Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

রবীন্দ্রনাথের  পরিবেশ ভাবনা

আগামী বুধবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস। মানুষের সর্বগ্রাসী লোভ প্রকৃতিকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়েছে। কবিগুরুর দেখানো পথেই মিলতে পারে এই সমস্যা থেকে মুক্তি। রবি ঠাকুরের সেই ভাবনাই তুলে ধরলেন মৃণালকান্তি দাস

জীবনশিল্পী রবীন্দ্রনাথ। যা কবির চোখে দেখেছেন, অনুভব করেছেন, ব্যবহারিক জীবনে মানুষের মাঝে তার বিকাশ দেখতে চেয়েছেন বারবার। তাতেই তাঁর আনন্দ, তাতেই তৃপ্তি। তা না হলে বর্ষামঙ্গল, হলকর্ষণ সবেতেই বৃক্ষরোপণকে উৎসবে আয়োজনে ভরিয়ে তোলার প্রয়োজনও বোধহয় ছিল না। একই সঙ্গে বৃক্ষবন্দনা করেছেন, আবার তাতে উৎসবের প্রেরণাও জুগিয়েছেন। পরিবেশ শিক্ষার আদর্শ পাঠশালা গড়তে চেয়েছিলেন শ্রীনিকেতনকে। পরিবেশ চেতনার পাঠ দিতে কবিগুরু সুচারুভাবে মালা গেঁথেছিলেন শহুরে আধুনিক থেকে ‘গেঁয়ো’ মানুষদের নিয়ে।
নানা কথামালায় তিনি বলেছেন প্রকৃতি ও পরিবেশের কথা। তিনি কত আগেই না বুঝেছিলেন, প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষা না করা গেলে, মাটি ও মানুষের যে চিরন্তন সম্পর্ক, সেটা আর টিকবে না। দীর্ঘ জীবনপ্রবাহে আর লেখনীতে তাই প্রকৃতির প্রতি মমত্ববোধ আর দায়বদ্ধতা প্রকাশ করেছেন। মানুষ যেমন হয়েছে তেমন নয়, মানুষ যেমন হতে পারত তেমন এক আদল রবীন্দ্রনাথ খুঁজেছেন প্রায় গোটা জীবন ধরে। মানুষের চারপাশটা যেমন আছে তেমন নয়, যেমন হলে হতে পারত মানুষের পূর্ণতার বিকাশ— সেই ছবি বুনতে চেয়েছেন তাঁর জীবনের অন্তিম দিন পর্যন্ত। প্রকৃতির উপর মানুষের লোভী আক্রমণ আর ধ্বংসযজ্ঞ রবীন্দ্রনাথকে বিচলিত করেছে গভীর বেদনায়। তিনি জানতেন মানুষের প্রকৃতির উপর এই অপরিসীম লোভ আর ক্ষুধা কখনও শেষ হবে না। তাই ‘প্রশ্ন’ কবিতায় তিনি লিখেছিলেন, ‘যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,/ তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো।’
গাছকে দেবতাজ্ঞানে পূজার্চনা ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ। বট-অশ্বত্থ গাছের গোড়ায় বাঁধানো ঠাকুরের স্থান, উঠোনে তুলসীমঞ্চ, দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীতে বিল্ববৃক্ষের তলায় বোধন, সপ্তমীতে নবপত্রিকা স্নান, বুদ্ধগয়ায় বোধিবৃক্ষ ইত্যাদি হাজারো উদাহরণের কথা আমরা জানি। স্বামী বিবেকানন্দের ভাই মহেন্দ্রনাথ দত্তের লেখা থেকে জানা যায়, দার্জিলিঙের মহাকাল পাহাড়ের শৈবক্ষেত্রে ভুটিয়ারা গাছের ডালে বৌদ্ধধ্বজা ওড়ানোর মতো করে কাপড়ের টুকরো বেঁধে দিত। