Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ফেরা
ছন্দা বিশ্বাস 

সোপান সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে বলল, ‘তাহলে কী ঠিক করলি?’
পরমের হাতে সিগারেটটা অসহায়ভাবে পুড়ছিল। ওরা ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টেশনে ঢোকার মুখে বাঁ-পাশে একটা স্মোকিং জোনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। কয়েকজন জার্মান যুবতী দ্রুত সিগারেট নিঃশেষ করে ভিতরে ঢুকে গেল। 
একজন কোট প্যান্ট পরা ভবঘুরে জুলুজুলু দৃষ্টিতে ওদের দিকে তাকাল। ডানদিকের ভ্যাট থেকে কুড়ানো বিয়ারের ক্যান আর জলের বোতলগুলো একত্র করছে। 
লোকটার দিকে তাকিয়ে পরম বলল, ‘আজকের রাতটা তো হোটেলে থাকছি তারপরে ভাবব।’ 
সোপান শর্ট রুটের ট্রেন ধরতে বেরিয়ে গেল। 
ফ্রাঙ্কফুর্ট মেইন স্টেশন থেকে বেরিয়ে পরমব্রত ট্রাম লাইনের সামনে এসে দাঁড়াল। 
নীল রঙের ট্রামটা ‘ইউরো পার্কে’র দিকে টার্ন নিল। পরমের তেমন কোথাও যাওয়ার কথা ছিল না। গত সপ্তাহে অফিসের কাজে হামবুর্গ এসেছিল। আজ ফ্রাঙ্কফুর্টের অফিসে বাকি কাজ সেরে ফেলল। আগামী কাল ফিরে যাবে। তাই শহরটা একটু ঘুরে দেখবে। তারপরে ফিরে যাবে কোলনে। সেখান থেকে ডাসেলডর্ফ। দু’বছর হতে চলল পরম ডাসেলডর্ফে আছে। 
হাঁটতে হাঁটতে পরম দেখল ফুরফুরে আকাশটা হঠাৎ ঘন কালো মেঘে ঢেকে গেল। কয়েক মিনিট যেতে না যেতেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। ও দৌড়ে ট্রাম ডিপোর শেডের নীচে দাঁড়াল। একঝাঁক বাঙালি ইউরো শপে ঢুকল মাথা বাঁচাতে। 
সেই  ভবঘুরে ডাস্টবিন ঘেঁটে দুটো জলের বোতল আর বিয়ারের কন্টেনার পিঠের ব্যাগে চালান করে দিল। বোতলগুলো গ্রোসারি শপে দিলে পঁচিশ সেন্ট করে পাওয়া যায়। এখানে পিপাসায় বুক ফেটে গেলেও কোথাও বিনা পয়সায় জল পাওয়া যায় না। এমনকী রেস্টুরেন্ট কিংবা স্টেশনেও নয়। ঘর থেকে বের হওয়া মানে সব কিছু কিনে খেতে হবে। এখানে জল মহার্ঘ। কিছুক্ষণ আগেই তো পরম সাড়ে তিন ইউরো দিয়ে হাফ লিটার জল কিনল। হাফ লিটার জল আর এক ক্যান বিয়ার একই দাম। 
একঝাঁক জার্মান যুবতী মনের সুখে সিগারেট টানছে। পরম গোটা ইউরোপ ঘুরে দেখেছে মেয়েদের ভিতরে নিকোটিনের প্রতি তীব্র আসক্তি। তুলনায় পুরুষেরা সংখ্যায় বেশ কম। 
আবার ঝকঝকে রোদ্দুর উঠল। 
পরম পায়ে পায়ে এগিয়ে গেল সেন্টার পয়েন্টের দিকে।
