Bartaman Patrika
শরীর ও স্বাস্থ্য
 

বন্যার বিপদ: ডায়ারিয়া ও সর্পাঘাত: চটজলদি কী করবেন?

বিপদ যখন পেটের অসুখ
বান-বন্যায় ডায়ারিয়া তো বটেই, তার সঙ্গে অন্যান্য পেটের সংক্রমণ থেকেও বাঁচার একাধিক উপায় আছে। পরামর্শ দিলেন বিশিষ্ট চিকিত্‍সক ডাঃ সত্যপ্রিয় দে সরকার।

বন্যাকবলিত অঞ্চলে ডায়ারিয়া
জলবাহিত রোগের অন্যতম ডায়ারিয়া। বন্যাকবলিত অঞ্চলে বা অতিবৃষ্টিতে এই ব্যাকটেরিয়া-ঘটিত অসুখের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। এটি প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের সচেতনতার পাশাপাশি প্রশাসনকেও সতর্ক থাকতে হবে। এসময় জল জমে পুকুরঘাট, নদীনালার জলস্তর একাকার হয়ে যায়। অনেক জায়গায় খাওয়ার জলের পাইপের মধ্যে রাস্তার নোংরা জমা জল মিশে যায়। বাধ্য হয়েই সেই নোংরা, ঘোলাটে জলে ঘর-গেরস্থালির সব কাজ সারতে হয়। এমনকী, সবচেয়ে বড় অসহায়তা, এই জলেই শৌচকর্ম সারতে হয়। পানের উপযুক্ত জলটুকুও থাকে না। ফলে বন্যাকবলিত এলাকায় নিজের বর্জ্যেই নিজে অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। শরীরে বিষ মেশার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নেয় মানববর্জ্য। হানা দেয় ডায়রিয়ার মতো অসুখ। এই অসুখে ঠিক সময়ে চিকিৎসা ও যত্ন না পেলে বারংবার শরীর থেকে জল ও মিউকাস বেরতে থাকে। ফলে একটা সময় শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটে ভারসাম্য নষ্ট হয়। পটাশিয়ামের পরিমাণ শিশু ও বয়স্কদের শরীরে বেশি মাত্রায় কমে। সময়ে চিকিৎসা না হলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। এই ধরনের ডায়ারিয়ায় জ্বর, গায়ে হাত-পায়ে ব্যথা, মাথা ধরা, জিভ শুকিয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ থাকতে পারে।  
এসব জায়গায় ডায়ারিয়া রুখতে বিশেষ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন।
 কী ধরনের ব্যাকটেরিয়া থেকে ডায়ারিয়া হল, তার প্রকৃতি কী, এত কিছু খতিয়ে দেখার ও পরীক্ষা করার উপায় বন্যাকবলিত অঞ্চলে থাকে না। তাই ওআরএস-এর পর্যাপ্ত জোগান থাকতেই হবে। বন্যাবিধ্বস্ত অঞ্চলে মানুষজনের ডায়ারিয়ার উপসর্গ থাক বা না থাক, প্রত্যেকে যেন ওআরএস নিয়মিত খান। 
 ওআরএসের মতো জিওলিনেরও বিশেষ গুরুত্ব আছে। জিওলিন মেশানো জল এই সময় বন্যার্তদের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত। এক লিটার জলে কতটুকু জিওলিন লাগবে তা জিওলিনের কৌটোর গায়ে লেখা থাকে। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে একটু পরিষ্কার জলে মেশাতে হবে জিওলিন। বন্যাকবলিত অঞ্চলের অধিবাসীরাও এই সময় সতেচন হোন। বাড়ির সবচেয়ে উঁচু জায়গায় কয়েক লিটার জল মজুত করে রাখুন বন্যাপরিস্থিতি তৈরির আগে থেকেই। প্রয়োজনে জলকে ফিল্টার করে জিওলিন মিশিয়ে রাখুন। ত্রানশিবিরেও মজুত থাক জিওলিন দেওয়া জল। তবে অবশ্যই জিওলিনের মাত্রা বুঝে ব্যবহার করতে হবে। 
 বন্যাকবলিত অঞ্চলের কাছে একটি হাসপাতালকে সংক্রামক অসুখের জন্য বিশেষ পরিকাঠামোযুক্ত হাসপাতাল হিসেবে তৈরি রাখা প্রয়োজন। আমাদের রাজ্যে বেশ কিছু অঞ্চল প্রতি বছরই বৃষ্টি ও বাঁধের জল ছাড়ার কারণে বন্যাকবলিত হয়। তাই জল ছাড়ার খবর প্রকাশ্যে আসামাত্রই এই হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত রাখতে হবে। রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে পরিস্থিতি বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আগেই রোগীকে সেখানে পাঠিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। প্রয়োজনীয় ওআরএস, জিওলিন মেশানো জল, অ্যান্টিবায়োটিক, স্যালাইন ও ইঞ্জেকশন সেখানে আগে থেকেই মজুত রাখা উচিত। 
 কিছু ত্রাণশিবিরে ৩০০-৪০০ জন মানুষ আশ্রয় নেন। কোথাও আবার ১০০-১৫০ জন। ৮-১০ জনের জন্য ১টি বায়োটয়লেট বরাদ্দ হওয়া উচিত। তাই মানুষের সংখ্যা বুঝে বরাদ্দ করতে হবে বায়োটয়লেট। 
 ত্রাণশিবিরে খাবার হিসেবে বেশি ফ্লুইড এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ খিচুড়ি রাখুন।