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই, প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সখ্যের অবনতি ঘটে। জীবনযাত্রার জটিলতা যত বাড়ে, প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের স্বচ্ছন্দ সম্পর্ক তত নষ্ট হয়। বিচ্ছেদ বেড়েই চলে। প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট হওয়ার ফলে ভূমিক্ষয়, ধস, বৃষ্টিপাতের অসাম্য, উষ্ণায়ন একে একে প্রকট হয়। অথচ, মাটিকে মরুগ্রাস থেকে রক্ষার জন্য, নীচের জলাধারকে অক্ষত রেখে, তার সরসতা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা দূরদর্শী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনুধাবন করেছিলেন বহু যুগ আগে। ‘গাছ’ কবির কাছে কখনও ‘গৃহহারা আনন্দের দল’, কখনও ‘মরুবিজয়ের কেতন’, আবার কখনও ‘মাটির বাঁশি’। মানবিক, আধ্যাত্মিক, বৈজ্ঞানিক চিন্তা ও কর্মের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের পরিবেশবান্ধব নির্মাণ ভাবনারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। অব্যর্থ সত্যদৃষ্টিতে রবীন্দ্রনাথ ভবিষ্যৎকে দেখেছিলেন। আমরা শুনিনি তাঁর পরামর্শ!
কবিগুরুর হাত ধরে বাংলার বৃক্ষরোপণ আন্দোলন পণ্ডিত নেহরুর মনে ধরেছিল। তাঁর পরামর্শে কৃষিমন্ত্রী কে এম মুন্সি ১৯৫০ সালে ১ জুলাই থেকে, বৃক্ষরোপণকে সর্বভারতীয় স্তরে সর্বত্র প্রয়োজনীয় হিসেবে ঘোষণা করেন। ছ’য়ের দশক পর্যন্ত প্রায় সকল ব্লক অফিসগুলিতে নৃত্য-গীত-আবৃত্তি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চারা লাগানো হতো। অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে, কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক বৃক্ষরোপণ গাছ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তুলতেন। ব্লক থেকে প্রচুর গাছ বিতরণ করা হতো। সেই রকম গাছ আজও প্রতি বছরে লাগানো হয়। আবার তার পরিণতিও যে খুব দীর্ঘস্থায়ী হয় না, সেই করুণ সত্যও আমাদের অজানা নয়।
তাকিয়ে দেখ, আজ মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের কারণে বিশ্বজুড়েই পরিবেশ মানুষ এবং প্রাণীর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। যে জন্য গবেষকরা বেশি দায়ী করছেন উন্নত দেশগুলিকে, যারা তাদের নিজেদের প্রয়োজনে যাচ্ছেতাইভাবে পরিবেশের উপর আধিপত্য দেখাচ্ছে। যার কারণে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। আর এর পিছনে মানুষের অরাজকতা, অসচেতনতা এবং লোভই সর্বাংশে দায়ী। সাম্প্রতিক গবেষণার এই গুরুত্ববহ বিষয়টি অর্থাৎ পরিবেশ ভাবনার বিষয়টি রবীন্দ্রনাথের চিন্তায় অনেক আগেই লক্ষ করা গিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এমন উপলব্ধি ছিল বলেই তিনি ‘অরণ্য দেবতা’ প্রবন্ধে এমন মন্তব্য করেছেন, ‘মানুষের সর্বগ্রাসী লোভের হাত থেকে অরণ্যসম্পদকে রক্ষা করা সর্বত্রই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ...