বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠনপাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
লড়াইটা যে কতটা সেয়ানে সেয়ানে হতে চলেছে তারই সামান্যতম ইঙ্গিত পাওয়া গেল আরবসাগরের তীরে জুহুর এক পাঁচতারা হোটেলে। এবারের প্রতিযোগীদের মধ্যে বাছাই করা চারজন জমিয়ে দিল সঙ্গীতের সান্ধ্য আসর। কেউ গাইল ‘বর্ডার’ ছবি থেকে ‘সন্দেশে আতে হ্যায়’ কেউ ধরল ‘মেরে রাসকে কমর’। নেপালের প্রীতম, মুম্বইয়ের মিথিলা, গাজিপুরের হৃতিক আর গুয়াহাটির আস্থার গান দিয়েই যেন এবারের জিটিভি সারেগামাপা লি’ল চ্যাম্পের পাঞ্চজন্য শাঁখ বাজল।
বিচারকের আসনে পাওয়া যাবে শান, রিচা শর্মা ও আমাল মালিককে। শো উপস্থাপনাতেও থাকছে চমক। জিটিভির ‘জামাই রাজা’ সিরিয়াল খ্যাত রবি দুবেকে দেওয়া হয়েছে সঞ্চালনার দায়িত্ব। বছর চারেক পর শানকে দেখা যাবে এই শোতে। এ বিষয়ে এই গায়ক বিচারকের বক্তব্য, ‘বিষয়টা অনেকটা ঘরের ছেলের ঘরে ফেরার মতো।’ তিনি জানালেন, অডিশন থেকে মোট ৭৫জনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। এরপর দুটো এলিমিনেট রাউন্ডে সংখ্যাটা কমে ৪৮, পরে ৩০-এ দাঁড়ায়। তারপর আরও একটি এলিমিনেশন রাউন্ড হয়, সেখান থেকে মূল অনুষ্ঠানের জন্য ১৬জন খুদে গায়ককে বেছে নেওয়া হয়েছে।
সোনা মহাপাত্র ছেড়ে যাওয়ার পর সিনিয়র সারেগামাপার বিচারকের দায়িত্ব সামলেছিলেন রিচা শর্মা। এবার লি’ল চ্যাম্পেও তাঁকে দেখা যাবে একই আসনে। বড়দের সামলানো একরকম। বাচ্চাদের কীভাবে সামলাবেন? এ বিষয়ে রিচার বক্তব্য, ‘অসুবিধার কি আছে! আমি একান্নবর্তী পরিবারে বড় হয়েছি। সেখানে কারও আমি দিদি, কারও পিসি। এটাও তো পরিবারের মতো। সত্যি বলতে কোনও বাচ্চার বাদ যাওয়ার মুহূর্তটা বিচারকদের সামলাতে হয়। বাকি সময় তো সামলানোর জন্য একটা টিম রয়েছে।’ এই ধরনের রিয়ালিটি শোতে শিশুদের উপর অভিভাবকদের প্রত্যাশাপূরণের চাপ থাকে বলে বার বার অভিযোগ ওঠে। যদিও ব্যাপারটি মানতে নারাজ রিচা। তাঁর বক্তব্য, ‘আমাদের অনুষ্ঠানে কোনও ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা নেই। আমি নিজে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে বুঝিয়েছি। ভবিষ্যতে দরকার হলে আবার বলব।’
তিন বিচারকের প্যানেলে সর্বকনিষ্ঠ মিউজিক কম্পোজার আমাল মালিক। সম্পর্কে বলিউডের সফল মিউজিক ডিরেক্টর অন্নু মালিকের ভাইপো। অল্প বয়সে এমন একটা গুরুভার পেয়ে যথাযথ দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করবেন বলে জানালেন আমাল। তাঁর ভাই আরমান মালিক একসময় লি’ল চ্যাম্পে অংশ নিয়েছিলেন। ভাইয়ের সূত্রেই লি’ল চ্যাম্পের যাত্রাটা বেশ পরিচিত তাঁর। অবশ্য, বিচারকের দায়িত্ব পেয়ে বাচ্চাদের বড় দাদার মতো সামলাবেন বলে কথা দিলেন আমাল। পাশাপাশি, তাঁর বক্তব্য, অতিরিক্ত মিষ্টি কথা প্রতিযোগীদের ভুল পথে নিয়ে যেতে পারে। তাই যেটা সত্য সেটাই বলা উচিত একজন বিচারকের।