Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদি সরকারে বাস্তবে কিছু‌ই বদল হয়নি
পি চিদম্বরম

বিজেপির নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদির সরকার শপথ নিয়েছে ৯ জুন। কিন্তু এই সরকারের সূচনাটি শুভ হয়নি। মোদিজিকে ‘হেড টেবিল’ শেয়ার করে নিতে হয়েছিল টিডিপি এবং জেডি (ইউ) নেতাদের সঙ্গে। কিছু মন্ত্রিপদও বরাদ্দ করতে হয়েছে তাঁদেরকে তো বটেই, আরও একাধিক সহযোগীকেও। এমনকী লোকসভার স্পিকার নির্বাচনের জন্য তাঁকে অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনা-পরামর্শের মধ্য দিয়ে এগতে হয়েছে। মোদিজি ২২ বছর যাবৎ কোনও-না-কোনও সরকারের শীর্ষকর্তা, কিন্তু মন্ত্রিসভা গঠন এবং স্পিকার নির্বাচনে এবার তাঁকে যে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে পেরতে হল তা তাঁর জন্য স্বাভাবিক নয়। 

বেশকিছু ধাক্কা 
সরকার গঠনের পর মাত্র ২০ দিনেই ঘটে গিয়েছে বেশকিছু বিপর্যয়।  ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) ভিতরে বিস্ফোরণ ঘটে গিয়ে থাকবে। আর সেই আগুন গ্রাস করে নিয়েছে কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থীর আশা-আকাঙ্ক্ষা। জলপাইগুড়িতে ঘটে গিয়েছে একটি ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। জম্মু ও কাশ্মীরে অব্যাহত সন্ত্রাসবাদী হামলা। টোম্যাটো, আলু ও পেঁয়াজের দাম বেড়ে গিয়েছে—দামবৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৩৯, ৪১ ও ৪৩ শতাংশ। সেনসেক্স এবং নিফটি যখন ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছেছে, ঠিক তখনই মার্কিন ও ভারতীয় মুদ্রার ( ডলার ও রুপি) বিনিময় হার হয়ে গিয়েছে সর্বনিম্ন। এদিকে দুঃসংবাদ হাইওয়েগুলিতে—টোল ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে ১৫ শতাংশ। বিজেপির যেসব নেতা ‘অহঙ্কার’ প্রদর্শন করছেন, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত তাঁদের ভর্ৎসনার পাশাপাশি উপদেশও দিয়েছেন। বিজেপির নেতৃত্ব তা নিয়ে বিড়বিড় করার পর নিজের মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে বুঝিয়ে দেয় যে বিচক্ষণতাতেই বীরের শ্রেষ্ঠত্ব। বিজেপির কয়েকটি রাজ্য সংগঠনে স্থানীয় স্তরে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়তেও দেখা গিয়েছে। 
সংসদের প্রথম অধিবেশন কেটে গিয়েছে স্পিকার নির্বাচন এবং রাষ্ট্রপতির অভিভাষণ দিয়েই, তার বাইরে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কিন্তু রুটিন মাফিক আলোচ্যসূচিতে বিতর্কের অবকাশ বিদ্যমান। প্রথা অনুসারে, সর্বাধিকবার নির্বাচিত সদস্যই লোকসভায় নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে প্রো-টেম স্পিকার মনোনীত হন, তিনি সভাপতিত্ব করেন। এই ব্যাপারে কেরলের কংগ্রেস এমপি  কে সুরেশের নাম নিয়ে কোনও বিতর্কের অবকাশ ছিল না, কারণ তিনি এবার নিয়ে মোট আটবার জয়ী হয়েছেন, পরাজিত হয়েছিলেন মাঝে একবারই। কিন্তু সরকার পক্ষ তাঁকে বাদ দিয়ে, প্রো-টেম স্পিকার পদে, মনোনীত করেছিল ওড়িশার বিজেপি এমপি বি মহতাবকে। তিনি লোকসভা নির্বাচনে জিতেছেন মোট সাতবার—প্রথম দিকে বিজেডির টিকিটে ছ’বার এবং এবার জয়ী হয়েছেন পদ্মফুল প্রতীকে। 
যে বিতর্ক এড়ানোই যেত, বিজেপি তা নিয়েও শক্তিপ্রদর্শন করল কেন? সম্ভাব্য উত্তরগুলি হল: বিজেপি এটাই বুঝিয়ে দিতে চাইল যে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে তাদের ‘সুপ্রিম নেতা’ কোনোভাবেই দুর্বল হয়ে যাননি। তাঁর কর্মপদ্ধতির সামনে কোনও বাধা নেই। তাঁর অ্যাটিচুড এখনও ‘পছন্দ হলে থাকো অথবা ভাগো’র জায়গাতেই রয়ে গিয়েছে। আর-একটি উত্তর হতে পারে যে, আদালত-বিতর্কে ঝড় তোলা কিরেন রিজিজু সংসদ বিষয়ক মন্ত্রিপদ পেয়ে তাঁর আগমনবার্তা দিতে চেয়েছেন। তবে সবচেয়ে যুক্তিগ্রাহ্য উত্তরটি হল, বিজেডি ছেড়ে বিজেপিতে আসা মহতাবজিকে মনোনয়ন তাঁর জন্য দলত্যাগের পুরস্কার। এর মধ্যে দলত্যাগে উৎসাহের বার্তাই রয়েছে, যাতে অন্য দলের আরও এমপি আগামী দিনে বিজেপিতে চলে আসেন। 