বন্যাকবলিত নয়, তবু ডায়রিয়া! কী করব?
 জল অবশ্যই ফুটিয়ে ঠান্ডা করে বা জিওলিন দিয়ে পরিশুদ্ধ করে ব্যবহার করুন। 
 ওআরএস দিতে হবে রোগীকে। তিন লিটার জলের মধ্যে অন্তত এক লিটার জল খাবেন ওআরএস মিশ্রিত অবস্থায়। 
 খাওয়াদাওয়ায় নজর দিতে হবে এই সময়ে। নিত্য জলের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ভাজাভুজি, তেল মশলাদার খাবার খাওয়া একেবারেই চলবে না।
 এই সময় কোথাও কাঁচা শাকসব্জি খাবেন না। কয়েকটা দিন স্যালাড এড়িয়ে চলুন। 
 বাইরে থেকে ফল কিনে খেলে ভালো করে ধুয়ে নিন। রোগীকে কাঁচা ফলের বদলে আপেলসেদ্ধ দিন। শাকসব্জিও ভালো করে ধুয়ে সুসিদ্ধ করে রান্না করুন।
 ডায়ারিয়া হলে শরীরে পটাশিয়ামের ভাগ কমে। তাই কলা, লেবুর রস, স্যুপ, পেঁপে এসব রাখুন খাদ্যতালিকায়।
লিখেছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়
 
সাপে কামড়ালে করণীয় কী? 
সাপে কাটা রোগীও ১০০ শতাংশ বাঁচবেন। কীভাবে? পরামর্শে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিত্সক ডাঃ শুভেন্দু বাগ।

জলের তলায় আতঙ্ক!
নদীতে বান ডেকেছে আর বাঁধ ভেঙে গ্রামেগঞ্জে হুড়মুড়িয়ে জল সুনামির মতো! সংবাদ মাধ্যমে এই ছবি সকলের নজরে এসেছে নিশ্চয়। যে বাড়ি ছিল নিশ্চিত, নিরাপদ আশ্রয়স্থল— সেই ঘরেই এখন এক গলা জল। গৃহহীন কতশত লোক! বান-বন্যার জল যে শুধুই ভিটে হারা করে তাই নয়, তার সঙ্গে জলের সঙ্গে একাধিক সমস্যাও ডেকে আনে। রোজকার বাঁচার রসদ মেলে না সহজে। ওই গলা পর্যন্ত জল পেরিয়েশুকনো জায়গা থেকে আনতে হয় জল, সব্জি, চাল, ডাল! আর সেই সময়েই ঘটে যায় সর্পদংশনের মতো অঘটন। এমনিতে গাঁ-গ্রামে রাতবিরেতে মাঠে-ঘাটে হাঁটার সময়, মায় বাড়ির দাওয়ায় শুয়ে থাকার সময়েও অনেকে শীতল রক্তের প্রাণীটির ছোবল খান! তবে বন্যার সময় পরিস্থিতি ভিন্ন।
বন্যার জল ঘোলাটে। তার মধ্যে একজন লোক গলা বা কোমর অবধি ডুবিয়ে হাঁটছেন—  এমন অবস্থায় পায়ে সাপ কামড়ালেই চিত্তির! প্রথমত কোন সাপে কামড়ালো তা বোঝার উপায় নেই। ফলে সেই সাপের বিষ আছে নাকি নেই তা জানাও সম্ভব নয়! প্রশ্ন হল করবেন কী?