বিধাতা পাঠিয়েছিলেন প্রাণকে, চারিদিকে তারই আয়োজন করে রেখেছিলেন– মানুষই নিজের লোভের দ্বারা মরণের উপকরণ জুগিয়েছে। বিধাতার অভিপ্রায়কে লঙ্ঘন করেই মানুষের সমাজে আজ এত অভিসম্পাত। লুব্ধ মানুষ অরণ্যকে ধ্বংস করে নিজেরই ক্ষতিকে ডেকে এনেছে; বায়ুকে নির্মল করবার ভার যে গাছপালার উপর, যার পত্র ঝরে গিয়ে ভূমিকে উর্বরতা দেয়, তাকেই সে নির্মূল করেছে। বিধাতার যা-কিছু কল্যাণের দান, আপনার কল্যাণ বিস্মৃত হয়ে মানুষ তাকেই নষ্ট করেছে।’ নগর জীবন নিয়ে আমরা প্রতিনিয়তই হা-পিত্যেশ করতে থাকি। যে উপলব্ধি রবীন্দ্রনাথ অনেক আগেই করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর।’ তাছাড়া তিনি প্রকৃতির সমন্বয় ও ঐক্যের পক্ষে ছিলেন বলেই শহরকে উদ্দেশ্য করে বলতে পেরেছিলেন, ‘...ইঁটের ’পরে ইঁট, মাঝে মানুষ-কীট–/ নাইকো ভালোবাসা, নাইকো খেলা।/ কোথায় আছ তুমি কোথায় মা গো,/ কেমনে ভুলে তুই আছিস হাঁগো।/ উঠিলে নব শশী, ছাদের ’পরে বসি/ আর কি রূপকথা বলিবি না গো!’
আগামী বুধবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এই পরিবেশ দিবস এখন অনেকাংশেই একটি বাৎসরিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ১৯৭২ সালে স্টকহোম বিশ্ব সম্মেলনে পরিবেশ রক্ষার যে সঙ্কল্প নেওয়া হয়েছিল, তাকে এখনও সর্বত্রগামী করা যায়নি। আজও পৃথিবীর বায়ু, জলরাশি দূষণে আক্রান্ত হয়ে চলেছে। ‘আত্মঘাতিনী মাটি আপন বুকের সরসতা হারিয়ে রিক্তমূর্তি ধারণ’ করেছে। বিপন্ন পরিবেশে আক্রান্ত মানুষ, অরণ্যভূমি ও প্রাণীজগৎ। জনশক্তি সমবায়ের দ্বারা পরিবেশ পুনর্নির্মাণের দৃষ্টান্ত ভুবনডাঙায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দেশের মানুষকে সচেতন করে ভূমি ও পরিবেশ সংরক্ষণের কমিটির মধ্যে দিয়ে প্রাণাত্মবোধের পরিচয়টিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। একে অভ্যর্থনা জানিয়ে বলেছিলেন, ‘এর অজস্র দানে চারদিক স্বাস্থ্যে সৌন্দর্যে পূর্ণ হয়ে উঠুক।’
মানুষ আর প্রকৃতি যে এক অখণ্ড সত্তা— এই চেতনার উদ্বোধনই গড়ে তুলতে পারে মানবিক পরিবেশ সংস্কৃতি। এই প্রেক্ষিতে রবীন্দ্রনাথের চর্চাই বোধহয় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। ভবিষ্যতের নিবিড় স্পর্শ অনুভব করে ১৯৪১ সালে জীবদ্দশায় শেষ ‘জন্মদিনে’ লিখেছিলেন, ‘আমি পৃথিবীর কবি, যেথা তার যত উঠে ধ্বনি/ আমার বাঁশির সুরে সাড়া তার জাগিবে তখনি...।’
এই ধ্বনি শোনা, অনুভব করা এবং তাতে সাড়া দেওয়ার সাধনাই আজ অন্তরময় পরিবেশ সাধনার আদর্শ। সভ্যতা টিকিয়ে রাখতে হলে রবীন্দ্র-পরিবেশ ভাবনার বিকল্প নেই।
ছবি: ইন্দ্রজিৎ রায়  অলঙ্করণ: সুমনকুমার সিংহ
02nd  June, 2024
ইউরোর মাঝেই পড়াশোনায় ব্যস্ত ইয়ামাল

