Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

রুপোর চাকু

সৌমিত্র চৌধুরী: আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার। দেখে ফেলেছিল। মেয়ের জন্মদিনে এসেছিল আমার ফ্ল্যাটে। সরু খাটটায় টানটান শুয়েছিল। কেক আর মিষ্টি ডেলিভারি দিতে তখন হাজির পাড়ার এক দোকান-কর্মী। তার পাওনা মেটাতেই আলমারি খোলা। পাল্লা দুটো লাগাতেই ধাতব আওয়াজ আর দাদা সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠল, ‘আরে, ওই চাকুটা!’
একটু থেমে বেশ ধমকের সুরে, ‘কোথায় পেলি? ওটা তো বাবার ছিল। দে আমাকে।’ উত্তর না দিয়ে চাবি ঘুরিয়ে আলমারি বন্ধ করে দিলাম।  
‘খুব অন্যায় করলি কিন্তু,’ বেশ মোটা গলা দাদার। প্রচণ্ড রাগী মানুষ। কন্ট্রাক্টারি করে ইদানীং প্রচুর টাকা করেছে। মেজাজ সবসময়ই চড়া। গলার জোরও খুব। কিছু একটা হল কি না হল, চিৎকার শুরু করে দেয়। উল্টোপাল্টা কথা বলে কাঁদিয়েও দিতে পারে। দাদার সঙ্গে তর্ক করে না কেউ। আমি তো না-ই। এমনিতেই ঝগড়া করতে পারি না। অন্যের উপর হম্বিতম্বি করা আমার স্বভাবের সঙ্গে মেলে না। তার উপর চিৎকার করলেই গলা ভেঙে যায়। একবার মিছিলে স্লোগান দিয়ে গলা একদম বসে গিয়েছিল। ফিসফাস আওয়াজও বেরচ্ছে না। বাবা ভয় পেয়ে ডাক্তার ডেকে এনেছিলেন। বৃদ্ধ ডাক্তার সুরে টেনে টেনে কথা বলেন। ওষুধ লিখে দিয়েছিলেন সঙ্গে দরকারি উপদেশ, ‘উচ্চ স্বরে কথা কইলে ভোকাল কর্ড ছিঁড়া যাইব। ফ্যারিংস বরবাদ। কক্ষণও চিৎকার কইরবা 
না, বুঝছ!’ 
সম্মতিতে মাথা নেড়েছিলাম। ভীতু স্বভাব কিংবা অসুখের ভয়, চিৎকার করে কথা বলি না। কিন্তু অন্য দুই ভাই বলে। মাঝে মাঝে দাদার সঙ্গে মেজদা গলার শিরা ফুলিয়ে ঝগড়া করে। মেজদা মোটর ভেহিকেলসের কেরানি। এমনিতে বেশ হাসিখুশি। তবে ভাবভঙ্গি নেতা-মন্ত্রীদের মতো। দামি পোশাক পরে। মেজাজ সবসময় চড়া। যখন তখন ঝগড়া করে। পাড়ার অন্য বাড়িতেও পৌঁছে যায় এ-বাড়ির কোন্দলের ঝাঁঝ। মা বলতেন, ‘দেখ, এই বাড়ির একটা সম্মান আছে। তোমাদের বাবাকে লোকে খুব মান্যি করে। ওঁর সম্মানটা রেখ।’ 
মাথায় রাগ চড়ে গেলে সম্মান-অসম্মানের তোয়াক্কা করে না দুই দাদা। উদারা মুদারা তারায় গলা উঠতে উঠতে শেষে সপ্তমে পৌঁছে শুরু হয় দাঁত খেঁচানো। ওই স্কেলে ঝগড়া, কথা কাটাকাটি মুখ ভ্যাংচানো চলতেই থাকে। 
ঘণ্টা, দু’ঘণ্টা। 
দাদা বেশ মেজাজি গলায় বলল, ‘চাকুটা দে। ওটা তো বাবার।’
তোকে কেন দেব? মনে মনে বললাম, বাবা মারা যাবার পর তুই তো কত কিছু নিয়েছিস। কিছু বলেছি কখনও? আলমারি ভর্তি বই, বড় সেক্রেটারিয়েট টেবিল, বিশাল সিন্দুক। আর জমির ফসল বিক্রির টাকাও। তুই আর মেজদা মিলে এখনও নিয়ে যাচ্ছিস। কোনওদিন 
ভাগ দিয়েছিস?