অপূর্ণ আশ্বাস 
স্পিকার নির্বাচন একটি অপ্রীতিকর পরিবেশেই সম্পন্ন হয়েছিল। তবে তার ছায়া অধিবেশনের বাকি অংশে পড়ার দরকার ছিল না।  কিন্তু ৪৯ বছর (হ্যাঁ, ৪৯ বছর, ৫০ নয়) আগে জারি হওয়া জরুরি অবস্থার জন্য কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেলতে মাননীয় স্পিকার তাঁর জায়গা থেকে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করলেন। তাতে যোগ হল আরও তিক্ততা! সংসদ এর পরে, পাকিস্তান (১৯৪৭ সালে কাশ্মীর আক্রমণের জন্য), চীন (১৯৬২ সালের যুদ্ধের জন্য) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (১৯৭১ সালে ভারতকে ভয় দেখাতে বিমানবাহী রণতরি পাঠানোর জন্য) নিন্দাসহ ইতিহাসের অন্যান্য অধ্যায়ের ‘শিক্ষা দিতে পারে’।  স্পিকারের এবারের প্রস্তাবটি ছিল একটি অযৌক্তিক উস্কানি।
ভুলভাল সূচনার পরে সৌজন্য পুনরুদ্ধারের একটি সুযোগ হতে পারত উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির অভিভাষণটি। কিন্তু সেই সুযোগটি হাতছাড়া হয়েছিল সরকার পক্ষের কারণে। এবার লোকসভায় শাসক এবং বিরোধী পক্ষের মধ্যে যে সংখ্যাগত পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে, রাষ্ট্রপতির অভিভাষণে তার স্বীকৃতি প্রত্যাশিত ছিল। এটাই সত্য যে, জোট সরকারের নেতৃত্ব প্রদানকারী দল বিজেপির আসন সংখ্যা গরিষ্ঠতার চেয়ে ৩২ কম রয়েছে, অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী জোটের বাকিদের মতো সমান হয়েও বাড়তি সম্মাননীয়। দশবছর পর লোকসভা একজন বিরোধী দলনেতা পাচ্ছে। পরিতাপের বিষয় এই যে, রাষ্ট্রপতির ভাষণে পরিবর্তিত পরিস্থিতির কোনও উল্লেখ ছিল না। 
নির্বাচনের আগে এবং নির্বাচনের সময় বিজেপি যেসব দাবি করেছিল, রাষ্ট্রপতির ভাষণটি ছিল তারই এক পুনরাবৃত্তি। যদিও সেই দাবিগুলি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। এই নয়া সরকার আর একটি ‘বিজেপি’ সরকার নয়, একেবারে একটি ‘জোট’ সরকার। বিজেপি এই ‘বিটারসুইট ফ্যাক্ট’ মানতে পারছে না এবং রাষ্ট্রপতির ভাষণে পাওয়া গেল তারই প্রতিধ্বনি। তাঁর ভাষণে ‘কোয়ালিশন’ বা ‘জোট’ শব্দটি পাওয়া যায়নি। ‘ঐকমত্য’, ‘মুদ্রাস্ফীতি’ এবং ‘সংসদীয় কমিটি’র মতো কিছু শব্দ তাদের অনুপস্থিতিতেই সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। রাষ্ট্রপতির ভাষণে তফসিলি জাতি, তফসিলি জনজাতি এবং অনগ্রসর শ্রেণির উল্লেখ ছিল। কিন্তু অন্যদেরকে, বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল ‘সামাজিক ও ধর্মীয় গোষ্ঠী’ কথাটির মধ্যে। তাঁর ভাষণে মণিপুর ট্র্যাজেডির কোনও জায়গা হয়নি। ‘অগ্নিবীর’ এবং ‘ইউনিফর্ম সিভিল কোড’ বা ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’রও কোনও উল্লেখ ছিল না। অবশেষে, ভারত আর ‘বিশ্বগুরু’ নয়, বরং ‘বিশ্ববন্ধু’ হতে পেরেই সে সন্তুষ্ট!