 ‘স্ট্যাচু অব জাস্টিসে’র সামনে সেই বহুরূপী স্ট্যান্ডের উপরে দাঁড়িয়ে ট্যুরিস্টদের সঙ্গে ফোটো তুলছে। বিনিময়ে দু’-এক ইউরো করে পাচ্ছে। একজন বেহালাবাদক ছড় টানছে। হুবহু পাঁচ বছর আগের চিত্র। একই ফ্রেম, একই রং-তুলির শহর। প্রিয়া ছবি তুলেছিল এখানে দাঁড়িয়ে। ওর ঘরের বেড সাইড টেবিলে রাখা আছে ছবিটা। সুন্দর ফ্রেমে ওর মা বাঁধিয়ে রেখেছে আরও কিছু ছবির কোলাজ। 
রাস্তার দু’ধারে ক্যাফেটেরিয়া আর রেস্টুরেন্টের সামনে অজস্র চেয়ার টেবিল পাতা আছে। স্যুভেনির শপগুলোতে ভিড় পর্যটকের। 
ঢং ঢং করে ঘণ্টা বাজছে। চার্চের ঘণ্টাটা বেশ 
জোরালো শোনাল। 
পরম হাতঘড়ি দেখল। এখানে দীর্ঘ বেলা। সাড়ে আটটাতে সূর্যাস্ত হলেও আকাশে ন’টার পরেও আলো থাকে। 
‘কী দাম গো! দশ ইউরোতে তেমন ভালো কিছু পাওয়া যায় না। কুড়ি-পঁচিশ খসালে তবেই না—’ 
গলা শুনে পরম ঘাড় ঘোরায়। 
কয়েকজন বাঙালি ওর দিকে তাকাল। তারপরই মুখ ফিরিয়ে নিল।
পরম লক্ষ করল ওর সাদা টি শার্টে চে গেভারার ছবি। 
তাই কি?
কী বুঝল কে জানে। 
পিঠের ব্যাগটা বেশ ভারী। ল্যাপটপ, আইপ্যাড, সঙ্গে ছাতা, জলের বোতল। ভেবেছিল ব্যাগটা হোটেলে রেখে আসবে। এলেই ভালো হতো। হাফ-বান-হপ স্টেশন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ওর হোটেল। 
সোপান খুব মজা করেছিল ওদের বিয়েতে। টানা পনেরো দিন ছিল কলকাতায়। বিয়ে বউভাত সেরে একসঙ্গেই ফিরেছিল। পরম আর প্রিয়া ঠিক করেছিল ওরা সুইজারল্যান্ডে হনিমুন সারবে। 
দুই রাত লুসার্নে কাটাল, ক্রুজে ঘুরল। তারপরে জুরিখ হয়ে ফিরল। 
পরম গির্জার রাস্তা ধরে আরও কিছুটা এগিয়ে গেল। পথের দুই ধারে অট্টালিকার সারি। গির্জার চুড়ো দেখা যাচ্ছে। বাকিটা গাছেদের আড়ালে চলে গিয়েছে।  
আরও কিছুটা এগতেই ‘আম-মাইন’ নদী। শহরের লাইফ লাইন। 
প্রিয়াকে বিয়ের পরে নিয়ে এসেছিল। তখন ওর নতুন চাকরি। ফ্রাঙ্কফুর্টে ছিল মাস ছয়েক। বাকি দিনগুলো জার্মানির বিভিন্ন শহরে। তারপরে কলকাতায় ফিরে গিয়েছিল। ওর বাবা-মায়ের চাইতে প্রিয়ার বাবা-মায়ের জন্যই ফিরে যেতে হল। স্যালারি এক ধাপে অনেকটাই কমে গেল। 
প্রিয়া ছয় মাসেই হাঁফিয়ে উঠেছিল। ইতিমধ্যে যাদবপুর থেকে ই-মেল পেতেই ও আরও মরিয়া হল। বলল, ‘ফিরে চল পরম।’ 
নতুন বউয়ের আবদার, বাধ্য হয়েই পরমকে ফিরতে হল। 
উত্তর আর দক্ষিণ দুই প্রান্তে দুই পরিবারের বাস। পরমের অফিস রাজারহাটে। প্রিয়ার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। প্রিয়া একদিন রাতে বিছানায় পরমকে জড়িয়ে বলল, ‘আমি কিন্তু এবার থেকে মা-বাবার সঙ্গে থাকব।’ 
‘আর আমি? বউ ছাড়া একলা, কেটেছে একেলা বিরহের বেলা...গাইব?’ 
‘কেন? তুমিও থাকবে আমার সঙ্গে।’
পরম প্রিয়ার হাতটা সরিয়ে বলল, ‘মানে? বিয়ের পরে তুমি বাপের বাড়িতে কাটাবে?’ 
