Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

অবন ঠাকুরের বাগানবাড়ি

কলকাতার খুব কাছেই কোন্নগরে গঙ্গার পশ্চিম তীরে ‘অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাগানবাড়ি’, যেন একটুকরো ছোট্ট শান্তিনিকেতন। ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বইয়ে যে বাড়ির স্মৃতিচারণ করেছেন অবন ঠাকুর। সেই বাগান বাড়ি ঘুরে তার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার

‘তখন গরমি কালটা অনেকেই গঙ্গার ধারে বাগানবাড়িতে গিয়ে কাটাতেন। কোন্নগরের বাগানে বাবামশায় যাবেন, ঠিক হল। মা পিসিমা সবাই যাবেন; সঙ্গে যাব আমি আর সমরদা। দাদা থাকবেন বাড়িতে; বড় হয়েছেন, স্কুলে যান রোজ, বাগানে গেলে পড়াশুনোর ক্ষতি হবে। আমার আনন্দ দেখে কে। কাল সকালবেলায় যাব, কিন্তু রাত পোহায় না। ঘুমোব কি! সারারাত ধরে ভাবছি, কখন ভোর হয়।’ উৎসাহের অন্ত ছিল না অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। আসলে হুগলি নদী তীরবর্তী এই বাগানবাড়িটি ছিল প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের কেনা অজস্র জমিদারির মধ্যে একটি অংশ। উত্তরাধিকার সূত্রে তা পান দ্বারকানাথের মধ্যমপুত্র গিরীন্দ্রনাথ। পরে তা পান পুত্র গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই সুবাদে ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই এই বাড়িতে ছুটি কাটাতে আসতেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেখানে যেমন ছিল ‘বাবামশাই’ গুণেন্দ্রনাথের কড়া শাসন, তেমনই মিলত প্রিয় ‘রবিকা’র সঙ্গে অঢেল মজা করার সুযোগও।
এই বাগানবাড়িতে যাওয়ার প্রসঙ্গে ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বইয়ে তিনি লিখছেন, ‘এখন কোন্নগরে তো যাওয়া হবে—কত দেরি করেছিল সেদিন সকালটা আসতে। যেমন রামলালের ডাক ‘ওঠো’, অমনি তড়িঘড়ি বিছানা থেকে লাফিয়ে পড়ে তাড়াতাড়ি হাতমুখ ধুয়ে ইজের কামিজ বদলে তৈরি হয়ে নিলুম। লোকজন আগেই চলে গেছে বাগানে। এবার আমরা যাব। সাদা জুড়িঘোড়া জোতা মস্ত ফিটন দাঁড়াল দেউড়িতে ভোর পাঁচটায়। আমরা উঠলুম তাতে। বাবামশায় বসলেন পিছনের সিটে, আমাদের বসিয়ে দিলেন সামনেরটায়। দুপাশে বসলেন আরও দুজন, পাছে আমরা পড়ে যাই। সেকালের গাড়িগুলির দু-পাশ থাকত খোলা—একটুতেই পড়ে যাবার সম্ভাবনা। মা পিসিমা আগেই রওনা হয়েছেন বন্ধ আপিসগাড়িতে।’
এই যাত্রাপথেই প্রথমবার হাওড়া ব্রিজ দেখেছিলেন অবন ঠাকুর। তাঁর প্রতিক্রিয়া ছিল—‘হাওড়ার পুল দেখি সেই প্রথম, আমি তো ভয়ে মরি।’ হাওড়া ব্রিজ অতিক্রম করে তাঁদের ফিটন গাড়ি এগোয়। মাঝরাস্তায় ঘোড়া বদল করে অবশেষে তাঁরা পৌঁছলেন কোন্নগরের বাগানবাড়িতে। অবন ঠাকুরের কথায়, ‘তখন মোটরগাড়ি ছিল না যে এক ঘণ্টায় পৌছে দেবে শহর থেকে বাগানে।’