অবশ্য চাইতে যাইনি। চাইব কেন? উত্তরাধিকার সূত্রেই তো আমার, ছোট ভাই মধুরও পাবার কথা। কিন্তু অধিকার জাহির করলে ঝগড়া বাঁধবে। যুদ্ধও বলা যায়। তোরা তখন একজোট। দুই ভাই আর তোদের বউরা— চারজনের সঙ্গে লড়াই! রাম ভীতু আমি। নিরীহ ধরন। গাঁক গাঁক করে ঝগড়া করব ভাবলেই বুক ধড়ফড় করে উঠে। নে তোরা লুটে পুটে খাচ্ছিস, খা! তবে ছোট ভাইটাকে কিছু দেবার কথা তো ভাবতে পারতিস! ভাবিসনি কখনও। ভাইটা একটু হাবাগোবা, পাগলাটে ধরন। ওকে তো মানুষ বলে মনে করিস না। দিদির সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করিস। অনেক ধুমধাম করে গা-ভর্তি সোনার গয়নায় সাজিয়ে দিদির বিয়ে দিয়েছেন বাবা। দিদি নাকি অনেক হাতিয়েছে, তোরা বলিস। অথচ, দিদি ছোট ভাইটাকে নিজের কাছে রেখে দেখাশোনা করে। তোদের ভয়ে দিদিও মুখ খোলে না।
আর আমি তো ভয় পেলেই গর্তে ঢুকে যাই। ছোটবেলায় পড়ার টেবিলে মুখ লুকিয়ে কাঁদতাম। এখন কান্নাকাটি করি না, ফ্ল্যাটের ছোট ঘরটায় গুম মেরে শুয়ে থাকি। ভীতু লোকটার মাথার উপর এখন কাজের প্রচুর চাপ। মাথা ঠান্ডা রেখে ডিউটি করতে হয়। প্রাইভেট কোম্পানির এগজিকিউটিভ। ফিনান্স, অ্যাকাউন্টস দুটোরই দায়িত্ব ঘাড়ে। সামান্য ভুল হলেই চাকরি নিয়ে টানাটানি। তার উপর ফ্ল্যাট কিনেছি, মাসে মাসে মোটা টাকা ব্যাঙ্কের সুদ গোনা। সব মিলিয়ে বিস্তর চাপ। এর মধ্যে পৈতৃক জমি বাড়ি সম্পত্তি, ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া! ওসব ঢুকিয়ে মাথা গরম করতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু দাদার কথাতে মাথাটা গরম হয়ে গেল। 
জমির ফসল, সোনাদানা, বাড়ির ভাগ নয়। উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি একটা চাকু। নরম ধারহীন। আঘাত করা যাবে না। কাগজ কাটা যাবে শুধু। আজকাল কাগজ কেটে কেউ লেখেও না। রাইটিং প্যাড কিংবা এ-ফোর কাগজ ব্যবহার করে। কাগজ কাটবার একটা চাকু, নিরীহ পেপার কাটার। সেটাও নিয়ে নিবি? 
চাকুটা যে রুপোর তৈরি অনেক পরে জেনেছি। বিয়ের কয়েক মাস পরে চাকুটা ডান হাতে নিয়ে আমার স্ত্রী নিজের কব্জির উপর ঘসতে ঘসতে বলল, ‘কী নরম চাকু গো! রুপোর। অনেক দাম। আর বাঁটটা...?’ শ্বশুরমশায় হাতে নিয়ে বলেছিলেন, ‘বাঁটটা মোষের শিং নয়, মনে হচ্ছে গণ্ডার কিংবা বাইসনের। অমূল্য সম্পদ। কাউকে দেখিও না।’ 
দেখাইনি কাউকে। নিজের কাছেই থাকে। মনে পড়ল সেই কতদিন আগে! স্কুলের উঁচু ক্লাস। পাশের ঘরটায় পড়ছিলাম। বাবা সেরেস্তার বড় ঘরে তখন এক ডজন মক্কেল নিয়ে ব্যস্ত। মোলায়েম গলায় ‘সমু’ বলে ডাকলেন। আমি কাছে আসতেই চাকুটা বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, ‘কাগজগুলো কেটে দে তো!’