স্কুলছাত্র। ১৬ বছর বয়সেই দাপাচ্ছে ইউরো কাপ টুর্নামেন্ট। স্পেনের এই উঠতি ফুটবল তারকাকে নিয়ে লিখেছেন সৌগত গঙ্গোপাধ্যায় বিশদ

30th  June, 2024
পর্বতশৃঙ্গের বিভীষিকা

অন্নপূর্ণা, কে-২, নাঙ্গা পর্বতের মতো শৃঙ্গগুলি অভিযাত্রীদের কাছে রীতিমতো আতঙ্কের। তবুও সাহসে ভর করে বেরিয়ে পড়েন পর্বতারোহীরা। সেই গল্পই শোনালেন বিশ্বজিৎ দাস।     বিশদ

30th  June, 2024
ইতিহাসের সাক্ষী রামমোহন লাইব্রেরি
সোমনাথ সরকার

ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক রাজধানী আমাদের গর্বের শহর কলকাতা। আর এই শহরেই দৃপ্ত পদক্ষেপে শতবর্ষ পেরিয়ে এগিয়ে চলেছে রামমোহন লাইব্রেরি। ১৯০৫ সালের ২৪ জানুয়ারি উত্তর কলকাতার এক ভাড়াবাড়িতে রামমোহন লাইব্রেরির সূচনা হয়। বিশদ

30th  June, 2024
আশ্চর্য আন্দাজ
রিমি মুৎসুদ্দি

মেঘলা আকাশের মতো দেবলামাসির মনটাও আজ খুবই খারাপ। সকাল সকাল রান্না সেরে চারটি মুড়ি ঘুগনি দিয়ে জলখাবার খেয়েই মাসি কাগজ কলম নিয়ে গুছিয়ে বসেছে। বিশদ

23rd  June, 2024
জানা অজানা: দূরদর্শী বঙ্কিম

আগামী বুধবার সাহিত্যসম্রাটের জন্মদিন। তিনি ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। কর্মজীবনে বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র। তেমনই কয়েকটি মজার ঘটনা তুলে ধরলেন অরিন্দম ঘোষ। বিশদ

23rd  June, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: গাছের ডালের টব

‘হরেকরকম হাতের কাজ’। ফেলে দেওয়া অপ্রয়োজনীয় জিনিস কাজে লাগিয়ে কেমন করে সুন্দর ক্রাফ্ট তৈরি করা যায়, থাকবে তারই হদিশ। এবারের বিষয় গাছের ডালের টব। এমন সব হাতের কাজ শেখানো হবে, যা কিশোর-কিশোরীরা অনায়াসেই বাড়িতে বসে তৈরি করতে পারবে। ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী।  বিশদ

23rd  June, 2024
সাহিত্য পাঠের আসর

গরমের ছুটি শেষ। অবশেষে খুলে গিয়েছে স্কুল। সামনেই দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা। জোরকদমে চলছে পড়াশোনা। তারমধ্যেই চলছে গল্প-উপন্যাস পড়া। কারও প্রিয় পাঠ্য বইয়ের গল্প। কেউ আবার পড়ার বইয়ের বাইরের গল্প-উপন্যাস ভালোবাসে। নিজেদের প্রিয় গল্প ও উপন্যাসের কথা জানাল আরামবাগের চাঁদুর হাই স্কুলের পড়ুয়ারা। বিশদ

16th  June, 2024
রংবেরঙের পাখি
রুদ্রজিৎ পাল

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনেক পাখি চিরকালের মতো হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাও এখনও পৃথিবীতে যেসব পাখি আছে, তাদের রং, গলার স্বর আর স্বভাবের বৈচিত্র্য সীমাহীন। এরকম বহু মানুষ আছেন, যাঁরা সময় পেলেই ক্যামেরা আর বাইনোকুলার হাতে বেরিয়ে পড়েন। বিশদ

16th  June, 2024
ডাঙায় হেঁটে বেড়ানো মাছ!
স্বরূপ কুলভী

ডাঙ্গায় চরে রুই কাতলা জলের মাঝে চিল!’ কোনও কল্পনার ‘মজার দেশ’ নয়। এই পৃথিবীতেও এমন মাছ রয়েছে, যারা মাটিতে হাঁটতে পারে! তারা অবশ্য রুই-কাতলা নয়। বিশদ

16th  June, 2024
কেন ব্যাক পাসের নিয়ম বদল?