লেখার মধ্য দিয়েই যেন ছবি আঁকতে পারতেন অবন ঠাকুরের। কোন্নগরের বাগানবাড়িতে প্রবেশের ঠিক পূর্ব মুহূর্তের বর্ণনায় রয়েছে সেই ছোঁয়া—‘কোতরঙের ইঁটখোলা—সেখানে পাহাড়ের মতো ইঁটের পাজায় আগুন ধরিয়েছে, তা থেকে ধোঁয়া উঠছে আস্তে আস্তে আকাশে। তার পরই কোন্নগরের বাগান আমাদের। দু-থাক ঢালুর উপরে সাদা ছোট্ট বাড়িখানি।’
সেসব কবেকার কথা। ছোট্ট বাগানবাড়িখানির রঙ আজও একই। বইয়ের বর্ণনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গার হাওয়ায় সামান্য একটু নোনা ধরেছে অবশ্য। বাড়ির ভিতরে অবন ঠাকুরের আঁকা বিভিন্ন ছবির রেপ্লিকা। বাড়ির সামনের রাস্তা সুন্দরভাবে সাজানো। ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বইয়ের বিভিন্ন অংশকে উক্তি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আপনি সেগুলি পড়লে ফিরে যাবেন সে-সময়ে। 
বাগানবাড়ির মধ্যস্থলে অবন ঠাকুরের মূর্তি। আর বাগান জুড়ে অজস্র গাছ। বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য গাছও রয়েছে। বিষধর সাপের উৎপাতের জন্য জায়গায় জায়গায় রয়েছে বিশেষ  সতর্কবার্তা। এই মূল বাড়িটি ছাড়াও প্রবেশপথে রয়েছে একটি প্রাচীন বাড়ি। যা মূলত ‘অফিসঘর’। অফিসঘর ছাড়াও রয়েছে গ্রন্থাগার, রন্ধনশালা সহ বেশ কয়েকটি ঘর। এই বাড়িটি অতীতে ছিল ‘সার্ভেন্ট কোয়ার্টার’। এখানেই থাকত ঠাকুরবাড়ির ফিটন গাড়ি এবং পালকি। একটি পালকি এখনও সযত্নে রক্ষিত। 
কোন্নগরের বাগানবাড়ি জুড়ে ছিল গাছ আর গাছ। আজও সেই পরিবেশ বজায় রয়েছে। হাজারো পাখির কলতান। আম গাছে ধরেছে আম। বাগানের কাঁঠাল গাছে দেখা গেল কাঁঠাল ধরেছে। অবন ঠাকুরের আমলের সেই গাছ আজও সযত্নে রক্ষিত। এই কাঁঠাল গাছ ঘিরে অবন ঠাকুরের কত স্মৃতি। তিনি লিখছেন-  “উত্তর দিকে মস্ত ছাতার মতো নিচু একটি কাঁঠালগাছ।রাত্রে যখন বিছানায় যেতুম তখনও চলত আমার কল্পনা। নানারকম কল্পনায় ডুবে থাকত মন; স্পষ্ট যেন দেখতে পেতুম সব চোখের সামনে। খড়খড়ির সামনে ছিল কাঁঠালগাছ। জ্যোৎস্না রাত্তির, চাদের আলোয় কাঁঠালতলায় ছায়া পড়েছে ঘন অন্ধকার।”
এই কাঁঠালতলায় কাঠবেড়ালির বিয়ে নিয়ে একটি কল্পনার দৃশ্যকল্প এঁকেছেন অবন ঠাকুর। উনার কথাতেই শোনা যাক- “দিনের বেলায় চাটুজ্যে মশায় বলেছিলেন, আজ রাত্তিরে কাঁঠালতলায় কাঠবেড়ালির বিয়ে হবে। রাত জেগে দেখছি চেয়ে, কাঁঠালতলায় যেন সত্যি কাঠবেড়ালির বিয়ে হচ্ছে, খুদে খুদে আলোর মশাল জ্বালিয়ে এল তাদের বরযাত্রী বরকে নিয়ে, মহা হৈ-চৈ, বাদ্যভাণ্ড, দৌড়োদৌড়ি, হুলুস্থুলু ব্যাপার। সব দেখছি কল্পনায়। কাঁঠালতলায় যে জোনাকি পোকা জ্বলছে তা তখন জ্ঞান নেই।” এই কাঁঠালগাছের তলায় চৌকি পেতে গুনেন্দ্রনাথ গল্পের আসর বসাতেন। 
অবন ঠাকুরের বেশ আনন্দেই দিন কাটত কোন্নগরে। দুপুরবেলা বাগানের কুলগাছ থেকে রেশমি গুটি জোগাড় করতেন। প্রজাপতির পায়ে সুতো বেঁধে ঘুড়ির মত ওড়াতেন।এক নাপিত পোষা কাঠবেড়ালির ছানা এনে দিত। কেউ বা খালি বাবুইয়ের বাসা জোগাড় করে এনে দিত। বহুরূপী এসে নাচ দেখাত। শুধু মজা করেই দিন কাটত না ছোট্ট অবন ঠাকুরের, রীতিমতো পড়াশোনা করতে হত। ঠিক যেভাবে রবি ঠাকুরকে হিমালয়ে নিয়ে গেলেও পিতা দেবেন্দ্রনাথ ছোট্ট রবিকে পড়াতেন।