দিস্তা কাগজ কিনতেন। এক দিস্তা মানে চব্বিশ পিস। মাঝখান বরাবর একটা একটা করে কাগজ কেটে নিয়ে ক্লিপ দিয়ে পিচবোর্ডে আটকে রাখতেন। ওটাই রাইটিং প্যাড। টেবিলে রেখে সামনে ঝুঁকে লিখতেন। অনেক সময় চোখ বন্ধ করে ডিকটেশন দিতেন। কোনও জুনিয়র উকিল তখন রাইটিং প্যাডের সাদা পৃষ্ঠায় কলম চালাতেন। কাজের জন্য অনেক লিখতে হতো বাবাকে। পড়তেও হতো খুব। মাঝে মাঝে সারা রাত জেগে কাজ করেছেন। বড় উকিল হিসাবে বাবার তখন শহর জুড়ে নামডাক। আইন ছাড়াও অন্য বিষয়ে প্রচুর জ্ঞান। সাহিত্য-রাজনীতি-ইতিহাস। ইংরেজি পড়তাম বাবার কাছে। মক্কেল চলে গেলে কোর্টে যাবার আগে খানিক সময় মিলত কখনও। পড়াতে বসতেন ইতিহাস, ইংরেজি। 
আমি সেদিন টমাস গ্রে’র কবিতা পড়ছিলাম। ‘কারফিউ টোলস দি নেল অব পারটিং ডে’। ডিকশনারি ঘেঁটেও লাইনটার মানে উদ্ধার করতে ঘেমে গিয়েছিলাম। পাশের ঘরে গিয়ে বাবার হাত থেকে চাকুটা নিয়ে বললাম, ‘একটু পরে কেটে দিলে হবে?’
‘হবে,’ বলেই জুনিয়র উকিল রমেনদার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘মিতাক্ষরা না দায়ভাগ, এখনও তোমার মাথায় ঢোকেনি। আরও একটু পড়াশোনা করে নিজে ড্রাফ্ট কর।’
বাবার মুখের দিকে তাকালাম। মনে হল শরীরটা খারাপ। কোমর ব্যথায় ভুগতেন। আজ হয়তো ব্যথা বেড়েছে। মুখে কষ্টের ছাপ। মনটা খারাপ হয়ে গেল। কিছুদিন আগে আমার স্কুলের বন্ধু অমরের বাবা মারা গেলেন। অফিসের চেয়ারে বসে কাজ করতে করতে ধপ করে পড়ে গিয়েছিলেন। বাবার তেমন কিছু হয়ে যাবে না তো!
ধীর পায়ে পড়ার ঘরে এলাম। চেয়ারে বসতেই হঠাৎ চোখ দিয়ে টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়ল। গলার কাছে টনটনে ব্যথা। একটু পরে চোখ মুছে নিয়ে দিস্তা কাগজগুলো খুব যত্ন করে কাটলাম। ভালো করে গুছিয়ে নিয়ে বাবার ঘরে ঢুকলাম। মক্কেল, সাক্ষীসাবুদের ভিড় কমে এসেছে। কাগজগুলো বাড়িয়ে দিলাম। হাতে নিয়ে অল্প হেসে বাবা বললেন, ‘চাকুটা দে।’
‘চাকুটা আমি রাখব।’ মুখ ফস্কে কথাটা বেরিয়ে গেল। বাবা বললেন, ‘ওটা দে। তোকে অন্য চাকু দেব।’
‘না, এটাই দিতে হবে।’ 
‘না রে! ঠাকুরদার চাকু এটা। জমিদার প্রতাপ রায়ের দেওয়া। লম্বা কাহিনি...।’ বাবা ধীরে ধীরে বললেন। তারপর বড় একটা শ্বাস ফেলে চুপ করে বসে রইলেন। খানিক অন্যমনস্ক। বললেন, ‘সবই তো দিয়ে যেতে হবে। কিছু কি সঙ্গে যায়!’ 
চাকুটা নেবার জন্য বাবা আর জোর করেননি। হয়তো আরও একবার চাইলে আমি দিয়ে দিতাম। বললেন, ‘কী পড়ছিলি নিয়ে আয়।’
ব্যস, বাবা বুঝিয়ে দিলেন। মাথায় ঢুকে গেল টমাস গ্রে’র কবিতা। কিন্তু মনটা দুঃখে ভোরে উঠল যখন বাবা ধীরে ধীরে বোঝাতে লাগলেন পরের লাইন, ‘অ্যান্ড লিভস দি ওয়ার্ল্ড টু ডার্কনেস অ্যান্ড টু মি।’ বাবা মারা যাবার পর এই কথাটাই মনে হতো, ‘পৃথিবী অন্ধকারে ডুবে গেল এবং আমিও...।’