‘কেন? কী হয়েছে? তুমিও তো থাকবে আমার সঙ্গে।’
‘আমি নিজের বাড়ি, আমার বাবা-মাকে ছেড়ে শ্বশুর বাড়িতে থাকব?’ 
প্রিয়া অভিমানী গলায় বলল, ‘এই সব মিডল ক্লাস মেন্টালিটি ছাড় তো। আমাদের দোতলা বাড়ির পুরোটাই ফাঁকা পড়ে থাকে। কত জায়গা বল তো, কী সুন্দর নিজেদের মতো থাকতে পারব। আমার পড়াশোনার সুবিধা হবে।’ পরমের বুকে অদৃশ্য কাঁটার খোঁচা লাগে। ও কি তুলনা 
টানছে? পরমদের সাড়ে সাতশো স্কোয়ার ফিটের ছোট্ট ফ্ল্যাট এক চিলতে জায়গায় ও কি হাঁপিয়ে উঠেছে?  
ছোট্ট একটা বেডরুমে সারাটা দিন প্রায় বন্দি হয়েই কাটাতে হয়। নিজের মতো কিছু কিনতে পারেনি আজ পর্যন্ত। 
রাখবে কোথায়? 
বিয়েতে পরম কিচ্ছু নেয়নি। নিজেই ঘর সাজিয়েছিল খাট, ওয়ারড্রোব, ড্রেসিং টেবিল, কম্পিউটার টেবিল, দেওয়াল জোড়া শো কেস এমনকী প্রিয়ার জন্য বেডরুম সংলগ্ন একটা ছোট ঘর বানিয়েছিল প্রোমোটারকে বলে। 
এইটুকু জায়গা কিনতেই বাবার সারাজীবনের জমানো টাকা শেষ হয়ে গেল। 
তবু সেটাই ছিল স্বর্গ। 
পরমের সে রাতটা বিস্বাদে কেটেছিল। 
পরম কিছুতেই রাজি ছিল না এই প্রস্তাবে। বন্ধুরা বলেছিল প্রথম রাতেই বিড়াল মারতে হয়। তাই সে শক্ত হয়ে বলল, ‘বিয়ের পরে স্বামীর বাড়িটাই নিজের বাড়ি। তবে তোমার যখন ইচ্ছে বাবা মায়ের কাছে যেও তাতে আমি বাধা দিচ্ছি না। তবে পার্মানেন্ট থাকবে সেটি সম্ভব নয়।’ 
দু’দিন মনমরা ছিল দু’জনে। 
ফোন করছে না দেখে প্রিয়াকে সেদিন ফোন করেন ওর মা। 
প্রিয়ার গলা শুনেই জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী হয়েছে রে? পরমের সঙ্গে ঝগড়া? নাকি শাশুড়ির সঙ্গে মনোমালিন্য?’
‘না, না শাশুড়ি মাটির মানুষ।’ 
‘তাহলে?’
মায়ের কাছে সত্যিটা লুকাতে পারেনি। 
মা বলেন, ‘ঠিকই তো বলেছে পরম, বিয়ের পরে ওটাই তোর বাড়ি।’
‘আর এতদিন যেখানে ছিলাম?’ 
‘এটাও।’
‘তুমি তো শ্রোডিংগার ইক্যুয়েশনের মতো বললে জ্যান্ত বিড়াল মরা বিড়ালের গল্প। একই সঙ্গে দুই জায়গায় কীভাবে থাকা সম্ভব?’
‘একই সঙ্গে কেন! যখন মন চাইবে চলে আসবি।’ 
‘আমার মন চাইছে, আমি প্রতি উইকএন্ডে তোমাদের সঙ্গে কাটাব।’ 
‘অমন আবদার করলে চলে না মা। একটু অ্যাডজাস্টমেন্টে আসতে হবে।’
‘শুধু মেয়েরাই অ্যাডজাস্টমেন্ট করবে আর ছেলেরা?’
প্রিয়া একের পর এক যুক্তির ঘুঁটি সাজায়। 
না পেরে মা বলেন, ‘তোর সঙ্গে কথায় পারা যায় না। যা পারিস কর।’ 
প্রিয়া একটু নরম হয়ে সেদিন পরমকে বলল, ‘তুমি আমাকে অযথা ভুল বুঝ না। আমার বাবা আর  মায়ের আমি ছাড়া আর কে আছে বল? আমি যদি তাদের না দেখি কে দেখবে?’