করণীয়
জলের বাইরেও যদি সাপ কামড়ায়, আর সেই সাপকে যদি চেনা সম্ভব নাও হয়, তাহলেও সাপের পিছনে দৌড়ে তাকে ধরার দরকার নেই। সাপ চেনারও কোনও প্রয়োজন নেই। এমনকী সাপের কামড়ের দাগও মোটেই চিকিত্সকদের কাছে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। কারণ দেখা গিয়েছে নির্বিষ সাপেরও কামড়ের দাগ থাকতে পারে। আবার এও দেখা গিয়েছে যে বিষধর সাপ কামড়েছে অথচ তার কোনও ক্লাসিক্যাল বাইট মার্ক নেই! সামান্য একটা কাটা ছেঁড়ার দাগও থাকতে পারে। ফলে আমরা একেবারেই দেখতে যাব না যে সাপটি বিষাক্ত নাকি নির্বিষ। সুতরাং জলের ভিতরে কিছু একটা পায়ে কামড় দিলে আমাদের প্রাথমিক কাজ একটাই হবে, তা হল যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। পায়ে কোনও সাপ কামড়েছে নাকি পোকা নাকি কোনও গাছের ডালে বা তীক্ষ্ণ ইটের খোঁচা লেগেছে তা বুঝতে পারবেন একমাত্র মেডিক্যাল অফিসার। কারণ সাপের কামড়ের উপসর্গ মেডিক্যাল অফিসাররাই ভালো বোঝেন। 

সর্প পরিচিতি
তবে হ্যাঁ, পশ্চিমবাংলায় যে সাপগুলি আছে তার মধ্যে চারটি সাপের কামড় বেশি খেতে দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষকে। এই তালিকায় থাকবে চন্দ্রবোড়া। এরপর আসবে কালাচ বা কালচিতির (কেউ কেউ সাপটিকে ডোমনাচিতিও বলেন) নাম। এই দুই সাপের ফণা নেই। এই দু’টি ছাড়া তালিকায় যোগ করতে হবে দু’টি ফণাযুক্ত সাপের নাম। প্রথমটি হল গোখরো যার মাথার উপর রয়েছে গোরুর খুরের মতো দাগ। আর একটি সাপ হল কেউটে।
এদের মধ্যে ফণাহীন চন্দ্রবোড়া এবং ফণাযুক্ত গোখরো এবং কেউটে এই সাপগুলি কামড়ালে কামড়ানোর জায়গায় ফুলবে এবং ব্যথাও হবে। তবে কালাচ সাপের দংশনের জায়গাটি ফুলবেও না, ব্যথাও হবে না। এমনকী কামড়ের দাগটুকুও বোঝা যাবে না। এই কারণেই দাগ থাক আর নাই থাক, কোনও কিছু কামড়েছে টের পেলেই সরাসরি সরকারি হাসপাতালে যান। কারণ চন্দ্রবোড়া হচ্ছে রক্ততঞ্চন ধ্বংসকারী সাপ যা কিডনি নষ্ট করে দেয়। কালাচ, কালচিতি বা ফণাযুক্ত গোখরো কেউটে ভয়ঙ্কর নিউরোটক্সিক যা স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে। ফলে রেসপিরেটরি ফেলিওর হয়ে রোগী মারা যায়।

কোথায় নিয়ে যাবেন?
কোনও ওঝা বা গুনিনের কাছে নিয়ে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না। সাপে কামড়ের পর প্রতিটি মিনিট গুরুত্বপূর্ণ। তার উপর বন্যা পরিস্থিতিতে এমনিতেই রোগীকে উপযুক্ত পরিবহণ খুঁজে নিয়ে যেতেই সময় নষ্ট হয়। তাই কোনওভাবেই ঝুঁকি নেবেন না। রোগীকে সবসময় নিয়ে যেতে হবে সরকারি হাসপাতালে। মনে রাখবেন, বেসরকারি হাসপাতালে এভিএস (অ্যান্টিভেনম সিরাম) পাওয়া যায় না। একমাত্র সরকারি হাসপাতালেই এভিএস  মেলে। 

