Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

মিষ্টু
উৎপল দাস

শেষ পর্যন্ত মিষ্টুকে বিদায় করতেই হল।
মিষ্টু মানে একটা বেড়ালছানা। কয়েকদিন আগের ঘটনা। প্রতি রোববারের মতো সেদিনও সকালে অবিনাশ বাজারে গিয়েছিল। সে একটু গুছিয়ে বাজার করতে ভালোবাসে। ছুটির দিন বলে ওই দিনটাতে বাজারে নানা ধরনের মাছ আসে। অবিনাশ, রিমা দু’জনেই মাছের ভক্ত। রিন্টু যখন বাড়িতে ছিল তখন মাংস কিনতে হতো। এখন সে ব্যাঙ্গালোরে পড়তে চলে যাওয়ায় মাংসের পাট বাড়ি থেকে প্রায় উঠেই গিয়েছে। তো মাছ ও অন্য তরিতরকারি কিনে অবিনাশ হেঁটেই বাড়ির দিকে আসছিল। দোরগোড়ায় কাছে এসে দেখে নোংরা কাদা জলে ভেজা একরত্তি এক বেড়ালছানা খুব করুণ স্বরে মিউ মিউ করছে। অবিনাশ বুঝতে পারল বেড়াল বাচ্চাটা নর্দমায় পড়ে গিয়েছিল। কোনওভাবে উঠে এসে হয়তো মাকে খুঁজছে।  ডিসেম্বর মাস। ভেজা গায়ে বেড়ালছানা থরথর করে কাঁপছিল। অবিনাশ এদিক ওদিক কোথাও মা বেড়াল কেন কোনও বেড়ালকেই দেখতে পেল না। ওর চিরকালই জীব-জন্তুর ওপর বড় মায়া। সে ছানাটিকে বাড়ির ভেতর নিয়ে এসে সাবান আর ডেটল জলে ভালো করে স্নান করিয়ে হালকা গরম দুধ দিল। ছানাটির দুধ খাওয়া দেখে মনে হচ্ছিল কতকাল খায়নি বেচারা। একটু পরেই বেড়ালছানাটা চনমন করে উঠতেই  এতক্ষণ চেপে রাখা রিমার রাগ অবিনাশের ওপর আছড়ে পড়ল। 
অনেক হয়েছে। এবার এই মুহূর্তে ওটাকে বাইরে বের করে দাও, নইলে—।
অবিনাশ তার বিশ বছরের বিবাহিত জীবনে এরকম ঝড় অনেক দেখেছে। জানে অল্পতেই মাথা গরম হয় রিমার। আবার কিছুক্ষণ পরেই সব ঠিক হয়ে যাবে। সে রিমাকে থামিয়ে বলে উঠল— 
রিন্টু ব্যাঙ্গালোরে যাওয়ায় বলেছিলে না, ভীষণ একা লাগছে! এবার একে নিয়ে তোমার সময় ভালোই কাটবে।
রিমা এ ব্যাপারে অবিনাশের ঠিক উল্টো। কুকুর, বেড়াল ওর কাছে আপদ। বেড়ালছানাকে নিয়ে অবিনাশের আদিখ্যেতা দেখে সে রাগে গরগর করতে লাগল।
—আমাকে ফ্লাইটের টিকিট কেটে দাও। আমি ব্যাঙ্গালোরে রিন্টুর কাছে গিয়ে থাকব। তুমি এখানে এসব আপদবালাই নিয়ে ঘর করো। 
—আহা অত রাগের কী হল? ক’দিন দেখওই না, দেখবে থাকতে থাকতে তোমার মায়া পড়ে গিয়েছে।
অবিনাশ পরিবেশ লঘু করার চেষ্টা চালাল।
দুপুরে বেড়ালছানা মাছ দিয়ে আয়েশ করে ভাত খেল। বিপত্তি বাধল শোয়ার সময়। ছানা ঠান্ডায় মেঝেতে শোবে না। একেবারে লাফ দিয়ে সোফায় উঠে দিব্যি গুটিসুটি মেরে ঘুমিয়ে পড়ল। এর মধ্যেই রিমার চোখে পড়েছে ব্যাটা কখন বেডরুমের পাপোশ নোংরা করে এসেছে। রিমা চেঁচিয়ে বাড়ি মাথায় করল। এক্ষুনি আপদ বিদায় করতে হবে। নইলে সে নিজেই বাড়ি ছাড়া হবে। ফোনে ছেলের কাছে কান্নাকাটি করে একপ্রস্থ নালিশ হয়ে গেল। ছেলেও সেরকম। মায়ের সমস্যা গায়ে মাখল না। উল্টে মাকে উপদেশ দিল ছানাটাকে যত্ন করে রাখার জন্য। দরকার হলে যেন কোনও ভেটেনারি ডাক্তারের সঙ্গে কনসাল্ট করে নেয়।