‘তুমি যেমন তোমার পেরেন্টের কথা ভাবছ, আমাকেও তো তাদের কথা ভাবতে হয়।’ 
‘আমি কি তোমার বাবা-মাকে নিজের ভাবি না? তাদের কিছু হলে আমি দেখব না? আমার বাবার হাই ব্লাড প্রেশার, মাও অসুস্থ, আমার কত চিন্তা হয় জানো?’
কিছুদিন প্রিয়া বাপের বাড়িতে কাটাল। পরম একদিনের জন্যও গেল না।
পরে মায়ের চাপে পরম কিছুটা নরম হয়ে প্রিয়াকে আনতে এল।
ঠিক হল শুক্রবার ইউনিভার্সিটি থেকে প্রিয়া বাপের বাড়ি চলে যাবে পরম চুপ থাকল। ব্যালকনির রেলিংয়ে ভর দিয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়েছিল।  ভাবছে এত অল্প সময়ে সম্পর্কে ঘুণ ধরবে ভাবতে পারেনি। 
কীভাবে জীবন শুরু করেছিল, ওদের নিয়ে বাবা-মায়ের কত স্বপ্ন ছিল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গড়াল যে, বাবা-মা বাধ্য হলেন বলতে, ‘যদি চাস আলাদা থাকতে পারিস। সত্যি তো নতুন সংসারে এমন পুরনো লজ্‌ঝরে ফ্ল্যাটে থাকতে 
ভালো লাগে?’
মায়ের ঠোঁট কেঁপে উঠল, ‘তোদের সুখেই আমাদের সুখ। তুই অসুখী হলে আমরা যে মরে যাব।’
বাবা নিশ্চুপ। 
পরমের চোখ সহসা আর্দ্র হয়ে পড়ে। প্রিয়ার চাপে পড়ে বুক করতে হল নতুন ফ্ল্যাট দক্ষিণ কলকাতায়। তবে শ্বশুরের টাকায় নয়, নিজের জমানো টাকা সঙ্গে লোন নিল।
...
আবার বৃষ্টি শুরু হল। পরম দৌড়ে সামনের ক্যাফেটেরিয়াতে ঢুকল। এক কাপ কফি অর্ডার দিয়ে কর্নারের টেবিলে বসল। ওয়েটার এক কাপ ক্যাপুচিনো কফি রেখে গেল।
নিজের ফ্ল্যাটে ঢোকার পরে প্রিয়া অন্যরকম হয়ে গেল। কত হাসিখুশি। একেবারে নিজের একটা সংসার। মনের আনন্দে ঘর সাজাচ্ছে। ততদিনে ও কনসিভ করল। বলল, ‘এবারে তোমার মা-বাবাকে আমাদের কাছে নিয়ে আসব।’ পরম জড়িয়ে ধরল প্রিয়াকে। এমনটাই তো চেয়েছিল। বুদ্ধি করেই শাশুড়ি পরমকে দক্ষিণে ফ্ল্যাট বুকিং করাল। এক পাড়াতে থাকলে প্রিয়ার মনে হবে না রাতটা বাবা-মায়ের কাছে কাটাই। ওরা যখন খুশি আসছেন, যা রাঁধছেন দিয়ে যাচ্ছেন। একসঙ্গে ঘুরতে যাচ্ছেন। এমন সহজ সমাধান হবে বুঝতে পারেনি। মাঝে কয়েক বছর দু’জনের ভিতরে কত কিছুই না ঘটে গেল। একসময় ডিভোর্সের পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। দুই পক্ষের মায়েদের মিলিত উদ্যোগে ওদের জীবনে 
শান্তি এল।
বৃষ্টি ধরে এলে পরম ‘লাভ লক 
ব্রিজে’ এল। এই আয়রন ফুট ব্রিজে উঠলে 
ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরের দুই দিকের অনেক দূর পর্যন্ত 
