Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বঙ্গ সাংসদরা হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনুন সংসদে
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় রাজনীতি, উন্নত পার্লামেন্টারিয়ান এবং ভারত নির্মাণের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার আগে এবং পরে এই তিনটি ক্ষেত্রেই ছিল বাঙালির শক্তিশালী উপস্থিতি। আর ঠিক এই তিন ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি বিচ্ছিন্ন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কোনও বঙ্গীয় রাজনীতিবিদকে এখন আর জাতীয় রাজনীতি সেভাবে চেনে না। গুরুত্বও দেয় না। যেহেতু তিনি একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তাই জাতীয় রাজনীতির প্রত্যক্ষ প্রাঙ্গণ অথবা সংসদের সভায় তাঁর উপস্থিতি নেই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আর কোনও বাঙালি রাজনীতিকই ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার নিরিখে জাতীয় স্তরে কোনও দলের কাছে সমীহ সৃষ্টিকারী নয়। আবার দেশবাসীর চোখেও সেরকম পরিচিত নয়। 
জাতীয় রাজনীতির প্রাঙ্গণ থেকে বাঙালির ক্রমেই মৃদু সরে আসছে। অপসারণ প্রক্রিয়া প্রথম শুরু হয়েছিল দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের অকস্মাৎ মৃত্যুর পর থেকে। তিনিই ছিলেন শেষতম কোনও বঙ্গ রাজনীতিবিদ, যিনি দেশের প্রথম সারির নেতৃবৃন্দের সমতুল গুরুত্ব পেতেন। এমনকী মহাত্মা গান্ধীর বিরুদ্ধাচারণ করা, ভিন্নধর্মী প্রস্তাব গঠন করা অধিবেশনে, পৃথক দল গঠন ইত্যাদি সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলেন দৃপ্ত ভঙ্গিতে। 
দেশবন্ধুর সুযোগ্য শিষ্য সুভাষচন্দ্র বসুকে যখন কংগ্রেসের বল্লভভাই প্যাটেল, গোবিন্দবল্লভ পন্থদের একটি গোষ্ঠীর প্রকাশ্য ও গোপন বিরুদ্ধাচারণের কারণে কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে হল, সেটাই ছিল ভারতের রাজনীতিতে জাতীয় স্তরে শক্তিশালী বাঙালি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সর্বশেষ অধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৮৪ সাল থেকে ক্রমেই সম্পূর্ণ একক প্রয়াসে নিজেকে ফায়ারব্র্যান্ড নেত্রীতে পর্যবসিত করে প্রথমে রাজ্য এবং পরে দেশের মধ্যেও পরিচিতি পেতে সক্ষম হয়েছেন। দেশব্যাপী শ্রদ্ধা এবং সমীহ পেতেন জ্যোতি বসুও। কিন্তু দেশের রাজনীতিকে প্রভাবিত করা তো দূর স্থান, জ্যোতিবাবুর নিজের দলের উপরই নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তার প্রমাণ হল, মাটির সঙ্গে সম্পর্কহীন প্রকাশ কারাতরা জ্যোতিবাবুর প্রধানমন্ত্রী হওয়া আটকে দিয়েছিলেন। আবার সোনিয়া গান্ধীর পূর্ণ আস্থা অর্জনে ব্যর্থ প্রণব মুখোপাধ্যায়ও হতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। যার ফলশ্রুতি হল, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, পাঞ্জাব, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশের ভূমিপুত্রেরা প্রধানমন্ত্রী হলেন। কিন্তু বাংলা আজও প্রধানমন্ত্রী পায়নি। জ্যোতি বসু, প্রণব মুখোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনজনের ভিন্ন পরিস্থিতিতে, ভিন্ন প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কারণ জাতীয় স্তরে তাঁরা অপরিচিত নয়। সকলেই অত্যন্ত চেনাজানা নাম। এবং প্রভাব বিস্তারকারী।