বাঁধন দেবেন?
না, বাঁধন দেওয়ার প্রয়োজন নেই। শুধু যেখানে কামড়ালো, তার পরের জয়েন্ট এবং আগের জয়েন্টে একটা স্কেল বা গাছের ডালের মতো কিছু দিয়ে বেঁধে দিন। ঠিক যেভাবে কারও হাত কিংবা পা ভেঙে গেলে আমরা বাঁধন দিই সেভাবে দিতে হবে বাঁধন। এর ফলে সাপের কামড় খাওয়া অঙ্গটির নড়াচড়া যতখানি কম করা সম্ভব হবে। আর এভাবেই রোগীকে নিয়ে যেতে হবে হাসপাতালে।

অবশ্যই স্মরণে রাখুন
রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটা নিয়ম রয়েছে। তা হল, রুল অব হান্ড্রেড। অর্থাত্‍ সাপে কামড়ানোর ঠিক ১০০ মিনিটের মধ্যে ১০০ এমএল এভিএস রোগীর শরীরে ঢোকাতে পারা গেলেই ১০০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগী প্রাণ হারাবেন না।

পরিবহণ সচেতনতা
বন্যা দুর্গত এলাকায় সাপে কাটা রোগীকে হাসপাতাল পর্য়ন্ত নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্র প্রধান অন্তরায় হল পরিবহণ। সাধারণ পরিস্থিতিতে রোগীকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে মোটরবাইকে চাপিয়েও নিয়ে যাওয়া যায় হাসপাতালে। তবে বন্যাদুর্গত এলাকায় বাইক চলে না। তাই নৌকা করে নিয়ে যেতে হবে হাসপাতালে। 

রোগীকে কীভাবে নিয়ে যাবেন?
রোগীকে শুইয়ে বা বসিয়ে যেভাবে সুবিধা নিয়ে যান। মূল লক্ষ্য রাখুন রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার দিকে। সেক্ষেত্রে গ্রামে ত্রাণের ব্যবস্থায় নিযুক্ত নৌকা বা কোনও মাঝির নৌকা থাকলে তাকে আগে থেকে বলে রাখা যে, সমস্যা হলে সে যেন দ্রুত হাজির হতে পারে।
লিখেছেন সুপ্রিয় নায়েক
26th  September, 2024
বাঙালির বিপদ বাড়াচ্ছে কোন দুই হার্টের অসুখ?  সাবধান করোনারি আর্টারি ডিজিজে!

দেশের মানুষের এবং বাঙালিদের মধ্যে করোনারি আর্টারি ডিজিজ বাড়ছে। আর তার অন্যতম কারণ হল, বিদেশের মানুষের তুলনায় আমাদের দেশের নাগরিকদের দৈহিক উচ্চতা অনেকখানি কম। 
বিশদ

03rd  October, 2024
অ্যারিদমিয়াকে অবহেলা নয়

সুস্থ ও পূর্ণবয়স্ক মানুষের হৃদস্পন্দনের হার মিনিটে ৬০-১০০ বারের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। এর একটি নির্দিষ্ট ছান্দিক গতিও রয়েছে। কিন্তু বহু মানুষের ক্ষেত্রেই এই দুটো নিয়ম হার্ট মেনে চলে না। যদিও হার্টের সঙ্কোচন-প্রসারণের ছন্দ ও সময়ের হেরফের খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।
বিশদ

03rd  October, 2024
ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে উপলক্ষে সাইক্লিং

সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড হার্ট উপলক্ষে জগন্নাথ গুপ্ত ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালের (জেআইএমএস) তরফে আয়োজন করা হয়েছিল সাইক্লোথন। হার্টের স্বাস্থ্য এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় জীবনধারার গুরুত্ব প্রচারের উদ্দেশ্যেই ওই সাইক্লোথনের আয়োজন করা হয়।
বিশদ

