্যমে কাজের খবর সহজেই ছড়িয়ে দেওয়া যায়। তবে আমার ধারণা সোশ্যাল মিডিয়া অনুঘটক মাত্র। যেদিন তাকে জীবনের ধ্রুবতারা করে ফেলব, তখনই সর্বনাশ’, বললেন তিনি।
ছবি : দীপেশ মুখোপাধ্যায়