১৯৯২ সালে ডেনমার্কের ইউরো জয়কে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় অঘটন মানা হয়। সেবার তো টুর্নামেন্টে খেলারই কথা ছিল না ড্যানিশদের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বলকান যুদ্ধের জন্য যুগোস্লাভিয়ার অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
বিশদ

09th  June, 2024
কোকোনাট ক্যান্ডেলস

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

09th  June, 2024
মেরুপ্রভার খেলা

গত মে মাসে বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী ছিল আমেরিকা ও ইউরোপের মানুষ। এমনকী লাদাখের আকাশে দেখা গিয়েছিল মেরুজ্যোতির খেলা। 
এই আলোকচ্ছটার রহস্য উন্মোচন করলেন কল্যাণকুমার দে।
বিশদ

09th  June, 2024
চাঁদ কি ছোট হচ্ছে!

মামার বাড়ি মানেই দেদার খেলাধুলো। মায়ের চোখরাঙানি থেকে একটু নিস্তার। তিতাস দু’দিন হল মামাবাড়ি এসেছে। পরীক্ষা শেষের পর। সকালে পাশের মাঠে একটু ফুটবল খেলে বাড়ি ঢুকতেই দিদা বলল, এই রোদে কেউ খেলে? আঁচল দিয়ে মুখটা মুছিয়ে বলল, দেখ তো, চাঁদপানা মুখটা রোদে কেমন ছোট হয়ে গিয়েছে।
বিশদ

02nd  June, 2024
ঠিকানা চাও, বলছি শোন...

কবি সুকুমার রায়ের ‘ঠিকানা’ কবিতা তোমরা নিশ্চয়ই পড়েছ। আদ্যানাথের মেসোকে খুঁজতে গিয়ে কতই না চক্কর কাটতে হয়েছিল জগমোহনকে! তবে শুধু কবিতা বা সাহিত্যে নয়, যুগ যুগ ধরে কারও বাড়ি, দপ্তর, দোকানের হদিশ পেতে এমনভাবেই নাকানি-চোবানি খেতে হয়েছে সকলকে।
বিশদ

02nd  June, 2024
একনজরে
লোকসভা নির্বাচন এখন অতীত। এবার হরিয়ানার দরজায় কড়া নাড়ছে বিধানসভা নির্বাচন। হরিয়ানায় লোকসভার ফল বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। রাজ্যের ১০টি আসনের মধ্যে মাত্র পাঁচটিতে জয় পেয়েছে ...

টাকা দিয়েও সময়মতো ফ্ল্যাট পাওয়া যাচ্ছে না। প্রোমোটার বা ডেভেলপারদের টালবাহানায় ভুগতে হচ্ছে ক্রেতাকে। অনেক ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট বানানোর জন্য জমি নিয়ে কোনও নির্মাণ না করেই ...

বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার পথ অনুসরণ করলেন রবীন্দ্র জাদেজা। টি-২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন ভারতের এই তারকা অলরাউন্ডার। ...