আরও অনুরূপতা 
বিজেপির দৃষ্টিতে আপাতভাবে কোনোকিছুই বদলায়নি, এমনকী মানুষের মুড বা মেজাজও নয়। তাই, একই ক্যাবিনেট, মন্ত্রীরাও একই, প্রথম সারির মন্ত্রীদের মন্ত্রকও অপরিবর্তিত, রয়ে গিয়েছেন পুরনো স্পিকারই, প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির বদল হয়নি, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাও রয়ে গিয়েছেন আগের ব্যক্তিই, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর শীর্ষকর্তাটিও একই, সরকারের ল অফিসারদের ক্ষেত্রেও কোনও বদল ঘটেনি, এবং আরও অনেকেই একই পদে রয়ে গিয়েছেন। আরও শুনছি যে, সোশ্যাল মিডিয়া ভরে রাখা হয়েছে টাকা দিয়ে পোষা সেইসব অর্ধশিক্ষিত লোকজনকে দিয়েই—যারা বিভ্রান্তি ছড়াতে ওস্তাদ, অশালীনতার প্রচারে এক্সপার্ট এবং অবশ্যই হেরো। জনগণের রায়ের পরও যে কিছুই বদলায়নি, এটাই তার প্রমাণ। এটা সত্যিই উদ্বেগের বিষয়।
বাজেটের প্রাক পর্বে মানুষের কাছে সবচেয়ে উদ্বেগের দুটি বিষয় রয়েই গেল—(১) বেকারত্ব এবং (২) মুদ্রাস্ফীতি। দ্য সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটিজের (সিএসডিএস) ভোট-পরবর্তী সমীক্ষা (দ্য হিন্দু/ ২৫ জুন, ২০২৪) অনুসারে, ‘মূল্যবৃদ্ধি/মুদ্রাস্ফীতি’ এবং ‘ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব’ যথাক্রমে ২৯ শতাংশ এবং ২৭ শতাংশ মানুষের কাছে বিজেপি সরকারের সবচেয়ে ‘অপছন্দের’ কাজ বলে বিবেচিত হয়েছে। এই মারাত্মক দুটি উদ্বেগ নিরসনের ব্যাপারে জনগণকে যার-পর-নাই হতাশ করেছে মোদিজির মন্ত্রিসভা গঠন এবং রাষ্ট্রপতির অভিভাষণ। এমাসেই, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের যে বাজেট পেশ হতে চলেছে সেটি কি মোদি সরকারকে জাগাতে সক্ষম হবে? সংসদীয় শিষ্টাচার চায় যে আমরা যেন আশা রেখে যেতে পারি।
লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
মমতার রাজধর্মের কাছে পরাজিত মোদি
হিমাংশু সিংহ

সমালোচনা থেকে বাঁচতে অর্ধশতক আগের জরুরি অবস্থাকে একজন ঢাল করছেন ক্রমাগত। উপায় না দেখে তার আড়ালেই মুখ লুকোচ্ছেন সংসদের ভিতরে এবং বাইরে। পাঁচমাস আগে তড়িঘড়ি উদ্বোধন হওয়া রামমন্দিরের ছাদ বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে জল। বিশদ

30th  June, 2024
জননেত্রী বলেই জবাবদিহি জনতার কাছে
তন্ময় মল্লিক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ছাব্বিশের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন? পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, চব্বিশের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি এখন থেকেই ঘর গোছানোয় হাত দিয়েছেন। বিশদ

29th  June, 2024
বঙ্গ সাংসদরা হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনুন সংসদে
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় রাজনীতি, উন্নত পার্লামেন্টারিয়ান এবং ভারত নির্মাণের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার আগে এবং পরে এই তিনটি ক্ষেত্রেই ছিল বাঙালির শক্তিশালী উপস্থিতি। আর ঠিক এই তিন ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি বিচ্ছিন্ন। বিশদ

28th  June, 2024
সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না।
বিশদ

27th  June, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

21st  June, 2024
মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
একনজরে
টাকা দিয়েও সময়মতো ফ্ল্যাট পাওয়া যাচ্ছে না। প্রোমোটার বা ডেভেলপারদের টালবাহানায় ভুগতে হচ্ছে ক্রেতাকে। অনেক ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট বানানোর জন্য জমি নিয়ে কোনও নির্মাণ না করেই ...

লোকসভা নির্বাচন এখন অতীত। এবার হরিয়ানার দরজায় কড়া নাড়ছে বিধানসভা নির্বাচন। হরিয়ানায় লোকসভার ফল বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। রাজ্যের ১০টি আসনের মধ্যে মাত্র পাঁচটিতে জয় পেয়েছে ...

বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার পথ অনুসরণ করলেন রবীন্দ্র জাদেজা। টি-২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন ভারতের এই তারকা অলরাউন্ডার। ...