দেখা যায়। নদীতে তখন সুর তুলে একদল যুবক দাঁড় বাইতে বাইতে এগিয়ে চলেছে। সন্ধে হয়ে আসছে। ব্রিজের আলো জ্বলে উঠেছে। লন্ডনের লাভ লক ব্রিজের মতোই প্রেমিক-প্রেমিকারা এখানে এলে তালা ঝুলিয়ে যায়। ভালোবাসার বন্ধন অক্ষয় হোক। পরম খুঁজছিল কোথায় সেবার ওরা তালা ঝুলিয়েছিল। তারপরে কত হাজার তালা ঝুলিয়েছে পৃথিবীর প্রেমিক-প্রেমিকা যুগল। তবে সব প্রেম কি আর অটুট থাকে? যাকে চোখের আড়াল করতে মন চায় না দেখা যায় সেই সব থেকে দূরে চলে যায়। নইলে ওদের জীবনে এমন হবে কেন?
নিয়ম মেনে শহরের প্রখ্যাত গাইনিকোলজিস্টকে দেখাচ্ছিল। অপারেশন সাকসেসফুল, বেবি ওকে, মা বাচ্চা দু’জনেই সুস্থ দেখে এল। পরেরদিন রাত থেকে প্রিয়ার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করল। জেনারেল বেড থেকে সিসিইউ-তে ট্রান্সফার, তারপরেই সব শেষ! বাবা চাইছিল বাচ্চাটা নিজেদের কাছে থাকুক। প্রিয়ার বাবা-মা চাইছেন ওঁদের কাছে রাখবেন। সকলে তাকিয়ে আছে পরম এর মুখের দিকে। 
মা বলল, ‘পরম কী বলছে শোন।’
পরমের কিছু বলার ছিল না। উদাস দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল। বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি উত্তর শোনার অপেক্ষায়। বাচ্চাটার প্রতি স্নেহ মায়া জন্মানোর আগেই তো প্রিয়া চলে গেল। ভাবছিল, প্রিয়া জোর করেই মা হতে চাইছিল। চলে যাবে বলেই কি এত তাড়া ছিল? 
মা বলল, ‘আমাদের তো পরম আছে, ওঁরা তো নিঃস্ব হয়ে গেলেন। বাচ্চাটা ওঁদের কাছে থাকুক। আমাদের মন চাইলে দেখে আসব।’ 
পরম এই দুঃসহ জীবন কাটাতে পারছিল না। প্রিয়াহীন জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠল। 
মনের জোরে ফিরে এল জার্মানিতে একবুক হাহাকার নিয়ে। 
একটা ঝোড়ো বাতাস বইছে। সঙ্গে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। পর্যটকেরা দৌড়চ্ছে মাথা বাঁচাতে।
দূরে একট সাদা রঙের ক্রুজ অপেক্ষা করছে জেটিতে। পরম কাচগুঁড়ো বৃষ্টির ভিতর দিয়ে ঝাপসা হয়ে আসা ক্রুজটাকে দেখছে। হঠাৎ তীব্র শব্দে সাইরেন বেজে উঠল। জেটি ছেড়ে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে ক্রুজটা। ফিরে যাচ্ছে গন্তব্যের দিকে। 
ঢেউ এসে ধাক্কা দিচ্ছে জেটির গায়ে। 
পরম ভাবছিল সবাইকেই ফিরতে হয়। আগে নয়তো পরে। 
চিন্তার সুতোটা ছিন্ন হল শিশুর গলা শুনে।
দেখল, সামনেই ছোট্ট একটা বাচ্চা টলমল পায়ে ছুটে একবার মায়ের কাছে যাচ্ছে পরক্ষণে বাবার দিকে—
পরমের চোখে জল এল। মনে হল তালাটা ও খুঁজে পেয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়া একদিন পরমকে বলেছিল, এ-এখানে কান পাত, শুনতে পাবে। 
পরম শুনতে পাচ্ছে শিশুর কান্না। ওদের দু’জনের ভালোবাসার বন্ধন! 
08th  September, 2024
রাত্রিটা ভালো নয়