রিমার ব্যাঙ্গালোরে কেন, কোথাও যাওয়া হয় না। সেই বেড়ালছানাও অবিনাশের দেওয়া মিষ্টু নাম নিয়ে রিমার প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও ওদের সংসারে জায়গা করে নিল।
দিন যায় আর মিষ্টুর দৌরাত্ম্যে রিমার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। আজ এটা ভাঙছে কাল ওটা ফেলছে। মিষ্টু একটু চোখের আড়াল হলেই রিমার উদ্বেগ বাড়ে। আবার কোথায় কোন অপকর্ম করে বসে! অবিনাশ তো সারাদিন অফিসে থাকে আর এদিকে রিমা স্নান খাওয়া মাথায় তুলে মিষ্টুর পরিচর্যা আর ওর ওপর নজরদারি করতে করতে রাগে ফুঁসতে থাকে। কাজের মাসি মালতীর মা আবার হুমকি দিয়ে গিয়েছে—
‘বউদি, এটা কিন্তু মাদি, বছর ঘুরলেই বিয়োবে। সারা বাড়ি জুড়ে বিড়াল আর বিড়াল। ম্যাগো। তুমি বউদি এখন থেকেই লোক দ্যাকো। আমি বাপু পারবুনি।’
রোজ অবিনাশ অফিস থেকে ফিরলেই রিমা তেড়ে তেড়ে আসে।
আগে এটাকে বাড়ি থেকে বিদায় করো। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। অবিনাশ বোঝাতে গেলেই আরও রেগে যায় রিমা। এর মধ্যে ছেলে ফোনে ফোড়ন কাটে—
‘ভালোই তো সময় কাটছে মা। তখন তো বলতে তুই না থাকলে কী করে সময় কাটাব!’
রিমা ভিতরে ভিতরে জ্বলে পুড়ে মরে। এ পৃথিবীতে কেউ নেই যে তার অবস্থা বোঝে। মিষ্টুকে বিদায় না করতে পারলে যেন ওর শান্তি নেই। 
অবিনাশ একদিন ওর এক বন্ধু সুবীর আর তার বউ পরমাকে বাড়িতে ডাকল। ওরা জন্তু জানোয়ার ভীষণ ভালোবাসে। রাস্তায় একটা আহত কাক দেখলেও তাকে তুলে এনে সেবা শুশ্রূষা করে আকাশে উড়িয়ে দিয়ে শান্তি পায়। বাড়িটাকে মোটামুটি একটা চিড়িয়াখানা বানিয়ে ফেলেছে। তিনটে কুকুর, পাঁচটা বেড়াল তো আছেই। এছাড়া একটা টিয়া, একটা কাঠবেড়ালি আর অজস্র পায়রা। সবাই ছাড়া থাকে কিন্তু কারওর সঙ্গে কারও বিরোধ নেই। রিমা জন্তু জানোয়ার পছন্দ না করলেও সুবীর আর পরমার সাহচর্য খুব পছন্দ করে। কারণ পরমা দারুণ রান্না করে আর রিমার নানারকম রান্না শেখার ভীষণ শখ।
সুবীর আর পরমাও অনেক বোঝাল রিমাকে । 
এরপর কয়েকদিন বেশ কাটল। কোনওদিক থেকে সাপোর্ট না পেয়ে রিমা অনিচ্ছা সত্ত্বেও মিষ্টুর পরিচর্যায় মন দিল। ছানাটাকে সবসময় চোখে চোখে রাখে, ঠিক ঠাক খাওয়ায়। অবিনাশও কাছাকাছি এক ভেটেনারি ডাক্তারের কাছে মিষ্টুকে দেখিয়ে নিয়ে এল। শরীরস্বাস্থ্য ঠিকই আছে শুধু কয়েকটা ভ্যাকসিন দিতে হবে।
