Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

মহাধ্যানে মহাযোগী
পূর্বা সেনগুপ্ত

গুন গুন করে গানের সুর তুলেছেন—‘শ্যামাসুধা তরঙ্গিনী, কালী সুধা তরঙ্গিনী।’ পুরাতন মঠের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসছেন স্বামী বিবেকানন্দ। জীবনের শেষলগ্ন উপস্থিত হয়েছে। সকলের অবশ্য মনে হচ্ছে, বড্ড খাটুনিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। সঠিক চিকিত্সা আর পথ্য তাঁকে আবার সুস্থ করে তুলবে। কিন্তু নিজের ঘরের জানলায় দাঁড়িয়ে স্বামীজি আত্মগতভাবে বলে উঠেছেন, ‘আমি চল্লিশ পেরব না!’ যে শিষ্যের কানে গেল, তিনি আতঙ্কিত। ‘সে কি! স্বামীজির  চল্লিশ হতে তো আর বেশি দেরি নেই! এরই মধ্যে কি লীলা সংবরণের ইচ্ছা প্রবল হল!’ বেলুড় মঠ তৈরি হওয়ার পর থেকেই হাঁপানির কষ্টে বুকে বালিশ দিয়ে কোনওরকমে বসে মঠের নিয়মাবলী লিখছেন। কিন্তু তার মধ্যেও কেমন যেন ছাড়া ছাড়া ভাব। চিরকাল গুরুপ্রদত্ত দায়িত্বের গুরুভার বহন করেছেন। শেষজীবনে দেশে ফিরে মনে হল দুঃখী মায়ের জন্য কিছু করা আবশ্যক। তিনি মা’কে নিয়ে সদলবলে চললেন পূর্ববঙ্গে। শরীর তখনই খারাপ। ঢাকায় এক সহানুভূতিশীল ব্যক্তি তাঁকে দেখে বললেন, ‘স্বামীজি, আপনার শরীর এত তাড়াতাড়ি ভেঙে গেল, আগে থেকে যত্ন নেননি কেন?’ স্বামীজি বললেন, ‘আমেরিকায় আমার শরীরবোধই ছিল না!’ কিছুদিনের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম হয়ে কামাখ্যার মন্দির। তারপর শিলং, সেখানে ভক্তদের অনুরোধে কুইন্টন হলে একটি বক্তৃতার আয়োজন করা হল। সেই বক্তৃতার পর আরও অসুস্থ হয়ে পড়লেন স্বামীজি। উদ্বিগ্ন কেউ প্রবল কষ্ট পাওয়া মানুষটিকে সহানুভূতি জানালে স্পষ্ট উত্তর এল, ‘এই শরীর চলে গেলে ক্ষতি কি? যা দিয়ে গেলাম, তা দেড় হাজার বছরের খোরাক!’
বাংলাদেশ ও শিলং থেকে ফিরে প্রায় সাত মাস বেলুড় মঠে ছিলেন স্বামীজি। কখনও জুতো পরে, কখনও চটি বা খালি পায়ে ঘুরে বেড়াতেন মঠ চত্বরে। তখন তাঁর পোষ্য হয়েছে অনেকগুলো। হাঁস, কুকুর, ছাগল, সারস, হরিণও ছিল তার মধ্যে। স্বামী ব্রহ্মানন্দের উপর মঠে তরকারি ও ফুলের বাগান তৈরির ভার ছিল। স্বামীজির পোষ্য ছাগল সেই বাগানে প্রবেশ করলেই তিনি আপত্তি করতেন। স্বামীজি পোষ্যদের পক্ষ নিয়ে এমন বলতেন, যেন গাছ নষ্ট করে কোনও দোষই করেনি তারা। দুই মহাযোগীর শিশুসুলভ আচরণে সকলেই মুগ্ধ হতেন। এ সবই ছিল স্বামীজির সমাধিমগ্ন মনকে নীচে নামিয়ে রাখার প্রচেষ্টা।