এটাই শেষ ট্রেন ছিল। স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে পথিক দেখল, চারদিকটা খুব ফাঁকা লাগছে। শীতকাল বলেই কী? নইলে এত তাড়াতাড়ি তো রাস্তাঘাট এমন শুনশান হয় না। তার পক্ষে অবশ্য এটা ভালোই। ভিড় থাকলে রিকশ পাওয়া দুষ্কর। আবার বেশি ফাঁকা হলেও রিকশওয়ালাগুলো সব পিটটান দেয়।
বিশদ

15th  September, 2024
গগনবাবু ও প্যাংলা তাপস
রম্যাণী গোস্বামী

গগনবাবু একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মোটামুটি উপরতলার কর্মী। যাদবপুরে নিজেদের ফ্ল্যাট। মাস গেলে ইএমআই বাদ দিলে মাঝারি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, কয়েকটা মিউচুয়াল ফান্ড, হৃষ্টপুষ্ট গিন্নি, ফ্যাশানেবল কলেজ পড়ুয়া কন্যা এবং একটি মাহিন্দ্রা কেইউভি— এই হল মোটামুটি তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান। বিশদ

01st  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হনুমান মহারাজজি
সমৃদ্ধ দত্ত

 

সেই গল্পটা তো আমাদের সকলেরই জানা। মহাশক্তিশালী ভীম হস্তিনাপুর যাওয়ার পথে একটি জঙ্গল পেরচ্ছিলেন। তাঁর শরীরে তো একশো হাতির শক্তি। সেকথা সর্বজনবিদিত। দ্বিতীয় পাণ্ডব নিজেও সেকথা জানেন। সোজা কথায় তাঁর নিজের বাহুবল নিয়ে যে গর্ব ছিল একথাও অবগত আমরা।  বিশদ

01st  September, 2024
ছেলের সঙ্গে দেখা
সন্দীপন বিশ্বাস

বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল সুভদ্রার। ঝাপানডাঙা স্টেশনে সে বসে আছে। এখানে এসেছিল এক গুরুবোনের বাড়ি। ফিরে যাচ্ছে উত্তরপাড়ায়, নিজের ঘরে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। এখনও কয়েকটা কাক ডাকছে। কেমন ক্লান্ত স্বর ওদের। স্টেশনের শেডের ওপর বসে কাকগুলো। বিশদ

25th  August, 2024
ঘাটশিলার বীরেশ
রাজেশ কুমার

ব্যাগ বোঁচকা আর এক কিলো পুঁটিমাছ নিয়ে সকাল সকাল পড়লাম এক অশান্তিতে। হয়েছেটা কী, দু’দিনের জন্য ঘুরতে এসেছিলাম ঘাটশিলা। ঠিক ঘুরতে না বলে শনির দশা কাটাতেই বলা ভালো। অনেক দিন বেড়াতে যাব, বেড়াতে যাব ভাবলেও যাওয়া হচ্ছিল না কোথাও। কিছু না কিছু বিপত্তি এসে হাজির হচ্ছিল ঠিক। বিশদ

18th  August, 2024
অভিশপ্ত কুলধারা

অলৌকিক তকমা স্থান-নামের সঙ্গে আলাদা মাত্রা যোগ করে। অলৌকিক ব্যাপার নিয়ে বিশ্বাসী অবিশ্বাসী দু’পক্ষেরই নিজস্ব দাবিদাওয়া আর মতামত অন্তহীন।
  বিশদ

11th  August, 2024
দিল্লি দরবার
সমৃদ্ধ দত্ত

এমন কিছু নতুনত্ব নয়। এরকম দরবার এবং উৎসব আগেও হয়েছে। একবার সেই ১৮৭৭ সালে। ভারতের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেওয়ার বেশ কয়েক বছর পর মহারানি ভিক্টোরিয়ার ‘বিশেষ অভিষেক’ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল।
বিশদ