কিন্তু কপাল খারাপ হলে কী করা যাবে! শেষরক্ষা হল না। কোথা থেকে একদিন মিষ্টু একটা মড়া টিকটিকি মুখে করে রান্নাঘরে নিয়ে এল। ব্যস! আর যায় কোথায়। সন্ধেবেলা অবিনাশ অফিস থেকে ফিরলে রাগে ফেটে পড়ল রিমা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় আর কি! অবিনাশ অনেক বোঝাল কিন্তু নিজে বুঝল এবার সাধারণ ঝড় নয়, তুফান এসেছে। ব্যাপারটা এমন বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পোঁছল যে, শেষ পর্যন্ত রিমাকে অবিনাশ আশ্বস্ত করল, আগামী কাল মিষ্টুকে কোথাও ছেড়ে দিয়ে আসবে। পরদিন সকালে অফিস যাওয়ার সময় ছলছল চোখে অবিনাশ মিষ্টুকে একটা বাজারের ব্যাগের মধ্যে করে নিয়ে চলে গেল। দূরে কোনও মাছের বাজারে ছেড়ে দেবে, অন্তত না খেয়ে মরবে না। মিষ্টু যেতে রিমা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল।
সন্ধেবেলা খালি হাতে অবিনাশকে অফিস থেকে ফিরতে দেখে রিমার আর আনন্দ ধরে না। তাড়াতাড়ি এক কাপ চা আর গরম পকোড়া নিয়ে এসে অবিনাশকে ধরিয়ে দিল আর সেই সঙ্গে জানিয়ে দিতে ভুলল না, রাতে ওর প্রিয় চিংড়ির মালাইকারি আছে। অবিনাশ গম্ভীর মুখে শুধু চা খেল, পকোড়া ছুঁয়েও দেখল না। কৌতূহল চাপতে না পেরে রিমা জিজ্ঞাসা করে বসল ওটাকে কোথায় ছেড়ে এলে?
‘বাজারে।’ ব্যাজার মুখে অবিনাশের সংক্ষিপ্ত উত্তর।
 —মালতীর মা বলছিল ওরা নাকি ঠিক পথ চিনে চিনে আবার ফিরে আসে। মিষ্টু  ফিরে আসবে না তো?
এবার আর উত্তর না দিয়ে বিরক্ত অবিনাশ বাথরুমে ঢুকে গেল।
রাতে খেতে বসে অবিনাশ চিংড়ির মালাইকারি মুখে দিয়েই প্রচণ্ড রেগে গেল ।
—কেন এত তেল মশলা দিয়েছ? জানো না আমার ট্রাইগ্লিসারিড হাই?
কোনওমতে একটু খেয়ে উঠে পড়ে সে। সামান্য কারণে অবিনাশকে রাগতে দেখে রিমা বুঝতে পারল মিষ্টুর বাড়ি থেকে চলে যাওয়াই এর কারণ। ছেলেও মায়ের ওপর একচোট নিল— 
‘মা, মিষ্টুকে বের করে দিলে? তুমি এত নির্দয়!’
রিমার দু’চোখ ভরে জল। এরা কেউ তার পক্ষে নেই, বাপ-বেটা দু’জনের কাছেই মিষ্টু আগে ।
পরের দিন একই রকম গম্ভীর মুখে অবিনাশ অফিস চলে গেল। মালতীর মা এসেই খোঁজ নিল,
—মিষ্টু ফিরে এসেছে বউদি? 
রিমা মাথা নাড়াতেই বলে উঠল—
‘বাড়ি থেকে একেবারে বের না করে দিলেই ভালো ছিল গো। কী মায়া মাখানো মুখটা। তার ওপর মা ষষ্ঠীর বাহন।’
বলেই ডান হাতটা মাথায় ঠেকিয়ে নিল। রিমার বুকটা কেঁপে উঠল। ওরও হাত কপাল ছুঁল। হে মা ষষ্ঠী, রিন্টুর যেন কোনও ক্ষতি কোরো না।
মালতীর মা চলে যাওয়ার পর ফাঁকা বাড়িতে হাউমাউ করে খানিক কাঁদল সে। হঠাৎ মিউ বলে মিষ্টু যেন ডেকে উঠল। রিমা চমকে এদিক ওদিক দেখল। সদর দরজা খুলে বাইরে দেখল কেউ কোথাও নেই, পুরোটাই মনের ভুল। 
কাজ করতে ইচ্ছে করছে না রিমার। ক’দিনের জন্য এসে মিষ্টু ওর জীবনের সুর তাল সব কেটে দিয়ে গিয়েছে। সবাই মিষ্টুর কথা ভাবছে, ওর কষ্টটা কেউ বুঝতে চাইছে না। হঠাৎ করে যেন বড় একা হয়ে গেল রিমা। 
মিষ্টুহীন তিনদিন কেটে গেল। অবিনাশ প্রয়োজন ছাড়া রিমার সঙ্গে প্রায় কথা বলা ছেড়ে দিয়েছে। রিন্টু বারবার ফোনে খবর নেয় মিষ্টু ফিরে এসেছে কি না। মালতীর মা বলে, ‘কাজটা বোধহয় ঠিক হল না বউদি। কেমন তোমার পিছু পিছু ঘুরত বাচ্চাটা। আহা রে! কে ওকে খেতে দেবে? না খেতে পেয়ে মরেই গিয়েছে হয়তো।’ 