কবিতা পড়তে পড়তে বাবা তখন অন্য জগতে। ভুলে গিয়েছিলেন আরও একবার চাকুটা চেয়ে নেবার কথা। সেই চাকুটা! ভেবে দেখলাম, আঠাশ বছর আছে আমার কাছে। বাবা মারা যাবার পর পঁচিশ বছর প্রত্যেকটা দিন আমি চাকুটাকে দেখেছি। অবশ্য দূরে কোথাও গেলে দেখা হতো না। আলমারিতেই থাকত চাকুটা। অনেক চাকরি বদল, বাসা বদল হয়েছে। কিন্তু চাকুটা হাতছাড়া করিনি। একদিন চাকুর গল্পটাও শুনেছিলাম বাবার মুখে।
‘আমার ঠাকুরদা ছিলেন বলরাম চৌধুরী। বুদ্ধিমান শিক্ষিত। জমিদার প্রতাপ রায়ের নায়েব। বহু ব্যাপারে জমিদারকে সাহায্য করেছেন।’ বাবা থামলেন। মনে মনে বললাম, বাবার ঠাকুরদা মানে আমার ঠাকুরদার বাবা। বাবা আবার বলতে লাগলেন, ‘জমিদার পড়লেন মহাবিপাকে। সিপাহি বিদ্রোহের পরের বছর। ১৮৫৮ সাল। গোটা দেশ টালমাটাল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত থেকে জমিদারি চলে যাচ্ছে  ব্রিটিশ রাজের হাতে। প্রতাপ রায়ের জমিজমাও চলে যাবে। কোম্পানিকে মাসোহারা দিয়ে এতদিন ভালোই চলছিল। এবার তো আতান্তরে। জেলার ম্যাজিস্ট্রেট তখন ডোনাল্ড। বড় শিকারি। স্বভাবে নিষ্ঠুর। সেই সাহেবের দরবারে হাতির পিঠে চেপে পৌঁছলেন ঠাকুরদা। পরনে চোগা চাপকান। ভিতর ঘরে ঢুকবার ডাক এল। ডোনাল্ড তখন টেবিলের উপর পা তুলে চুরুট টানছে। ওর দিকে তাকিয়ে ঠাকুরদা বললেন, ‘বিহেভ ইয়োরসেলফ’। ডোনাল্ড গর্জন করে উঠল, ‘হোয়াট’। ঠাকুরদা ঝরঝরে ইংরেজিতে কথা শুরু করলেন। দেখ ডোনাল্ড, জমি কেড়ে নিলে সর্বনাশ। ওগুলো সব দেবোত্তর, মালিক ভগবান। দেবতার কোপে মরবে তোমরা। নির্ঘাত ম্যালেরিয়া কিংবা কলেরা। নির্বংশ হয়ে যাবে।  সে সময় ঘরে ঘরে ম্যালেরিয়া। কাঁপতে কাঁপতে মরে যাচ্ছিল সাহেবরাও। বাঘ শিকারি ডোনাল্ড পা নামিয়ে শুনতে শুনতে একদম চুপসে গেল। মুখে একটাই কথা, ও মাই গড। ও মাই গড। প্রতাপ রায়ের জমিদারের দিকে আর এগয়নি ডোনাল্ড। স্বাধীন জমিদার প্রতাপ রায় ইংরেজদের ভেট পাঠাতেন। আর জমিদার খুশি হয়ে নায়েবকেও দিয়েছিলেন উপহারের পর উপহার। এগারো একর জমি, দশটা স্বর্ণ মুদ্রা আর এই... রুপোর চাকু। চাকুর দুই দিকে হীরে বসানো ছিল, বুঝলে! কে কবে যে ও দুটো চুরি করে নিল! যাক চাকুটা তো আছে। তেমন দামি না হোক, একটা ঐতিহ্য তো বটে।’   
সেই চাকু! বাবা বলতেন ট্র্যাডিশন। দাদা নিয়ে নেবে? দাদা-মেজদা তো সব নিয়েছে। এটাও নিবি? দাদার প্রশ্নের সামনে শান্ত মুখে দাঁড়িয়ে রইলাম। ভ্রু কুঁচকে দাদা এবার গর্জন করল, ‘চাকুটা দিবি না তাহলে?’
‘না।’ আমার স্বরে গাম্ভীর্য। দাদার মুখে বিস্ময়, কপালে তিনটে ভাঁজ। বাবার একটা কথা মনে পড়ে গেল। একটু থেমে ওটাই বললাম, ‘সবই তো দিয়ে যেতে হবে। কিছু কি সঙ্গে যাবে!’ 
‘মানে, কী বলছিস তুই?’ 
‘কত কালের চাকু! বাবা-ঠাকুরদার হাতের ছোঁয়া মাখানো।’
‘ওটা দিবি না তাহলে?’
‘না। জিনিসটা এখন ধোয়ামোছা করব। তারপর... মেয়ের হাতে তুলে দেব। ও যত্ন করে নিজের কাছে রেখে দেবে। তারপর...।’
25th  February, 2024
জীবন যখন অনলাইন
অনিন্দিতা বসু সান্যাল