কিন্তু দুর্ভাগ্য হল স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরও বাংলা প্রধানমন্ত্রী পায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা অথবা ঔচিত্য নিয়ে আপার কাস্ট ও আপার মিডল ক্লাস বাঙালির একাংশ সচরাচর হাসিঠাট্টা করেন। তাঁরা বাংলার ভালোমন্দ নিয়ে মাথা ঘামান না।  নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করেন। তাঁদের কাছে এটা এক অসম্ভব ব্যাপারই শুধু নয়, এরকম এক সাংঘাতিক ঘটনা হওয়াই উচিত নয়। অর্থাৎ বাঙালির একটি বড় অংশ চায় না যে, বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হন। তাঁরা যোগী আদিত্যনাথ, অমিত শাহ, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীদেরও মেনে নেন ওই পদের যোগ্য হিসেবে। 
এই যে বাঙালি জাতীয় স্তরের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় আর নেই, এই হা- হুতাশের কারণ হল, ইতিহাসের চেতনা। ইতিহাসের ঘটনাপঞ্জি আরও যেন বেশি করে আমাদের বেদনাহত করে। ভারতের প্রথম সারির তিনটি রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাই হয়েছে বাঙালির হাত ধরে। মানবেন্দ্রনাথ রায় এবং অবনী মুখোপাধ্যায় নামক দুই তীক্ষ্ণ মেধা ও শিক্ষা, উদারতা ও আন্তর্জাতিক মানবতাবাদী মানুষের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া।  প্রতিষ্ঠা ১৯২০ নাকি ১৯২৫? সেই নিয়ে প্রবল টানাপোড়েন বহু কাল ধরেই চলছে। কিন্তু আগামী বছর বড় আকারে নিশ্চয়ই কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ পালিত হবে। অথচ আজ দেশের নামজাদা কমিউনিস্ট বাঙালি নেতা কে? নেই। বিহারে দীপঙ্করবাবু কিছুটা সমীহ আদায় করছেন। 
তারও অনেক আগে ব্রিটিশ এক সিভিল সার্ভেন্ট ভারতদরদি অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম যাঁদের সাহা঩য্যে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করতে পারলেন, তাঁরা হলেন উমেশচন্দ্র ব্যানার্জি এবং সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি। কতটা শক্তিশালী নেতা এবং বাগ্মী ছিলেন সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি? ১৮৯৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে এসে কলকাতায় শুধু সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন এক প্রবাসী আইনজীবী। সেই আগন্তুকের নাম ছিল, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। 
আজ যে ভারতীয় জনতা পার্টি বিশ্বের সবথেকে বড় রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে সদস্যসংখ্যার বিচারে, সেই দলের বীজ এবং শিকড় দুইই বাঙালির মাধ্যমে। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ভারতীয় জনসঙ্ঘ তৈরি করেছিলেন। বিজেপির পূর্বসূরি। দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেস এবং কমিউনিস্ট পার্টির পাশাপাশি এই জনসঙ্ঘও যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে দুই প্রধান নেতা অটলবিহারী বাজপেয়ি এবং লালকৃষ্ণ আদবানি বাঙালির তৈরি এই দলকে জনতা পার্টিতে মিশিয়ে দিয়ে জনতা সরকারের অঙ্গ হলেন। আর তার থেকেও দুর্ভাগ্যজনক হল, ১৯৮০ সালে যখন আবার নিজেদের পৃথক অস্তিত্ব তৈরি করে নতুন দল গঠনে উদ্যোগী হলেন, তখন আবার ভারতীয় জনসঙ্ঘকেই ফিরিয়ে আনার কথা তাঁদের মনে এল না। নিজেদের প্রতিষ্ঠার দল তৈরি হল। ভারতীয় জনতা পার্টি। জনসঙ্ঘ মুছে গেল। 