রিমার ভেতরটা হাহাকার করে ওঠে। ও এতটা ভাবেনি। মিষ্টু মরে যাক সেটা ও চায়নি। সত্যি তো, মিষ্টুর জন্য ওরও মনটা খারাপ লাগছে! সারাদিন মিউ মিউ করে পায়ে পায়ে ঘুরত। অবলা প্রাণী, তার ওপর বাচ্চা। উল্টোপাল্টা না হয় কিছু করত। সে তো রিন্টুও ছেলেবেলায় কত দুষ্টুমি করত, কই তখন তো কোনওদিন ছেলের সঙ্গে নিষ্ঠুর ব্যবহার করেনি সে।
একটা অপরাধবোধ তাড়া করে ফেরে রিমাকে। সারাদিন ফাঁকা বাড়িতে সময় কাটতে চায় না। সব সময় মনে হয় সুখ শান্তি যেন জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছে। 
সেদিন অবিনাশ অফিস থেকে ফিরতে রিমা কথায় কথায় বলে,
‘মালতীর মা যে বলেছিল বেড়ালরা ঠিক পথ চিনে ফিরে আসে। কই মিষ্টু তো ফিরে এল না?’
‘আমার অফিসের কলিগরাও একই কথা বলছিল। কিন্তু ফিরে এলেই বা কী? তুমি তো ওকে ঢুকতে দেবে না।’
একটু থেমে অবিনাশ বলল, ‘তোমায় কখনও কঠিন কথা আমি বলি না। কিন্তু আজ বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, তুমিও ছোটবেলায় তোমার মাকে হারিয়েছ, বাবার কাছে মানুষ হয়েছ।’
এবার রিমা নিজেকে আর ধরে রাখতে পারে না। হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলল।
‘আমি বড় ভুল করে ফেলেছি গো।’ 
 অবিনাশ রেগে যায়। 
‘এখন আর কেঁদে কী হবে?’
রিমা কাঁদতে কাঁদতে বলে, ‘বিশ্বাস করো মিষ্টু যদি ফিরে আসে, আমি ওকে নিয়ে আর আপত্তি করব না। তুমি কাল একবার যেখানে ছেড়ে এসেছিলে, সেখানে গিয়ে দেখো। যদি পাওয়া যায়।’
পরদিন সকালে সম্ভাব্য জায়গাগুলোয় খুঁজে কোথাও মিষ্টুকে পাওয়া গেল না। রিমা আরও মুষড়ে পড়ল । 
যাক যা হওয়ার ছিল হয়ে গিয়েছে, বলে অবিনাশ চলে গেল অফিসে।
সন্ধেবেলা টিভির সামনে বসেছিল রিমা। টিভিতে চোখ, কিন্তু মনের মধ্যে হাহাকার। মিষ্টুকে বের করে দিয়ে কী ভুলই না করে ফেলেছে। আঁচলের খোঁটা দিয়ে চোখ মুছতে যাবে, এমন সময় মিউ ডাক শুনে চমকে উঠল। এ তো মিষ্টুর আওয়াজ। ভুল শোনেনি তো? টিভি মিউট করে দিয়ে কান পাতল। আবার ‘মিউ’। এবার রিমা একদৌড়ে গিয়ে দরজা খোলে। দেখে, দোরগোড়ায় বসে আছে মিষ্টু।
পাগলের মতো কোলে তুলে নেয় ওকে। আদরে আদরে ভরিয়ে দিতে দিতে রান্নাঘরের দিকে এগয়। ওকে যে এখনই গরম দুধ খাওয়াবে!
একটু পরেই অবিনাশ ফেরে। মিষ্টুকে দেখে চমকে ওঠে ও।
সেকি মিষ্টু! কোথা থেকে এল?
রিমা খুশিতে ডগমগ।
মালতীর মার কথাই সত্যি হল গো, মিষ্টু ঠিক রাস্তা চিনে চলে এসেছে। 
অবিনাশের চোখে বিস্ময়ের ঘোর। রিমা মিষ্টুকে ওর হাতে ধরিয়ে দিয়ে চা তৈরি করতে চলে গেল ।
অবিনাশ মিষ্টুকে বুকে জড়িয়ে ধরে সোফায় বসে গা এলিয়ে দিল। মুখে এক চিলতে হাসি।
ভাগ্যিস সুবীর আর পরমা কয়েক দিনের জন্য মিষ্টুকে ওদের বাড়িতে রেখে দিয়েছিল!     
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
11th  April, 2021
পিশাচ সাধু