গোকুলবাবু ছিলেন বাগানবাড়ির গৃহশিক্ষক। বাংলার ইতিহাস মুখস্থ করাতেন। অবন ঠাকুরকে পড়তে হত সিরাজের কাহিনি। গৃহশিক্ষকদের পড়ানোতেই বিষয়টা মিটে যেত এমনটা নয়। গুনেন্দ্রনাথের সামনে ভাইবোনদের সবাইকে পরীক্ষা দিতে হত। আর সেই পরীক্ষায় একবার প্রথম হয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ। আর ‘ফার্স্ট প্রাইজ’ হিসেবে পেয়েছিলেন ‘বিলিতি অর্গ্যান বাজনা’। এই বাড়িতেই প্রথম গান শিখেছিলেন অবন ঠাকুর। আর সেই গানের কাহিনিটিও বেশ মজার। ‘ব্লাকইয়র’ নামে এক সাহেব ছিলেন কোন্নগরে। তিনি রোজ ঘোড়ায় চড়ে বেড়াতে বের হতেন। আর বেড়িয়ে ফিরবার সময় এক গয়লার বাড়ি গিয়ে গয়লানীর কাছে এক পোয়া করে দুধ খেতেন। আর তা দেখে স্থানীয় পাড়ার লোকে তার নামে গান বেঁধেছিল। গানের সুরটি ছিল এরকম- “হায় রে সাহেব বেলাকর/ আমি গাই দেব তুই বাছুর ধর।” এই গানই সেসময় গাইতেন ছোট্ট অবন ঠাকুর। 
অবন ঠাকুরের ছবি আঁকায় হাতে খড়ি হয়েছিল এই বাগান বাড়িতেই।সেই প্রথম ছবি আঁকার কাহিনি তাঁর লেখা থেকেই জেনে নিই - “সেই সেবার কোন্নগরে আমি কুঁড়েঘর আঁকতে শিখি। তখন একটু আধটু পেনসিল নিয়ে নাড়াচাড়া করি, এটা ওটা দাগি। বাগান থেকে দেখা যেত কয়েকটি কুঁড়েঘর। কুঁড়েঘরের চালটা যে গোল হয়ে নেমে এসেছে, তা তখনই লক্ষ্য করি। এর আগে আঁকতুম কুঁড়েঘর—বিলিতি ড্রইং-বইএ যেমন কুঁড়েঘর আঁকে। দাদাদের কাছে শিখেছিলুম এক সময়ে। বাংলাদেশের কুঁড়েঘর কেমন তা সেইবারই জানলুম, আর এ পর্যন্ত ভুল হল না।”
বাগান বাড়ির ঠিক সামনেই গঙ্গা। আজও একই ভাবে তা দেখা যায়। সুন্দর বাঁধানো ঘাট। গঙ্গার ওপাশে ঠাকুরদেরই আরেকটি বাগানবাড়ি, ‘পানিরহাটি বাগানবাড়ি’ বা ‘পেনেটির বাগানবাড়ি’। যেখানে মাঝেমধ্যে থাকতেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। হাজির হতেন অবন ঠাকুরের প্রিয় ‘রবিকা’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। অবন ঠাকুরেও যাতায়াত ছিল ওই বাড়িতে।
পিতা গুনেন্দ্রনাথ সাঁতরে গঙ্গার এপার ওপার করতেন। পুত্র অবনীন্দ্রনাথকেও সাঁতার শেখানোর চেষ্টা করতেন পিতা। পিতার নির্দেশে চাকর-বাকরেরা গামছা পরিয়ে অবন ঠাকুরকে জলে ছুঁড়ে দিত। অবন ঠাকুর লিখছেন-”সাঁতার দেব কি, ভয়েই অস্থির। কোনো রকম করে আঁচড়ে পাঁচড়ে পারে উঠে পড়ি।”
গঙ্গার এপার আর ওপারের বাগানবাড়ির যোগসূত্রের একটি মজার কাহিনি রয়েছে। কাহিনির বর্ণনা দিচ্ছেন লেখক এভাবে- “গঙ্গার পশ্চিম পারে আমাদের কোন্নগরের বাগান, ওপারে পেনিটির বাগান, জ্যোতিকাকা মশায় সেখানে আছেন। কোনোদিন এপার থেকে বাবামশায়ের পানসি যায়, কোনোদিন বা ওপার থেকে জ্যোতিকাকামশায়ের পানসি আসে; এমনি যাওয়া আসা। বন্দুকের আওয়াজ করে সিগন্যালে কথা বলতেন তাঁরা।”