অর্থাৎ বাঙালির প্রত্যক্ষ উদ্যোগে ভারতের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলি তৈরি হয়েছিল। ভারতের রাজনীতির অলিন্দেও বাঙালি রাজনীতিবিদরা হয়ে উঠলেন ধ্রুবতারার মতো। অথচ ক্রমেই দেখা গেল ভারত সরকারের অন্দরে গুরুত্বপূর্ণ কোনও পদে বাঙালি অফিসার নেই।  জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলিতে বাঙালি রাজনীতিবিদ নেই। সর্বোপরি পার্লামেন্টে বাঙালি এমপি দেখা যায় না, যাঁদের বাগ্মিতা প্রবল শ্রদ্ধা অর্জন করে নিতে পারছে। 
ঠিক এই কারণেই নব নির্বাচিত বঙ্গ সাংসদদের কাছে আমাদের আবেদন রাজনৈতিক চাপানউতোর, বাদ প্রতিবাদ, পারস্পরিক আক্রমণ সবই চলুক। কিন্তু পাশাপাশি পার্লামেন্টে আবার বাংলার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার প্রাণপণ চেষ্টা করুন। অর্থাৎ উন্নত পার্লামেন্টেরিয়ান হওয়ার দিকেও মনোযোগী হোন। শুধুই বাংলার নয়। এই মুহূর্তে হাতে গোনা দুয়েকজন ছাড়া, লোকসভা অথবা রাজ্যসভায় কোনও রাজনৈতিক দল অথবা কোনও প্রদেশেরই উন্নত বক্তা, সর্বজনমান্য এবং তীক্ষ্ণ যুক্তি ও বাগ্মিতায় মুগ্ধ করে রাখতে পারেন সংসদ সদস্য প্রায় নেইই। কয়েকজন আছেন এখনও। তবে তাঁরাও ক্রমেই অবসরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। বক্তৃতা আর ডিবেটের গুণমান উদ্বেগজনকভাবে মধ্যমেধায় আচ্ছন্ন হয়েছে। 
পার্লামেন্টে চিরকালই বঙ্গ সাংসদদের সম্পর্কে একটা বিশেষ শ্রদ্ধার জায়গা ছিল। বহু সংসদ সদস্যের বক্তৃতা, সংসদীয় পড়াশোনা, যুক্তিজাল, অধীত বিদ্যার রেফারেন্স ইত্যাদির যোগফলে যে ভাষণ শোনা যেত, সেগুলি ব্যক্তিগত নোটে রাখার মতো উৎকৃষ্ট। কিন্তু সামগ্রিকভাবে পার্লামেন্ট ডিবেটের গুণমান বিপজ্জনকভাবে কমে গিয়েছে। এখন আর একজন কোনও বক্তা, তিনি যে দলেরই হোক, বক্তৃতা শুনতে সাংবাদিক অথবা এমপিরা উদগ্রীব হয়ে ছুটছেন সভাকক্ষে, যাতে মিস না হয়ে যায়, এরকম দৃশ্য দেখা যায় না। কারণ সেরকম উন্নত বাগ্মী কোথায়? শেষ কবে কোনও এমপির পার্লামেন্ট বক্তৃতা দলমতের ঊর্ধ্বে গিয়ে প্রবল জনপ্রিয় হয়েছে?  কোনও গবেষণায় কাজে লাগার মতো রেফারেন্স হয়ে উঠতে পেরেছে? পারছে না! 
বঙ্গ বিজেপির সব দলের এমপিদের উচিত এই ঐতিহ্যটা মনে রেখে সেলফি, হট্টগোল, ক্যামেরায় মুখ দেখানো কিংবা মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে একটি সেলেব্রিটি জীবন কাটানোর ফাঁদের পাশাপাশি উন্নত সংসদ সদস্য হয়ে ওঠার প্রবণতা দেখানো। নির্বাচিতদের মধ্যে অনেক এমপি এই প্রথম বার প্রবেশ করছেন। তাঁদের স্বাভাবিকভাবেই চোখ ধাঁধিয়ে যেতে পারে এই আচমকা এক গ্রহতারকার মধ্যে হাজির হয়ে। মাথাও ঘুরে যেতে পারে এটা ভেবে যে, আমরাও এই ভারতীয় রাজনীতির গ্রহতারকারই হয়ে গেলাম এবার।  আর মাটিকে মনে রাখার দরকার নেই। ওটা ভুল হবে। এই অতি উজ্জ্বলতা একটা আলেয়া। কিন্তু আসল হল আপনাদের ভিতরে কতটা আধার রয়েছে এমপি হওয়ার যোগ্যতা অর্জনে। সেটা আগামী পাঁচ বছরে প্রমাণিত হয়ে যাবে। বহু এমপি এসেছেন। তাঁদের মাত্র পাঁচ বছর পর কেউ মনে রাখেননি। পেনশন হয়তো আজীবন পাওয়া যায়। কিন্তু আজীবন শ্রদ্ধা পাওয়ার সাধনা করতে হয় এই গণতন্ত্রের মন্দিরে এসে। 