শিবশম্ভু দারোগার ছোটবউ সনকার কাছ থেকে তার জীবনের গল্প শুনল সহজ। পরিচয় হল নন্দিনীর সঙ্গে। সনকার কাছ থেকে জানতে পারল তিন নারীর লড়াইয়ের কাহিনি। তারপর...  বিশদ

পিশাচ সাধু

পরমেশ্বরের অফিসে শঙ্করের সঙ্গে এক চোট হয়ে গেল সহজের। মজা করতে গিয়েই এই বিপত্তি। সুজি কিছুতেই ক্যাপ্টেনের কথাগুলো ভুলতে পারছে না। এদিকে, পরমেশ্বর বিকেলে সহজকে একজনের বাড়িতে নিয়ে গেল। তারপর... 
বিশদ

13th  June, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৫
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

শঙ্কর বলল, ‘তুমি চান্স নাও। সব পাখি মাছ খায় দোষ হয় মাছরাঙার! আমার দরকার নেই। আমার অনেক আছে।’ বিশদ

06th  June, 2021
ছাতা হারানোর পর
রিমি মুৎসুদ্দি

কলি জানত, মম্পা নিজে পড়াশোনা বিশেষ করে না। সারাক্ষণ মিটিং মিছিল নিয়েই ওর সময় কাটে। এমন মিটিং মিছিল করা ছেলের সঙ্গে কী করেই বা ও জড়াত নিজেকে? আর তাও যদি মম্পার রেজাল্টটা তেমন কিছু হতো তাহলেও কিঞ্চিৎ বিবেচনায় ওকে রাখতে পারত।  বিশদ

30th  May, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ১৪
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বিচিত্রদাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে গিয়ে একপ্রস্থ নাটক হল। যদিও শেষপর্যন্ত বিচিত্রদার কপালে বেড জুটল। নচের নানা মজার কীর্তি বর্ণিনীকে শোনাল গৌর। এদিকে, ক্যাপ্টেনের অলৌকিক শক্তি যে কমেনি, তা সহজের গল্প প্রকাশের সুবাদে আরও একবার পরমেশ্বরের গ্রুপে প্রমাণ হয়ে গেল। তারপর... বিশদ

30th  May, 2021
কালা চশমা 
শুচিস্মিতা দেব

সুমিতাকে প্রবাস জীবনের শুরুতে সংসারের বাঙালি স্বাদগন্ধ বজায় রাখতে কম মেহনত করতে হয়নি! কোথায় মেলে বাঙালি পুরুতঠাকুর... শুক্তো-মুড়িঘণ্ট, স্পেশালিস্ট বঙ্গ ক্যাটারার... গাওয়া ঘি-গোবিন্দভোগ চাল অথবা শারদীয় পত্রপত্রিকা! কর্তাটি তার নির্ভেজাল খাঁটি বাঙাল ফলে দীর্ঘ দিল্লিবাসে যাবতীয় বঙ্গসমাচার এখন সুমিতার নখদর্পণে। 
বিশদ