03rd  October, 2024
 বিপদ অল্প বয়সেই, সতর্ক হোক তরুণ প্রজন্ম

নবীন প্রজন্মের মধ্যে হার্টের অসুখের ঝুঁকি ক্রমবর্ধমান। একটা সময় ছিল, যখন হদেযন্ত্রের সমস্যা মূলত বয়সকালের অসুখ বলে চিহ্নিত ছিল। কিন্তু মানসিক চাপ, কাজের স্ট্রেস, অনিয়মিত ডায়েট ও ভুল জীবনচর্যা-সহ নানা কারণে হার্টের অসুখ থাবা বসাচ্ছে মধ্য কুড়ি বা তিরিশের কোঠায় পৌঁছলেই।
বিশদ

03rd  October, 2024
প্রয়াত নিউরোসার্জেন ডাঃ সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়

সার্জেন অনেকই হন। তবে কখন অপারেশন করা হবে আর কখন করার দরকার নেই এই নির্বাচনই একজন সার্জেনকে করে তোলে প্রবাদপ্রতিম। নিউরোসার্জেন ডাঃ সন্দীপ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন সেই বিরল গোষ্ঠীর চিকিত্সক। অন্তত তাঁকে চেনেন, জানেন এমন চিকিত্‍সকদের মতামত তেমনই।
বিশদ

03rd  October, 2024
১১ বছরের আগে ছুঁতে দেবেন না স্মার্টফোন

১১ বছর বয়সের আগে শিশুদের স্মার্টফোন না দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছে ব্রিটেনের প্রধান মোবাইল ফোন অপারেটর ‘ইই’। ১১ বছরের কম বয়সি শিশুকে স্মার্টফোনের বদলে ফিচার ফোন অর্থাৎ শুধু কল করা বা বার্তা আদান-প্রদানের উপযোগী ফোন দেওয়া যেতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। বিশদ

26th  September, 2024
কোমরে ব্যথার আধুনিক চিকিৎসা
 

সম্প্রতি বি.পি. পোদ্দার হাসপাতালে মিনিম্যালি ইনভেসিভ স্পাইন সার্জারির উপর এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন একাধিক চিকিত্সক এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ। বিশদ

26th  September, 2024
এত খাটছেন, তবু ওজন কমছে না! এসব ভুল করছেন না তো?

প্রতিদিন নিয়ম করে জিমে যান। প্রয়োজন মতো কার্ডিওভাস্কুলার, স্ট্রেংথ ট্রেনিং সব করেন। তবু মাসের শেষে ওজন ঝরার কাঙ্ক্ষিত সীমা ছুঁতেই পারছেন না। হয়তো লক্ষ্য তৈরি করেছেন, মাসে ৪ কজি ঝরাবেন, দেখা যাচ্ছে, সেই লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক দূরে রয়েছেন। ওয়ার্কআউট ডায়েট কোনও কাজে আসছে না।
বিশদ

21st  September, 2024
ক্রিমিনাল সাইকোলজি: অপরাধীর মনের ভিতর কী চলে?

রাত শুনশান। প্রেসিডেন্সি জেলের সব কুঠুরির আলো নিভে গিয়েছে। সেখানেই একটি কোণে তখনও বিনিদ্র জেগে বিমল (নাম পরিবর্তিত)। নিজের তুতো দাদাকে খুনের অপরাধে জেল খাটছে। যদিও জটিল এই খুনের কেসে বিমল ধৃত হওয়ায় অবাক হয়েছিল তার আত্মীয় পরিজন। বিশদ

19th  September, 2024
আলু কখন উপকারী 

দাম যা-ই হোক, আলু ছাড়া আমাদের চলেই না। আবার আলুর রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ। বিশদ

19th  September, 2024
রক্তের ক্যান্সার জয়, অসম্ভব নয়!

গত ১৫ সেপ্টেম্বর ছিল বিশ্ব লিম্ফোমা দিবস। লিম্ফোমা রক্তের ক্যান্সারের একটি ভিন্নধর্মী গ্রুপ যা লিম্ফোসাইটকে প্রভাবিত করে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়। লিম্ফোমা ক্যান্সার সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই প্রতি বছর পালিত হয় এই বিশেষ দিনটি। বিশদ

19th  September, 2024
ডুয়াল পার্সোনালিটি হয় কেন

দ্বৈত সত্তা! কাদের থাকে, কেন হয়? এ থেকে বেরিয়ে আসার উপায়ই বা কী? জানালেন মনোবিদ ডঃ অমিত চক্রবর্তী। বিশদ

12th  September, 2024
হার্ট ও কোলেস্টেরলের সমস্যায় রোজ কটা ডিম খাবেন?