বেণী-সমেত লম্বা চুলের ডগাটা কাটতে কাটতেই ফোনটা এল। সকাল সাতটা। খবরের কাগজ অনেকক্ষণ আগেই ফেলে গিয়েছে চারতলার ফ্ল্যাটের বারান্দার সামনে। ভোরেই ওঠার অভ্যেস মন্দিরার। বিশদ

28th  April, 2024
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
একনজরে
ফি-বছর ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘরে পরিনত হয় দমদম ও দক্ষিন দমদম পুরসভার বিস্তীর্ন এলাকা। তাই মরসুমের শুরু থেকেই এবার সতর্ক পা ফেলতে চাইছে দমদম। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১১১২: ইতিহাসের এই দিনে চীনা জ্যোতির্বিদরা সূর্যের অভ্যন্তরে কালো বায়বীয় বস্তুর অস্তিত্ব লক্ষ করেন
১৫১৯: কালজয়ী চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মৃত্যু
১৮৮৩:  শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে কলকাতার কাশীশ্বর মিত্রের নন্দনবাগান বাড়িতে
১৯০৮: বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকীর মৃত্যু
১৯২১: চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫৯: ভারতের প্রথম বিজ্ঞান সংগ্রহশালা, বিড়লা শিল্প ও কারিগরি সংগ্রহশালা কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৬৯: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ব্রায়ান লারার জন্ম
১৯৭৫: ইংরেজ ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যামের জন্ম
২০০৮: মায়ানমারে ‘নার্গিস’ ঝড়ে মৃত্যু অন্তত ১ লক্ষ ৩৮ হাজার মানুষের
২০১১: অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনীর অভিযানে নিহত আল কায়দার জঙ্গি ওসামা বিন লাদেন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৬১ টাকা ৮৫.০৫ টাকা
পাউন্ড ১০২.২৬ টাকা ১০৬.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯১.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
01st  May, 2024

দিন পঞ্জিকা

১৮ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১ মে ২০২৪। সপ্তমী ১/৩৮ প্রাতঃ ৫/৪৭ পরে অষ্টমী ৫৭/১৫ রাত্রি ৪/২। শ্রবণা নক্ষত্র ৫৫/৮ রাত্রি ৩/১১। সূর্যোদয় ৫/৭/৫৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৯/২৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ৯/২৬ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৩ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১/২৫ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৫ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৮ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২১ গতে ৯/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। 
১৮ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১ মে ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ১২/৪৯। শ্রবণা নক্ষত্র রাত্রি ১২/২৩। সূর্যোদয় ৫/৯, সূর্যাস্ত ৬/১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৯/২১ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২১ গতে ৫/৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৪ গতে ৩/২৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২২ গতে ৯/৫৮ মধ্যে ও ১১/৩৫ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২২ গতে ৩/৪৫ মধ্যে। 
২১ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থানকে ১ রানে হারাল হায়দরাবাদ

11:37:08 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট হেটমার, রাজস্থান ১৮১/৫(১৭.৪ ওভার)(টার্গেট ২০২)

11:18:32 PM

আইপিএল: ৭৭ রানে আউট পরাগ, রাজস্থান ১৫৯/৪(১৫.৫ ওভার)(টার্গেট ২০২)

11:06:58 PM

আইপিএল: রাজস্থান ১৫৭/৩,(১৫ ওভার) টার্গেট ২০২

11:03:12 PM

আইপিএল: ৬৭ রানে আউট জয়সওয়াল, রাজস্থান ১৩৫/৩(১৩.৩ ওভার)(টার্গেট ২০২)

10:55:32 PM

আইপিএল: রাজস্থান ১০০/২,(১০ ওভার) টার্গেট ২০২

10:35:00 PM