23rd  May, 2021
পিশাচ সাধু 
জয়ন্ত দে

ক্যাপ্টেনকে গালমন্দ করতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনল সুজি। ‘কাক হয়ে কোকিলের বাচ্চা মানুষ করবি সুজি,’ পিশাচ সাধুর মুখ থেকে বেরিয়ে এল কয়েকটি ভয়ঙ্কর শব্দ। যা তাকে সারা জীবন কুড়ে কুড়ে খাবে। এদিকে, বর্ণিনীর ফোন এল সহজের মোবাইলে বিচিত্রদার অবস্থা ভালো নয়।  
বিশদ

23rd  May, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে 

সহজের কাছে চিঠিটি এসেছে ‘স্বদেশ’ পত্রিকা থেকে। সেখানে তার গল্প ছাপা হবে। এদিকে, ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণী ব্যর্থ হয়েছে শুনে বেজায় খুশি সুজি। পিশাচ সাধুর শক্তি সম্বন্ধে তার বক্তব্য, ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর’। পরের দিন সহজকে নিয়ে ক্যাপ্টেনের বাড়ি যাবে ঠিক করে সুজি।  
বিশদ

16th  May, 2021
ছোঁয়া
বিতস্তা ঘোষাল
 

অফিস থেকে বেরিয়ে নীচে বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে পর্ণা। এই দাঁড়িয়ে থাকাটা কোনও কিছুর অপেক্ষায় নয়। এটা তার অভ্যাস। আসলে একটানা চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে কাজ করতে করতে ভীষণ হাঁফ ধরে যায়। গুমোট লাগে ঘরটা। বিশদ

09th  May, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ১১
জয়ন্ত দে

 

সহজের ফোনটা পেয়ে কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেলেন পিশাচ সাধু। তাহলে তাঁর খারাপ কথাগুলো মিলে গেলেও কারও ভালো ভবিষ্যদ্বাণী করলে, তা মেলে না! বঁড়শি বারবার জানতে চায় তার কী হয়েছে। অনুমান করে ফেলে ফোন করেছিল সহজ। সে স্বামীকে বোঝায়, না মিলুক, তবুও তিনি যেন মানুষকে ভালো কথাই বলেন। বিশদ

09th  May, 2021
ছোট গল্প
সম্ভবামি যুগে যুগে

 

মহাপ্রস্থানের পথে অর্জুনের পতনের পর ভীম ও যুধিষ্ঠির আরও উত্তরদিকে এগিয়ে গেলেন। সেই বরফে ঢাকা শ্বেত প্রান্তরে মৃত্যুর অপেক্ষা করতে করতে অর্জুনের মন আসন্ন স্বর্গ না নরক এই দুর্ভাবনার  থেকেও শেষজীবনের পরাজয় ও হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে রইল। তিনি চিরকালের শৌর্যাভিমানী। বিশদ

25th  April, 2021
পিশাচ সাধু
পর্ব  ১০

তেত্রিশ দিন হয়ে গেল অথচ সহজের জীবনে ক্যাপ্টেনের করা ভবিষ্যদ্বাণী মিলল না। পরমেশ্বরের কথা শুনে ক্যাপ্টেনকে ফোন করে সহজ বলে দিল, ‘আপনি ফ্লপ! আপনার ভবিষ্যদ্বাণী ফ্লপ!’ সেদিন রাতেই বাড়ি ফিরে বাবার কাছ থেকে সহজ জানতে পারল, তার নামে একটি অফিসিয়াল চিঠি এসেছে। তারপর... বিশদ

25th  April, 2021
পিশাচ সাধু

 

হঠাৎ বর্ণিনীর সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয়ে যায় সহজের। বনির গন্তব্য বিচিত্রদার বাড়ি। সহজকে সঙ্গী করে বনি। জনগণের স্বার্থে লড়াই করতে গিয়ে বহুবার পেটানি খাওয়া বিচিত্র ঘোষাল বিশ্বাস করে, এ দেশে একদিন বিপ্লব হবেই। কথায় কথায় বিচিত্রদাও সহজকে সাবধান করে দেয়, সে যেন পিশাচ সাধুর পাল্লায় না পড়ে। বিশদ