উত্তরপ্রদেশের একটি শক্তিশালী নিম্নচাপ অক্ষরেখার জেরে আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গে ফের ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস। যা আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলতে পারে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থাগম যোগ। বিদ্যার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শুভ ফল লাভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় চিকিৎসক দিবস
১৮৪৭ - মার্কিন ডাক বিভাগ প্রথম ডাক টিকিট চালু করে
১৮৬২ - ভারতের প্রাচীনতম হাইকোর্ট কলকাতা উচ্চ আদালত বা কলকাতা হাইকোর্ট স্থাপিত 
১৮৭৯ - অবিভক্ত ভারতে প্রথম পোস্টকার্ড চালু হয়
১৮৮২- কিংবদন্তী চিকিৎসক তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম
১৯০৬ - কানাড়া ব্যাঙ্ক  প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯০৮ - আন্তর্জাতিক আতান্তর সংকেত এসওএস চালু হয়  
১৯২১ - নদীয়ার বড়জাগুলী তে জমিদার গোপাল সিংহের হাত ধরে বড়জাগুলী গোপাল একাডেমি স্কুল প্রতিষ্ঠা হয় , এটি নদীয়া জেলার সবচেয়ে প্রাচীন উচ্চ বিদ্যালয়
১৯৩৮- কিংবদন্তী বংশীবাদক হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়ার জন্ম
১৯৫৫ - ভারতের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইণ্ডিয়া তথা ভারতীয় স্টেট ব্যাংক নামে পরিচিত হয়
১৯৬১- যুবরানি ডায়নার জন্ম
১৯৬১- মার্কিন ক্রীড়াবিদ কার্ল লুইসের জন্ম
১৯৬২- কিংবদন্তী চিকিৎসক তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী  ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের মৃত্যু
১৯৬৭- অভিনেত্রী পামেলা অ্যান্ডারসনের জন্ম
১৯৬৮- বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ওস্তাদ রশিদ খানের জন্ম
১৯৭৩- ভারতীয় রাজনৈতিক নেতা অখিলেশ যাদবের জন্ম
১৯৯৭ - ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহত্তম বিজ্ঞান সংগ্রহালয় ও বিজ্ঞানকেন্দ্রিক বিনোদন উদ্যান- সায়েন্স সিটি কলকাতা এর উদ্বোধন হয়
২০০৪- অস্কার জয়ী মার্কিন অভিনেতা মার্লোন ব্রান্ডোর মৃত্যু
২০১৭ - ভারতে পরোক্ষ কর পণ্য-পরিষেবা কর পদ্ধতি চালু হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৮ টাকা ৮৪.৩২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৩ টাকা ১০৭.৩০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯০ টাকা ৯১.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
30th  June, 2024
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম)  
রূপার বাট (প্রতি কেজি)  
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি)  
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ আষাঢ়, ১৪৩১, সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪। দশমী ১৩/৪০ দিবা ১০/২৭। অশ্বিনী নক্ষত্র ৩/৩৮ প্রাতঃ ৬/২৬। সূর্যোদয় ৪/৫৯/২৬, সূর্যাস্ত ৬/২১/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৩ গতে ১০/১৯ মধ্যে। রাত্রি ৯/১১ গতে ১২/২ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে ২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪০ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/১ গতে ৪/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/২১ গতে ১১/৪১ মধ্যে।  
১৬ আষাঢ়, ১৪৩১, সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪। দশমী ১০/৩৪। অশ্বিনী নক্ষত্র দিবা ৭/৩৪। সূর্যোদয় ৪/৫৯, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৫ গতে ১০/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/১৩ গতে ১২/৩ মধ্যে ও ১/২৮ গতে ২/৫৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৯ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ৩/২ গতে ৪/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/২২ গতে ১১/৪১ মধ্যে। 
২৫ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারাল ফ্রান্স

11:27:04 PM

ইউরো কাপ: বেলজিয়াম ০: ফ্রান্স ১ (৮৭ মিনিট)

11:20:15 PM

ইউরো কাপ: বেলজিয়াম ০: ফ্রান্স ০ (৪৯ মিনিট)

10:42:31 PM

ইউরো কাপ: বেলজিয়াম ০: ফ্রান্স ০ (হাফটাইম)

10:23:36 PM

ইউরো কাপ: বেলজিয়াম ০: ফ্রান্স ০ (৫ মিনিট)

09:40:36 PM

সিআইডি অফিসারদের হুমকি সুবোধ সিংয়ের
আসানসোল সংশোধনাগারে সিআইডি অফিসারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ বিহারের গ্যাংস্টার সুবোধ ...বিশদ

04:08:57 PM