একবার যেমন কি হয়েছিল ছেলেকে সাহসী করে তোলার জন্য গুনেন্দ্রনাথ ছেলে অবনের কাঁধে বন্দুক রেখে ফায়ার করেছিলেন। অবন ঠাকুর লিখছেন, “একবার আমায় দাড় করিয়ে আমার কাঁধের উপর বন্দুক রেখে বাবামশায় বন্দুক ছোঁড়েন, পেনিটির বাগান থেকে ওপারে। জ্যোতিকাকামশায় বন্দুকের আওয়াজে তার সাড়া দেন।”
বাগান বাড়ির সামনেই প্রবাহিত গঙ্গার চমৎকার বর্ণনা দিচ্ছেন অবন ঠাকুর। লিখছেন- “আমরা বাগানবাড়ির বারান্দার সিঁড়ির ধাপে বসে থাকতুম গঙ্গার দিকে চেয়ে—সামনেই গঙ্গা। ঠিক ওপারটিতে একটি বাঁধানো ঘাট। চেয়ে থাকি সেই ঘাটের দিকে। লোকেরা চান করতে আসে; কখনও বা একটি দুটি মেয়ের মুখ দরজা খুলে উঁকি মারে, আবার মুখ সরিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। আর দেখি তর্‌তর্‌ করে গঙ্গা বয়ে চলেছে। নৌকো চলেছে পর পর—কোনোটা পাল তুলে, কোনোটা ধীরে, কোনোটা বা জোরে হু-হু করে।”
অবন ঠাকুর লেখার মধ্য দিয়ে ছবি আঁকেন। অবন ঠাকুর বাগানবাড়ি থেকে নিয়মিত গঙ্গা দেখতেন। আর তা দেখার ফলে ছোট্ট অবনের মন চলে যেত এক দূরের দেশে। তিনি এই বাগান বাড়ি থেকে গঙ্গার তিনখানি দৃশ্যকল্প আমাদের উপহার দিয়েছেন। 
যেমন প্রথমত, “যেদিন গঙ্গার উপরে মেঘ করত দেখতে দেখতে আধখানা গঙ্গা কালো হয়ে যেত, আধখানা গঙ্গা সাদা ধবধব করত; সে কি যে শোভা!” 
দ্বিতীয়ত, “গঙ্গার আর এক দৃশ্য, সে স্নানযাত্রার দিনে। দলের পর দল নৌকো বজরা, তাতে কত লোক গান গাইতে গাইতে, হল্লা করতে করতে চলেছে। ভিতরে ঝাড়লণ্ঠন জ্বলছে; তার আলো পড়েছে রাতের কালো জলে।” 
তৃতীয়ত,”যেদিন গঙ্গার উপরে মেঘ করত জেলেডিঙিগুলো সব তাড়াতাড়ি ঘাটে এসে লাগত ঝড় ওঠবার লক্ষণ দেখে। গঙ্গা হয়ে যেত খালি। যেন একখানা কালো সাদা কাপড় বিছানো রয়েছে। এই গঙ্গার দৃশ্য বড় চমৎকার লাগত।”
সেই গঙ্গার ঘাট আজ আর নেই। সামান্য বাঁধানো হয়েছে । আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে চারপাশ। লোহার মজবুত দরজা বসেছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে যা তালাবন্ধ। গঙ্গার ওপারে পেনেটির বাগানবাড়ি দৃশ্যমান। ভাবছিলাম, ঠাকুরবাড়ির কায়দায় এপারে-ওপারে বন্দুক না-ই বা চলল কিন্তু যদি নৌকায় চড়ে ওপাশে যাওয়া যেত তো বেশ হত। হয়ত হবে কোনো দিন! 
এই বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের লোকের যাতায়াত ছিল।মাঝে মাঝে বড় জুড়িঘোড়া হাঁকিয়ে আসতেন উত্তরপাড়ার রাজা। গুণেন্দ্রনাথের একটি জুড়িগাড়ি ছিল। এছাড়া ছোটলাট সাহেবের মেমের একটি ছোট্ট টাট্টু ঘোড়ার গাড়ি ছিল। যা কিনেছিলেন গুনেন্দ্রনাথ। গাড়িটি তিনি কিনেছিলেন মেয়ে সুনয়নী ও বিনয়িনীর বেড়াতে বের হওয়ার জন্য। যদিও সেই গাড়িতে অবন ঠাকুরও চড়তেন। আর মাঝেমাঝে বের হতে বেড়াতে। একবার ছোট্ট অবন ঠাকুর বের হয়েছেন তাঁদের ছোট্ট জুড়ি গাড়ি চড়ে বেড়াতে। পথে দেখা উত্তরপাড়ার জমিদারের সাথে। তারপর - “উত্তরপাড়ার রাজার জুড়িগাড়ির সামনে আমার টাটুঘোড়া ভয়ে চোখ বুজে রাস্তার পাশে এসে দাঁড়ায়। জুড়িগাড়ির ভিতরে বসে বৃদ্ধ ডেকে জিজ্ঞেস করেন, ‘কার গাড়ি যায়? কার ছেলে এরা?’ চোখে ভালো দেখতে পেতেন না। সঙ্গে যারা থাকে তারা বলে দেয় পরিচয়। শুনে তিনি বলেন, ‘ও, আচ্ছা আচ্ছা, বেশ, এসেছ তা হলে এখানে। বোলো একদিন যাব আমি।’ তাঁর জুড়িঘোড়া টগবগ করতে করতে তীরের মতো পাশ কাটিয়ে চলে যায়—আমার ছোট্ট টাটুঘোড়া তার দাপটের পাশে খাটো হয়ে পড়ে।” লোকজন তখন মজা করে বলতে শুরু করে- “যেমন ছোট্ট বাবু তেমনি ছোট্ট গাড়ি।”
গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আকস্মিক মৃত্যুর পর বাগানবাড়ি ছেড়ে কলকাতায় চলে যান অবন ঠাকুর ও তাঁর পরিবার। বাগানবাড়িতে পড়ে থাকে তাঁদের পোষ্য কুকুর, ঘোড়া, বাঁদর, হরিণ সহ বিভিন্ন জীব। তারপর ঠাকুরবাড়ির যোগাযোগ কমে আসে এই বাড়ির সাথে। দেখতে দেখতে এই বাড়ি ভগ্নদশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। দ্বারকানাথ ঠাকুরের সাধের বাগানবাড়ি অবহেলায় জরাজীর্ণ হয়ে এককোনে পড়ে থাকে।
এই বাড়ির একেবারে পিছনের দিকে রয়েছে একটি মাজার এবং ক্রাইপার সাহেবের সুইমিংপুল।শুকিয়ে যাওয়া সেই সুইমিংপুল আজও দেখতে পাওয়া যায়। উইলিয়াম রিসডন ক্রাইপার সাহেবের হাত ধরে কোন্নগরে নগরায়ন শুরু হল। তিনি নিজে একটি কুঠী বানালেন। তাঁর হাত ধরে এ তল্লাটে কল-কারখানা গড়ে উঠতে শুরু করল । ইংরেজ বাবুদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেল। সেই সুবাদে ঠাকুরদের এই বাগানবাড়ি চলে গেল ইংরেজদের দখলে। ইতিহাস বলছে ক্রাইপার সাহেব এই বাড়ি মেরামত করেন। তখন এই বাড়ির লোকমুখে নাম হয় ‘সাহেব কুঠী’। 
শোনা যায়, তারপর একদিন ইংরেজদের কাছেও এই বাড়ির গুরুত্ব কমে আসে। ইংরেজরা এই বাড়ি ছেড়ে চলে গেলে  দীর্ঘদিন এই বাড়ি লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যায়। তার বহু পরে এই বাগানবাড়ি হস্তান্তরিত হয় বাংলাদেশের বিখ্যাত জমিদার ভাগ্যকূল রায় পরিবারের হাতে। যাঁরা কুমোরটুলিতে একসময় জাঁকিয়ে বসেন এবং দুর্গাপুজোর প্রবর্তন করেন। এই রায়দের হাত থেকে বাগানবাড়ি কিনে নেন ব্যবসায়ী লাখোটিয়ারা। দীর্ঘসময় জরাজীর্ণ বাড়িটি ততদিনে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। খোয়া গেছে অনেককিছু। পরে এই বাড়ি ঘিরে দেখা দেয় বেশ কিছু আইনি জটিলতা। পরে সেই জটিলতা কাটিয়ে বাড়িটি অবশেষে ‘হেরিটেজ’ মর্যাদা পায়। আর এই বাড়িকে নবরূপদানে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে কোন্নগর পুরোসভা। পুরোসভার উদ্যোগে সেজে ওঠে অবন ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাগানবাড়ি, গঙ্গার তীরে একটুকরো শান্তিনিকেতন।
04th  August, 2024
নানা রঙের দশভুজা
দেবযানী বসু 

মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা! বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, মহাকাব্য—সর্বত্র তাঁর মহিমার জয়গান। মতভেদও কম নেই। আর তা শুধু আবির্ভাব নয়, গাত্রবর্ণ নিয়েও। বেদ-পুরাণের বর্ণনায় দেবী গৌরবর্ণা, স্বর্ণবর্ণা, পীতবর্ণা, অতসীবর্ণা। বিশদ

06th  October, 2024
পুজোর টানে ফেরা
সুকান্ত ঘোষ

মহালয়ার ভোর। ঘুম থেকে উঠেই ঘরে চালিয়ে দিয়েছি ‘বীরেনবাবু স্পেশাল’। বেশ জোরে। খানিক পরেই দরজায় টোকা। খুলতেই দেখি, আমার ডানপাশের ঘরের জোসেফ ও বাঁ পাশের ঘর থেকে ফাউস্টো ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে। ঘরে ঢুকল দু’জনে। বিশদ

29th  September, 2024
কল্যাণীর বিভূতিভূষণ

মুরাতিপুর গ্রাম। তাঁর মামার বাড়ি। জন্মস্থানও। গ্রামটি আর নেই। সেখানেই গড়ে উঠেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৩০ তম জন্মবার্ষিকীতে এমন অনেক অজানা কাহিনি লিখলেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

22nd  September, 2024
স্বপ্ন হলেও সত্যি
কলহার মুখোপাধ্যায়

মামা বলল, ‘আগে ভালো করে লাটাই ধরতে শেখ, তারপর ঘুড়ি ওড়াবি।’ বাবা বলল, ‘আগে ভালো করে সিট বেল্ট বাঁধতে শেখ, তারপর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরবি।’   পাড়ার ন্যাপাদা বলল, ‘মাঠে ঠিকমতো দৌড়তে শেখ আগে, তারপর বলে পা দিবি
বিশদ

15th  September, 2024
ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি
রজত চক্রবর্তী

আরও আরও উপরে। আরও উপরে। ওই আমাদের বাড়ি ছোট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। বুল্টিদের বাড়ির ছাদ ছোট্ট হয়ে গিয়েছে। দড়িতে টাঙানো বুল্টির লাল জংলা ফ্রক আর দেখা যাচ্ছে না। করদের মাঠ, পুকুর, আম-জাম-পাকুড়-লিচুগাছেদের ভিড়, বাড়িগুলো সব ছোট ছোট, শুধু ছাদের পর ছাদ।
বিশদ

