সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
এহেন ভূতের রাজা যে ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ ছবির ভূতের রাজার মতো ‘ভালো ভূত’ হবে সেকথা না বলে দিলেও চলে। বিপদে পড়ে এই ভূতের রাজার শরণাপন্ন হয় এক চোর ও এক টিকিট ব্ল্যাকার। রাজার সহায়তায় তাদের জীবনের সমস্যার সমাধান হয় কি না এবং তারা জয়লাভ করে কি না তা নিয়েই ‘সৎ ভূত অদ্ভুত’। ছবির চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন পরিচালক প্রীতম সরকার নিজেই। ভূতের রাজার ভূমিকায় রয়েছেন পরাণ বন্দ্যোাপাধ্যায়। পরিচালক বললেন, ‘আমার ছবির ভূতের রাজার সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ের ছবির ভূতের রাজার কোনও মিল নেই। ছবিটি মূলত কমেডি। দর্শক কোনও বার্তা খুঁজে পেতেই পারেন। তবে, এটাকে রাজনৈতিক নয় সামাজিক স্যাটায়ার বলব। সৎ থাকা ভূত মানুষের মাথায় চাপলে তখন তার জীবনে যেসব অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে থাকে তারই গল্প বলবে এই ছবি।’
কথা শেষ হতেই চোখে পড়ল কঙ্কালের পোশাক পরে, বরফির মতো মুকুট মাথায় ফ্লোরে হাজির পরাণ। বললেন, ‘আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত কত কী ঘটছে। সেই সব ঘটনা পরিচালক নিজের মতো ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছেন। ছবিটায় একটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা রয়েছে তবে সেটা কী এখনই বলতে চাই না। আর ছবির ভূতের রাজা- অনেকটা আমারই মতো।’ অর্থাৎ মজার ভূত—দর্শককে ভয় দেখাবে না। ভূতের রাজার বর যারা পায় সেই চোর ও টিকিট ব্ল্যাকারের ভূমিকায় রয়েছেন যথাক্রমে পার্থ চক্রবর্তী ও প্রসূন গায়েন। প্রসূনের কথায়, ‘কাউকে অনুকরণ করে নয় বরং বলব, পরিচালকের ভাবনা কার্যকর করার বিষয়টি খুবই প্রশংসনীয়।’ ছবিতে এক মন্ত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন খরাজ মুখোপাধ্যায়। সঙ্গীত পরিচালনা করছেন ‘শহর’ ব্যান্ড খ্যাত অনিন্দ্য বোস।