এমপিদের মধ্যে সর্বদাই দেখা যায় একাংশ থাকেন রাজনৈতিকভাবে সক্রিয়। দলের হয়ে যে কোনও  ইস্যুতে প্রতিবাদে মুখ হচ্ছেন। চিৎকার করছেন। স্লোগান দিচ্ছেন। কোণঠাসা করছেন প্রতিপক্ষকে। এসবই কিন্তু সংসদীয় রাজনীতিতে অত্যন্ত দরকার। করতেই হবে। কিন্তু তাঁদের মধ্যেও আবার একাংশ চেষ্টা করেন নীরবে পার্লামেন্ট লাইব্রেরিতে গিয়ে সংসদীয় কার্যাবলী বোঝার চেষ্টা করছেন। নতুন এমপিদের সড়গড় করার জন্য সংসদীয় সচিলাবয় থেকে যে প্রশিক্ষণগুলি দেওয়া হয়, সেগুলিতে অংশ নেওয়া জরুরি। 
মিডিয়া অ্যাটেনশন অথবা দলনেতানেত্রীর মনোযোগ কিন্তু নিজের পারফরম্যান্স দেখিয়েই পাওয়া অনেক বেশি সহজ। পারফরম্যান্স মানে হল, নিজের লোকসভা কেন্দ্রের সমস্যা নিয়ে জিরো আওয়ারে বেশি বেশি বলা, রাজ্য, দেশ, সমাজ, অর্থনীতি, বাণিজ্য ও রাজনীতি সম্পর্কে সম্যকভাবে অবহিত হওয়া ইত্যাদি। সরকারের প্রতিটি প্রকল্প সম্পর্কে অবগত হওয়া জরুরি। যাতে রেডি রেফারেন্স দিতে পারেন যে কোনও ডিবেট অথবা ভাষণে। 
একজন উন্নত পার্লামেন্টেরিয়ান হওয়ার পাশাপাশি প্রত্যেকের অবশ্যকর্তব্য হওয়া দরকার নিজের রাজ্যকে কিছু না কিছু অবিরত কেন্দ্রীয় সহায়তা পাইয়ে দেওয়া। তিনি যে দলেরই হন। এর ফলে রাজ্যবাসী কিন্তু মনে রাখবে তাঁকে। কিন্তু রাজনৈতিক বিরুদ্ধতার কারণে রাজ্যকে যদি বঞ্চিত করানোর পথেই হাঁটা হয়, তাহলে সেই এমপি মূল লক্ষ্য থেকে সরে আসবেন। বিগত বহু বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে বঙ্গ সাংসদদের মধ্যে কিছু কিছু ব্যক্তিত্ব ছাড়া সিংহভাগই কিন্তু উন্নত পার্লামেন্টারিয়ান হতে চাইছেন না। সেই অনুশীলনই করছেন না কেউ। তাঁর যখন সংসদে কথা বলেন কোনও ইস্যুতে, সেই অপারগতা ধরা পড়ে যায়। ভালো কথা বলা একটি গুণ। ভালো শব্দ ও বাক্য গঠন করা অত্যন্ত দুরূহ। অনুশীলন দরকার। 
তাই মনে রাখা দরকার যে, ভারতের পার্লামেন্টে উন্নত বাগ্মিতা আর সংসদীয় কার্যশৈলীতে বাঙালি এমপিরা প্রবল শ্রদ্ধেয় ছিলেন এক সময়। সেই পুরনো ঐতিহ্য ফিরে আসুক আবার। এটাই বাঙালির জন্য গৌরব হবে। 
বিখ্যাত ব্যক্তি হওয়া আর শ্রদ্ধেয় পার্লামেন্টারিয়ান হওয়া সমার্থক নয়। অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খান্না, রেখা, ধর্মেন্দ্রদের এমপি হিসেবে কেউ মনে রাখেনি। হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, প্রণব মুখোপাধ্যায়, অটলবিহারী বাজপেয়ি, সুষমা স্বরাজ কিংবা ইন্দ্রজিৎ গুপ্তরা কিন্তু আজও স্মরণীয় সংসদীয় ইতিহাসে! জাতীয় স্তরের রাজনীতির সর্বোচ্চ মঞ্চে বাঙালির হারানো গৌরব কিছুটা হলেও ৪২ জন বঙ্গীয় এমপি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করুন! 
28th  June, 2024
মোদি সরকারে বাস্তবে কিছু‌ই বদল হয়নি
পি চিদম্বরম