15th  September, 2024
মলমাস
রোহিণী ধর্মপাল 

জিন্স পরিহিতা রীতিমতো আধুনিকা বললেন, ‘ঠাকুরমশাই, গৃহপ্রবেশে কোনও ত্রুটি রাখতে চাই না। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হলে আমাদের খুব সুবিধা হয়।’ অফিসের ফোন আসায় একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন সঙ্গী যুবক। এবার ফোনটা মিউট করে সুবেশ ছেলেটি বললেন, ‘তারপরেই আসলে আবার আমাদের অস্ট্রেলিয়া ফিরতে হবে তো! বিশদ

08th  September, 2024
মলিন মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

সারা বাড়ি আনন্দে গমগম করছে। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে যেন উৎসবের হাট বসেছে। বাড়ির একমাত্র ছেলে শুভদীপের বিয়ে। বিয়ের দিন সবাই সেজেগুজে প্রস্তুত। এখনই বর বেরবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাবা তাড়া দিচ্ছে শুভদীপকে। ‘তাড়াতাড়ি বেরো। এতটা পথ যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছতে না পারলে সমস্যা হয়ে যাবে।’  বিশদ

08th  September, 2024
যব ছোড় চলে...

আজ, ১ সেপ্টেম্বর নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের মৃত্যুদিন। ১৩৭ বছর আগে নির্বাসিত নবাবের মৃত্যু ঘিরে আজও রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। মেটিয়াবুরুজ ঘুরে সেই অতীতের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার।
বিশদ

01st  September, 2024
বর্ষামঙ্গল
শ্যামল চক্রবর্তী

কেশববাবু ছাতা কিনেছেন। প্রয়োজনে নয়, দুঃখে! হেড অফিসের ছোটবাবু কেশব দে রিটায়ার করার পর থেকেই দিনরাত স্ত্রীর গঞ্জনা শুনতে শুনতে, এক বর্ষার সকালে বেরিয়ে পড়েছেন। গণশার দোকানে পাউরুটি আর ঘুগনি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে মেট্রোগামী অটোতে চেপে বসলেন। বিশদ

25th  August, 2024
কেন মেঘ আসে...
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে...’, তবে এই তো আর ক’দিন। এক কী দেড় মাস! তার মধ্যেই দুগ্গা চলে আসবে। তখন আকাশ ফুঁড়ে রোদ্দুর। মেঘগুলোর রং যাবে সব পাল্টে। আইসক্রিম আইসক্রিম মেঘ চড়ে বেড়াবে আকাশে। তখন মালতির একটু স্বস্তি। বিশদ

25th  August, 2024
’৪২-এর কলকাতা

‘ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো...’ গান্ধীজির ডাকে ১৯৪২ সালের আগস্টে রাস্তায় নেমেছিল কলকাতাও। আম বাঙালির প্রতিবাদের সেই ইতিহাস ফিরে দেখলেন সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত। বিশদ

18th  August, 2024
মৃত্যুর মুখোমুখি

কারাগারের নিস্তব্ধতা চিরে ছুটে আসছে শব্দ। মুজফ্‌ফরপুর জেলের কোনায় কোনায় তখনও জমাট বাঁধা অন্ধকার। কনডেমড সেলের মেঝেয় চুঁইয়ে পড়েছে সামান্য আলোর রেখা। সেই আলোয় স্পষ্ট দূরের অন্ধকারে শক্ত কাঠের পাটাতনে দুলতে থাকা মরণ-রজ্জু। বিশদ

18th  August, 2024
বেগম, কন্যা ও রবীন্দ্রনাথ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘ম্যাডাম, আমাদের সোর্স খুব কিন্তু কনফার্মড! খুব ডেলিকেটও। বাইরে এই খবরটা চলে গেলে সমস্যা হবে।’ বললেন আর এন কাও। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)-এর প্রধান জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে। কী করা উচিত? ম্যাডাম হলেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা গান্ধী চিন্তিত মুখে বললেন, ‘তাহলে আমাদের কোনও অফিসারকে এর মধ্যে ইনভলভ করার দরকার নেই। আপনি নিজেই যান।’ 
বিশদ