সম্পত্তি কর খাতে রাজস্ব আদায় বাড়াতে মরিয়া কলকাতা পুরসভা। এখনও যেসব বাড়ি বা ফ্ল্যাট ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্টের আওতাভুক্ত হয়নি, সেগুলিকে নয়া এই কর নির্ধারণ পদ্ধতির মধ্যে আনতে তৎপরতা শুরু হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থাগম যোগ। বিদ্যার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শুভ ফল লাভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় চিকিৎসক দিবস
১৮৪৭ - মার্কিন ডাক বিভাগ প্রথম ডাক টিকিট চালু করে
১৮৬২ - ভারতের প্রাচীনতম হাইকোর্ট কলকাতা উচ্চ আদালত বা কলকাতা হাইকোর্ট স্থাপিত 
১৮৭৯ - অবিভক্ত ভারতে প্রথম পোস্টকার্ড চালু হয়
১৮৮২- কিংবদন্তী চিকিৎসক তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম
১৯০৬ - কানাড়া ব্যাঙ্ক  প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯০৮ - আন্তর্জাতিক আতান্তর সংকেত এসওএস চালু হয়  
১৯২১ - নদীয়ার বড়জাগুলী তে জমিদার গোপাল সিংহের হাত ধরে বড়জাগুলী গোপাল একাডেমি স্কুল প্রতিষ্ঠা হয় , এটি নদীয়া জেলার সবচেয়ে প্রাচীন উচ্চ বিদ্যালয়
১৯৩৮- কিংবদন্তী বংশীবাদক হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়ার জন্ম
১৯৫৫ - ভারতের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইণ্ডিয়া তথা ভারতীয় স্টেট ব্যাংক নামে পরিচিত হয়
১৯৬১- যুবরানি ডায়নার জন্ম
১৯৬১- মার্কিন ক্রীড়াবিদ কার্ল লুইসের জন্ম
১৯৬২- কিংবদন্তী চিকিৎসক তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী  ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের মৃত্যু
১৯৬৭- অভিনেত্রী পামেলা অ্যান্ডারসনের জন্ম
১৯৬৮- বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ওস্তাদ রশিদ খানের জন্ম
১৯৭৩- ভারতীয় রাজনৈতিক নেতা অখিলেশ যাদবের জন্ম
১৯৯৭ - ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহত্তম বিজ্ঞান সংগ্রহালয় ও বিজ্ঞানকেন্দ্রিক বিনোদন উদ্যান- সায়েন্স সিটি কলকাতা এর উদ্বোধন হয়
২০০৪- অস্কার জয়ী মার্কিন অভিনেতা মার্লোন ব্রান্ডোর মৃত্যু
২০১৭ - ভারতে পরোক্ষ কর পণ্য-পরিষেবা কর পদ্ধতি চালু হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৮ টাকা ৮৪.৩২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৩ টাকা ১০৭.৩০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯০ টাকা ৯১.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
30th  June, 2024
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম)  
রূপার বাট (প্রতি কেজি)  
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি)  
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ আষাঢ়, ১৪৩১, সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪। দশমী ১৩/৪০ দিবা ১০/২৭। অশ্বিনী নক্ষত্র ৩/৩৮ প্রাতঃ ৬/২৬। সূর্যোদয় ৪/৫৯/২৬, সূর্যাস্ত ৬/২১/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৩ গতে ১০/১৯ মধ্যে। রাত্রি ৯/১১ গতে ১২/২ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে ২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪০ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/১ গতে ৪/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/২১ গতে ১১/৪১ মধ্যে।  
১৬ আষাঢ়, ১৪৩১, সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪। দশমী ১০/৩৪। অশ্বিনী নক্ষত্র দিবা ৭/৩৪। সূর্যোদয় ৪/৫৯, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৫ গতে ১০/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/১৩ গতে ১২/৩ মধ্যে ও ১/২৮ গতে ২/৫৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৯ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ৩/২ গতে ৪/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/২২ গতে ১১/৪১ মধ্যে। 
২৫ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারাল ফ্রান্স

11:27:04 PM

ইউরো কাপ: বেলজিয়াম ০: ফ্রান্স ১ (৮৭ মিনিট)

11:20:15 PM

ইউরো কাপ: বেলজিয়াম ০: ফ্রান্স ০ (৪৯ মিনিট)

10:42:31 PM

ইউরো কাপ: বেলজিয়াম ০: ফ্রান্স ০ (হাফটাইম)

10:23:36 PM

ইউরো কাপ: বেলজিয়াম ০: ফ্রান্স ০ (৫ মিনিট)

09:40:36 PM

সিআইডি অফিসারদের হুমকি সুবোধ সিংয়ের
আসানসোল সংশোধনাগারে সিআইডি অফিসারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ বিহারের গ্যাংস্টার সুবোধ ...বিশদ

04:08:57 PM