বিজেপির নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদির সরকার শপথ নিয়েছে ৯ জুন। কিন্তু এই সরকারের সূচনাটি শুভ হয়নি। মোদিজিকে ‘হেড টেবিল’ শেয়ার করে নিতে হয়েছিল টিডিপি এবং জেডি (ইউ) নেতাদের সঙ্গে। কিছু মন্ত্রিপদও বরাদ্দ করতে হয়েছে তাঁদেরকে তো বটেই, আরও একাধিক সহযোগীকেও। বিশদ

মমতার রাজধর্মের কাছে পরাজিত মোদি
হিমাংশু সিংহ

সমালোচনা থেকে বাঁচতে অর্ধশতক আগের জরুরি অবস্থাকে একজন ঢাল করছেন ক্রমাগত। উপায় না দেখে তার আড়ালেই মুখ লুকোচ্ছেন সংসদের ভিতরে এবং বাইরে। পাঁচমাস আগে তড়িঘড়ি উদ্বোধন হওয়া রামমন্দিরের ছাদ বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে জল। বিশদ

30th  June, 2024
জননেত্রী বলেই জবাবদিহি জনতার কাছে
তন্ময় মল্লিক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ছাব্বিশের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন? পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, চব্বিশের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি এখন থেকেই ঘর গোছানোয় হাত দিয়েছেন। বিশদ

29th  June, 2024
সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না।
বিশদ

27th  June, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

21st  June, 2024
মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
একনজরে
অণ্ডাল মোড় এলাকায় যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে রবিবার মিনিবাস মালিককে মারধরের অভিযোগ ওঠে এক টোটো চালকের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে ওই রুটের সমস্ত বাস বন্ধ করে দেন বাস মালিকরা। ...

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআইকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি চাইছে দুনিয়া। কিন্তু ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলি এআই দূর অস্ত, এখনও কি সম্পূর্ণভাবে ‘ডিজিটাল’ হতে ...

লোকসভা নির্বাচন এখন অতীত। এবার হরিয়ানার দরজায় কড়া নাড়ছে বিধানসভা নির্বাচন। হরিয়ানায় লোকসভার ফল বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। রাজ্যের ১০টি আসনের মধ্যে মাত্র পাঁচটিতে জয় পেয়েছে ...

বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার পথ অনুসরণ করলেন রবীন্দ্র জাদেজা। টি-২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন ভারতের এই তারকা অলরাউন্ডার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থাগম যোগ। বিদ্যার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শুভ ফল লাভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় চিকিৎসক দিবস
১৮৪৭ - মার্কিন ডাক বিভাগ প্রথম ডাক টিকিট চালু করে
১৮৬২ - ভারতের প্রাচীনতম হাইকোর্ট কলকাতা উচ্চ আদালত বা কলকাতা হাইকোর্ট স্থাপিত 
১৮৭৯ - অবিভক্ত ভারতে প্রথম পোস্টকার্ড চালু হয়
১৮৮২- কিংবদন্তী চিকিৎসক তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম
১৯০৬ - কানাড়া ব্যাঙ্ক  প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯০৮ - আন্তর্জাতিক আতান্তর সংকেত এসওএস চালু হয়  
১৯২১ - নদীয়ার বড়জাগুলী তে জমিদার গোপাল সিংহের হাত ধরে বড়জাগুলী গোপাল একাডেমি স্কুল প্রতিষ্ঠা হয় , এটি নদীয়া জেলার সবচেয়ে প্রাচীন উচ্চ বিদ্যালয়
১৯৩৮- কিংবদন্তী বংশীবাদক হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়ার জন্ম
১৯৫৫ - ভারতের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইণ্ডিয়া তথা ভারতীয় স্টেট ব্যাংক নামে পরিচিত হয়
১৯৬১- যুবরানি ডায়নার জন্ম
১৯৬১- মার্কিন ক্রীড়াবিদ কার্ল লুইসের জন্ম
১৯৬২- কিংবদন্তী চিকিৎসক তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী  ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের মৃত্যু
১৯৬৭- অভিনেত্রী পামেলা অ্যান্ডারসনের জন্ম
১৯৬৮- বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ওস্তাদ রশিদ খানের জন্ম
১৯৭৩- ভারতীয় রাজনৈতিক নেতা অখিলেশ যাদবের জন্ম
১৯৯৭ - ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহত্তম বিজ্ঞান সংগ্রহালয় ও বিজ্ঞানকেন্দ্রিক বিনোদন উদ্যান- সায়েন্স সিটি কলকাতা এর উদ্বোধন হয়
২০০৪- অস্কার জয়ী মার্কিন অভিনেতা মার্লোন ব্রান্ডোর মৃত্যু
২০১৭ - ভারতে পরোক্ষ কর পণ্য-পরিষেবা কর পদ্ধতি চালু হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৮ টাকা ৮৪.৩২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৩ টাকা ১০৭.৩০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯০ টাকা ৯১.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
30th  June, 2024
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম)  
রূপার বাট (প্রতি কেজি)  
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি)  
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ আষাঢ়, ১৪৩১, সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪। দশমী ১৩/৪০ দিবা ১০/২৭। অশ্বিনী নক্ষত্র ৩/৩৮ প্রাতঃ ৬/২৬। সূর্যোদয় ৪/৫৯/২৬, সূর্যাস্ত ৬/২১/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৩ গতে ১০/১৯ মধ্যে। রাত্রি ৯/১১ গতে ১২/২ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে ২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪০ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/১ গতে ৪/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/২১ গতে ১১/৪১ মধ্যে।  
১৬ আষাঢ়, ১৪৩১, সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪। দশমী ১০/৩৪। অশ্বিনী নক্ষত্র দিবা ৭/৩৪। সূর্যোদয় ৪/৫৯, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৫ গতে ১০/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/১৩ গতে ১২/৩ মধ্যে ও ১/২৮ গতে ২/৫৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৯ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ৩/২ গতে ৪/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/২২ গতে ১১/৪১ মধ্যে। 
২৫ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারাল ফ্রান্স

11:27:04 PM

ইউরো কাপ: বেলজিয়াম ০: ফ্রান্স ১ (৮৭ মিনিট)

11:20:15 PM

ইউরো কাপ: বেলজিয়াম ০: ফ্রান্স ০ (৪৯ মিনিট)

10:42:31 PM

ইউরো কাপ: বেলজিয়াম ০: ফ্রান্স ০ (হাফটাইম)

10:23:36 PM

ইউরো কাপ: বেলজিয়াম ০: ফ্রান্স ০ (৫ মিনিট)

09:40:36 PM

সিআইডি অফিসারদের হুমকি সুবোধ সিংয়ের
আসানসোল সংশোধনাগারে সিআইডি অফিসারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ বিহারের গ্যাংস্টার সুবোধ ...বিশদ

04:08:57 PM