11th  August, 2024
পদ্মাপারে চীনের ফুটপ্রিন্ট

আমেরিকাকে ‘সবক’ শেখাতে শেখ হাসিনা জড়িয়ে ধরেছিলেন চীনকে। তাঁর শেষ চীন সফর—৮ জুলাই।বেজিংয়ের জন্য বাংলাদেশের দুয়ার হাট করে খুলে দিয়েছিলেন হাসিনা।
বিশদ

11th  August, 2024
একনজরে
টানা তিনমাস বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ট্রেন পরিষেবা। ১৯ জুলাই থেকে দুই বাংলার মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন ট্র্যাকে নামা বন্ধ হয়। সেইসময় থেকেই ওপারে শুরু হয় চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা। ...

উৎসবের মরশুম বলে কথা, সাদামাটা খাবার পাতে দিলে চলে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন পদের আয়োজন করতে হয়। কিন্তু তা করতে গিয়েই বিপাকে পড়ছেন ...

জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। প্রচুর ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। খুচরো বাজারে একধাপে অনেকটা বেড়েছে আনাজের দাম। পাশাপাশি রীতিমত আগুন দাম ফলেরও। বুধবার ...

শনিবার আইএসএলের প্রথম পর্বের মহারণে মাঠে নামছে মোহন বাগান ও ইস্ট বেঙ্গল। এই ম্যাচের ৭২ ঘণ্টা আগে প্রকাশিত হল ফিরতি ডার্বির দিন। ১১ জানুয়ারি ফের মুখোমুখি হবে দুই প্রধান। শুধু ডার্বি নয়, বুধবার পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করল এফএসডিএল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তির বেচাকেনায় অর্থাগম। ব্যয় বৃদ্ধির চাপ আসতে পারে। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ট্রমা দিবস
বিশ্ব সাইক্লিং দিবস
আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস

১৬৩০: আমেরিকার বোস্টন শহর প্রতিষ্ঠিত হয়
১৭৭৪: সাধক বাউল লালন ফকিরের জন্ম
১৮৯০: সাধক বাউল লালন ফকিরের মৃত্যু
১৯০৩: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাইট ভ্রাতৃদ্বয় অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট সাফল্যের সঙ্গে উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ঘটান
১৯০৫: বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি
১৯২৪: হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির জন্য মহাত্মা গান্ধীর অনশন
১৯৪০: মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহ শুরু হয়
১৯৪৪: অভিনেতা বিভু ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯৪৭: রাজনীতিবিদ বৃন্দা কারাতের জন্ম
১৯৫৫: অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের জন্ম
১৯৬৫: শ্রীলঙ্কান প্রাক্তন ক্রিকেটার অরবিন্দ ডি সিলভার জন্ম
১৯৭০: ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের জন্ম 
১৯৭৯: নিউজিল্যাণ্ডের ক্রিকেটার মার্ক গিলেস্পির জন্ম
২০০৫: দেশে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে বাণিজ্যিক ভাবে কয়লা উত্তোলন শরু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৩ টাকা ৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.০৬ টাকা ১১১.৮৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৯১ টাকা ৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

৩১ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪। পূর্ণিমা ২৩/১৫, দিবা ৪/৫৬। রেবতী নক্ষত্র ২৬/৪৫ দিবা ৪/২০। সূর্যোদয় ৫/৩৭/৩৭, সূর্যাস্ত ৫/৬/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/১০ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৭ গতে ৯/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৮ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
৩০ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪। পূর্ণিমা সন্ধ্যা ৫/১৯। রেবতী নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/৩৭। সূর্যোদয় ৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ২/১৫ গতে ৫/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৩ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
১৩ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইজরায়েলি সেনার হামলায় হত হামাস প্রধান ইয়াহা সিনওয়ার

12:45:16 AM

রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা ও ...বিশদ

12:09:02 AM

প্রয়াত অভিনেতা দেবরাজ রায়, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

11:09:00 PM

বাবা সিদ্দিকিকে খুনের মামলা: অভিযুক্ত শিবকুমার গৌতম ও জীশান আখতারের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করল মুম্বই পুলিস

10:30:12 PM

মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা

10:19:00 PM

এনডিএ-র বৈঠক শেষে চণ্ডীগড় থেকে রওনা দিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি

09:58:00 PM