11th  August, 2024
হেড অফিসের বড়বাবু

বার দশেক হোঁচট খেয়ে প্রায় পড়ে যেতে যেতে নিজেকে সামলে নিয়ে পার্থ এসে দাঁড়াল অফিসের গেটে। পার্থ বড়ুয়া। জুনিয়র অফিসার।
বিশদ

11th  August, 2024
ছোট গল্প: মাগুরমারি সাঁকো
সৌমিত্র চৌধুরী

বাঁকের মুখে স্টিয়ারিং ডান দিকে ঘুরাতেই চোখে পড়ল। একটা সাঁকো। মনে হচ্ছে বেশ পুরনো। দূর থেকে ব্রেকে আলতো করে পা ছোঁয়াল বিপুল। চাকা গড়িয়ে গড়িয়ে কিছুদূর এগল। পুলের কাছে আসতেই ব্রেকে আরও একটু চাপ দিয়ে থামিয়ে দিল। কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ল বিপুলের। বিশদ

04th  August, 2024
গুপ্ত রাজধানী: লালকেল্লা
সমৃদ্ধ দত্ত

জায়গাটা অনেকটাই কম। যেভাবে সাম্রাজ্য ছড়াচ্ছে আর হিন্দুস্তানের বাইরে থেকে আরও দলে দলে সমস্ত স্তরের মানুষ ভাগ্যান্বেষণে ক্রমাগত এসেই চলেছে, এরপর তো রাজধানীটাই ঩ঘিঞ্জি হয়ে যাবে। আরও বেশি খোলামেলা জায়গা দরকার। কোথায় নিয়ে যাওয়া যায় রাজধানী? বিশদ

04th  August, 2024
অতীতের আয়না: সাহেবদের হুঁকো বিলাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

মহিলা দিন কয়েক হয়েছে বিলেত থেকে এসেছেন এদেশে। এদেশীয় এক বিদুষী মেমসাহেবের সঙ্গে মহিলার বন্ধুত্ব হয়েছে। তার মতো খাঁটি ইংলিশ নন, তবে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা হওয়ায় বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার জন্য তার বাড়িতে এসে দেখেন শ্রীমতী হেয়ার-ড্রেসারের তত্ত্বাবধানে কবরী সজ্জায় ব্যস্ত। বিশদ

04th  August, 2024
ছোট গল্প: জামাইয়ের মোবাইল 
বিপুল মজুমদার

হ্যালো অর্পি, শোন মা, সামনের জামাইষষ্ঠীতে ওঙ্কারকে একটা স্মার্টফোন দিতে চায় তোর বাবা। তা তোদের যদি কোনও চয়েস থাকে, ইয়ে মানে কোনও কালার বা কোম্পানি, তাড়াতাড়ি সেটা জানিয়ে দিস তো ভালো হয়।’ বিশদ

28th  July, 2024
আমির খসরু ও বসন্ত উৎসব
সমৃদ্ধ দত্ত

সুফি সাধক হজরত নিজামউদ্দিনের কাছে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে শান্তির খোঁজে। স্বস্তির সন্ধানে। নিবেদিত প্রাণ নিয়ে তাঁরা সকল দুঃখ-দুর্দশা, ক্ষোভ ক্রোধের আহুতি দিতে চায় এখানে। এই নিজামউদ্দিনের কাছে। তিনি তো সাধারণ সাধক নন। বিশদ

28th  July, 2024
আজও রহস্য: ন্যাশনাল লাইব্রেরির অশরীরী 
সমুদ্র বসু

বেলভিডিয়ার গার্ডেন হাউস, আলিপুর। এই নামে না চিনলেও ন্যাশনাল লাইব্রেরি কলকাতা বললে সহজেই চিনবেন অধিকাংশ মানুষ। এই গ্রন্থাগার ভবন ও সংলগ্ন এলাকাটির পোশাকি নাম বেলভেডিয়ার এস্টেট। বেলভিডিয়ার হল গথিক ঘরানার বিশেষ স্থাপত্য। বিশদ

28th  July, 2024
একনজরে
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পিজিটি ও জুনিয়র ডাক্তারদের টানা কর্মবিরতিতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের দুর্ভোগ চরমে। গুরুতর অসুস্থ রোগীকে ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ প্রথম থেকেই। এবার চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখেই রোগীদের ছুটি নিতে ‘চাপ’ সৃষ্টির অভিযোগ উঠল। ...

জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা প্রত্যাহারের পর কেটে গিয়েছে পাঁচটি বছর। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর এই প্রথম ভূস্বর্গে ভোট গ্রহণ হতে চলেছে। সেই ভোট গ্রহণ ...

ব্যবহৃত সিরিঞ্জ বেঁকিয়ে ফেলার দরকার নেই। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষ এমনই নির্দেশ দিতেন ওয়ার্ডের নার্সদের। হাসপাতাল সূত্রে মিলেছে এই ...

চারিদিক আগাছায় ভরা। তার মধ্যে ছোট্ট দু’টি ঘরে চলছে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ঘরের দেওয়ালেও ধরেছে ফাটল। ফলে, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ার মতো অবস্থা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মস্থলে জটিলকর্মে অনায়াস সাফল্য ও প্রশংসালাভ। আর্থিক দিকটি শুভ। ক্রীড়াস্থলে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩০: আমেরিকার বোস্টন শহর প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৪৬: সাপ্তাহিক ‘দর্পণ’ প্রকাশিত হয়
১৮৬৭: চিত্রশিল্পী গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৯০৫: বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি
১৯১৫: জনপ্রিয় চিত্রশিল্পী  মকবুল ফিদা হুসেনের জন্ম
১৯২৪: হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির জন্য মহাত্মা গান্ধীর অনশন
১৯৪০: মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহ শুরু হয়
১৯৪৪: বিশিষ্ট অভিনেতা বিভু ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯১৫: চিত্রশিল্পী এম এফ হুসেনের জন্ম
১৯৫০: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্ম
১৯৫৪: কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তর মৃত্যু 
১৯৬৫: প্রাক্তন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার অরবিন্দ ডি সিলভার জন্ম
১৯৭০:  প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের জন্ম
১৯৭৭: ইংরেজ উদ্ভাবক ও ফটোগ্রাফির পুরোধা উইলিয়াম টলবোটের মৃত্যু
১৯৮০: পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজের জন্ম
১৯৮৬: ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের জন্ম
১৯৯৯: কবি ও গীতিকার হসরত জয়পুরির মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৭ টাকা ৮৪.৮১ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৫ টাকা ১১২.২০ টাকা
ইউরো ৯১.৫৭ টাকা ৯৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ আশ্বিন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। চতুর্দশী ১৫/৪৫ দিবা ১১/৪৫। শতভিষা নক্ষত্র ২১/৫ দিবা ১/৫৩। সূর্যোদয় ৫/২৭/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৩৪/৫৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৫ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ১১/৭ মধ্যে । রাত্রি ৭/৫৭ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৯/৩২ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৫৭ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১/১ গতে ২/৩১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩ গতে ৮/৩২ মধ্যে।   
৩১ ভাদ্র, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। চতুর্দশী দিবা ১১/৫। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ২/২৮। সূর্যোদয় ৫/২৭, সূর্যাস্ত ৫/৩৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫২গতে ১০/১৬ মধ্যে ও ১২/৪০ গতে ২/১৬ মধ্যে ও ৩/২ গতে ৪/৪০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৬ মধ্যে ও ৮/৪০ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/৩ গতে ২/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৬ গতে ৮/৩৫ মধ্যে।  
১৩ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আর জি কর কাণ্ড: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআই

11:57:47 PM

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তি, জাতীয় সড়ক অবরোধ
বন্যা বিধ্বস্ত আরামবাগে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা। তাঁদের ...বিশদ

10:51:00 PM

এনসিপি (এসসিপি)-তে যোগদান করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন বিধায়ক বাপু সাহেব তুকারাম পাথারে

10:18:00 PM

এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জয়ী ভারতীয় পুরুষ হকি দলকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

10:13:00 PM

আইএসএল: গোয়াকে ২-১ গোলে হারাল জামশেদপুর

09:35:00 PM

মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বিশেষ টিম তৈরি করল খড়্গপুর জিআরপি
দেশের সর্বোচ্চ আদালত মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপরই ...বিশদ

09:28:00 PM