18th  April, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৮

সহজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় পরমেশ্বর শান্ত গলায় বলেছিল— বিচিত্রদা সেই বিরল মানুষ যারা এখনও মনে করে বিপ্লব হবে। কখন হবে, কীভাবে হবে কেউ জানে না, শুধুমাত্র একটা স্ফুলিঙ্গ। সেই স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল হয়ে যাবে। বিশদ

11th  April, 2021
একনজরে
আইএসএলে খেলা নিয়ে জট খুলতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে আছেন শ্রী সিমেন্ট ও ইস্ট বেঙ্গলের কর্তারা। সূত্রের খবর, উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। ...

আগামী বছর যোগীর রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির সহ সভাপতি পদে বসানো হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রাক্তন আমলা এ কে শর্মাকে। ...

ইরানের প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন সুপ্রিম নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের স্নেহধন্য বিচারবিভাগের কট্টরপন্থী প্রধান ইব্রাহিম রেইসি। রেইসিই হতে চলেছেন মার্কিন নিষিদ্ধ তালিকায় থাকা প্রথম প্রেসিডেন্ট। ...

লং ওয়াল মাইনিং, কনটিনিউয়াস মাইনারস ও সারফেস মাইনারসের মতো কয়লা খনিতে ব্যবহৃত বিশ্বমানের মেশিনের যন্ত্রাংশ দুর্গাপুরে তৈরি হতে চলেছিল। বন্ধ এমএএমসি কারখানার বৃহত্তম অংশীদার ভারত আর্থ মোভারস লিমিটেড(বিইএমএল) পোল্যান্ডের এক সংস্থার সঙ্গে সব কিছু চূড়ান্তও করে ফেলেছিল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব উদ্বাস্তু দিবস
১৯৩৯: ক্রিকেটার রমাকান্ত দেশাইয়ের জন্ম
১৯৫২: লেখক বিক্রম শেঠের জন্ম
১৯৭৯: ফুটবলার রেনেডি সিংয়ের জন্ম
২০০৭: অভিনেত্রী অনীতা গুহের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৪৬ টাকা ৭৫.৭৪ টাকা
পাউন্ড ১০০.৮০ টাকা ১০৫.৬৮ টাকা
ইউরো ৮৬.২৭ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  June, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) -
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) -
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) -
রূপার বাট (প্রতি কেজি) -
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) -
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ আষাঢ় ১৪২৮, রবিবার, ২০ জুন ২০২১। দশমী ২৮/৩৩ অপরাহ্ন ৪/২২। চিত্রা নক্ষত্র ৩৪/৪২ রাত্রি ৬/৪৯। সূর্যোদয় ৪/৫৬/২৭, সূর্যাস্ত ৬/১৯/৩৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ গতে ৯/২৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ২/৪৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৪ গতে ১২/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩২ গতে ৫/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৭ গতে ১/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৮ গতে ২/১৮ মধ্যে। 
৫ আষাঢ় ১৪২৮, রবিবার, ২০ জুন ২০২১। দশমী দিবা ১২/২৪। চিত্রা নক্ষত্র দিবা ৩/৪০। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৮ গতে ১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে। 
৯ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ: নিউজিল্যান্ড ১০১/২

11:10:00 PM

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ: নিউজিল্যান্ড ৭০/১  

09:51:47 PM

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ: নিউজিল্যান্ড ৩৬/০ (চা বিরতি)   

08:35:06 PM

গত ২৪ ঘণ্টায় কেরালাতে করোনা আক্রান্ত ১১,৬৪৭ মৃত ১১২

08:03:24 PM

গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বইয়ে করোনা আক্রান্ত ৭৩৩, মৃত ১৯

07:59:37 PM

আইআরসিটিসি অ্যাপে টিকিট বাতিল করলেই দ্রুত ফেরত পাওয়া যাবে টাকা
এবার থেকে আইআরসিটিসি অ্যাপে টিকিট বাতিল করলেই দ্রুত ফেরত পাওয়া ...বিশদ

07:54:53 PM