পরামর্শে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশিস মিত্র। বিশদ

12th  September, 2024
অন্ধত্বের চিকিৎসায় স্কুল উদ্বোধন

এই রাজ্যে প্রায় ১.৬৬ শতাংশ জনসংখ্যা অন্ধত্বে আক্রান্ত। এমতাবস্থায় এই রাজ্যে উদ্বোধন হল শঙ্কর নেত্রালয়া এলিট স্কুল অফ অপটোমেট্রি (এসএনইএসও)-এর। বিশদ

12th  September, 2024
একনজরে
দেশে কর্মসংস্থানের অবস্থা খুবই খারাপ। ইজরায়েলে ভারতীয় বেকারদের পাঠানোই তার অন্যতম প্রমাণ। শুক্রবার এমনই অভিযোগে সরব হলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। আজ শনিবার হরিয়ানায় ভোট। ...

পুজোর মুখে কার ইউটিউব চ্যানেলে কত ভিউয়ার্স বাড়বে চলছে তার প্রতিযোগিতা। কে দামি বাইকে কত গতি তুলে স্টান্টবাজি করতে পারবে চলছে তার মহড়া। কাটোয়া, দাঁইহাট ...

দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন রেজিস্ট্রার যোগ দিতেই একের পর এক সমস্যা শুরু। অধ্যাপকদের বেতন বন্ধ থেকে শুরু করে রেজাল্ট আটকে থাকা, এমনকী নতুন ক্লাস শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। ...

দিল্লি পুরনিগমের স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনার ভূমিকার কড়া সমালোচনা করল সুপ্রিম কোর্ট। স্ট্যান্ডিং কমিটির একটি আসনে নির্বাচন নিয়ে সাক্সেনা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব শিক্ষক দিবস
১৭৮৯ - ফরাসি বিপ্লবের সূচনা
১৮৬৪ - ঘূণিঝড়ে কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে ১৭ হাজার লোকের মৃত্যু
১৮৯৫ - অনুশীলন সমিতির সদস্য ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী হেমন্তকুমার বসুর জন্ম
১৯৪৭ - কলকাতা ফিল্ম সোসাইটি স্থাপিত
১৯৮৯ - কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ফতিমা বিবি ভারত সুপিমকোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি মনোনীত হন
১৮০৫ -  ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর লর্ড কর্নওয়ালিসের মৃত্যু
২০১১ - অ্যাপল ইনকর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জোবসের মৃত্যু
২০২০- সঙ্গীত শিল্পী ও অভিনেতা শক্তি ঠাকুরের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৩ টাকা ৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৫০ টাকা ১১২.০৬ টাকা
ইউরো ৯১.০৪ টাকা ৯৪.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ আশ্বিন, ১৪৩১, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪। তৃতীয়া অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র ৪০/৩ রাত্রি ৯/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৩৩/১, সূর্যাস্ত ৫/১৭/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২০ মধ্যে পুনঃ ৭/৭ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৯ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/১ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/২১ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে উদয়াবধি। 
১৮ আশ্বিন, ১৪৩১, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪। তৃতীয়া শেষরাত্রি ৪/৫৪। স্বাতী নক্ষত্র ৮/১৬। সূর্যোদয় ৫/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/১৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৪ মধ্যে ও ৭/৯ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৪৮ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৯ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/১ মধ্যে ও ১২/৫৪ গতে ২/২৩ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫১ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৩৩ মধ্যে। 
১ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিট দুর্নীতি মামলা: পাটনা আদালতে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই

10:31:00 PM

মহিলা টি-২০  বিশ্বকাপ: বাংলাদেশকে ২১ রানে হারাল ইংল্যান্ড

10:30:00 PM

ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা

09:48:00 PM

জম্মুর ঘোরটায় বিস্ফোরক উদ্ধার, তদন্তে পুলিস

09:34:00 PM

আইএসএল: মহামেডানকে ৩-০ গোলে হারাল মোহন বাগান

09:29:00 PM

মাছ ধরতে গিয়ে বাজ পড়ে মৃত্যু রানাঘাটের ৮৪ বছরের বৃদ্ধের

09:19:00 PM