দক্ষিণেশ্বরে বসে শ্রীরামকৃষ্ণ একদিন তাঁর অন্য যুবক সন্তানদের বলেছিলেন, ‘নরেন যখন নিজেকে চিনবে তখন আর এ জগতে থাকবে না!’ ঠাকুরের সেই কথা স্মরণে ছিল সকলেরই। তাই তাঁরা কখনও স্বামীজির স্বরূপ নিয়ে কোনও কথা বলতেন না। একদিন ধ্যানঘরে হাসিঠাট্টার ছলে কেউ জিজ্ঞাসা করেন, ‘নরেন ভাই, তুমি কি এখন নিজেকে চিনতে পারছ?’ সকলকে হতচকিত করে উত্তর এল, ‘হ্যাঁ, পাচ্ছি!’ মুহূর্তে পরিবেশ বদলে গেল! সকলের মনে আতঙ্ক, তবে কি নরেন দেহত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? কেউ আর টুঁ শব্দটি করলেন না। যোগী যে প্রস্তুত, তাঁর ইঙ্গিত অনেকেই পাচ্ছিলেন। কারণ, স্বামীজি বারংবার বলছিলেন, ‘তোরা সব বুঝে নে! আমি আর কতদিন!’ নরেন্দ্রনাথের মন তখন শ্রীরামকৃষ্ণমুখী। 
স্বামীজি কোনও দেবতার কাছে সহজে মাথা নোয়াতেন না। সেই কারণে ঠাকুর একদিন সন্দেশের মধ্যে জগন্নাথের প্রসাদ ভরে খাইয়ে দেন! অন্য সময় স্বামীজি কিছু মন্তব্য করতেন, সেদিন করলেন না! নীরবে দুজনে মঠে ফিরে এলেন। একদিন আহিরীটোলা থেকে নৌকায় মঠে ফিরছেন, সঙ্গে শিষ্য শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তী! তিনি হঠাত্‌ স্বামীজির কাছে ঠাকুর কী বলতেন, জানতে চাইলেন। তিনি হেসে বললেন, ‘আমি তাঁর দৈত্যদানোদের মধ্যে কেউ একটা হব! তাঁর সামনেই তাঁকে কখনও কখনও গালমন্দ করতুম!’ হঠাৎ গম্ভীর হয়ে অস্ফুট স্বরে গান ধরলেন তিনি,
‘(কেবল) আশার আশা ভবে আসা, আসামাত্র হল।
এখন সন্ধ্যেবেলা ঘরের ছেলে ঘরে নিয়ে চল।’
ঘরে ফেরার তাড়া বড় বেশি হয়ে উঠেছিল। নিবেদিতাকে ২৯ জুন বলেন, তাঁর মধ্যে বিরাট তপস্যার ভাব জেগে উঠছে। স্বামীজি বুঝেছিলেন যে, দিন ফুরিয়ে আসছে! ঢাকায় বক্তৃতার পর বলেছিলেন, ‘আমি বড়জোর এক বছর আছি!’ বেলুড় মঠে একথা শুনে একজন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘যাবেন কেন?’ উত্তর দিয়েছিলেন, ‘বড় গাছের ছায়া ছোট গাছগুলোকে বাড়তে দেয় না, তাদের জায়গা করে দেবার জন্য আমাকে যেতেই হবে!’  দেহত্যাগের কিছুদিন আগে স্বামী শুদ্ধানন্দের থেকে একটি পঞ্জিকা চেয়ে নিলেন। নিবিষ্ট মনে দেখছিলেন। মনে হচ্ছিল, কোনও শুভদিনের খোঁজ করছেন। মহাসমাধির পরে সকলের মনে হয়েছিল শ্রীরামকৃষ্ণও ঠিক এমনই করেছিলেন। মহাসমাধির তিনদিন আগে মঠে  ঘুরে বেড়ানোর সময় হঠাত্‌ বিল্ববৃক্ষের পাশের সবুজ তৃণে আচ্ছাদিত জায়গাটি দেখিয়ে  বলেছিলেন, ‘আমার দেহ গেলে ওইখানে সত্‌কার করবি!’ জুন মাস থেকেই জাগতিক খবরে স্বামীজির অনীহা সকলের চোখে পড়ল। একজনকে স্পষ্ট বললেন, ‘আমি মৃত্যুর জন্য তৈরি হচ্ছি।’ আর মৃত্যুর দিন? স্বামী প্রেমানন্দ শুনলেন ঠাকুর ঘর থেকে নামতে নামতে অস্ফুট স্বরে তিনি বলছেন, ‘আরেকটা বিবেকানন্দ এলে বুঝত, এ বিবেকানন্দ কী করে গেল!’ ৪ জুলাই তাঁর শরীর সকাল থেকে বেশ ভালো ছিল। সেদিন মঠে ইলিশ মাছ রান্না হয়েছিল। তার আগেই একাদশীর দিন দুধ আর কাঠালের বিচি সেদ্ধ খেয়ে খিদে চাগাড় দিয়েছে। ইলিশ মাছের নানা পদ তৃপ্তি সহকারে খেয়ে ঠাট্টা করেছিলেন স্বামীজি, ‘একাদশীর পর খিদেটা বড় চাগাড় দিয়ে উঠেছিল, ঘটিবাটিগুলো খুব কষ্টে ছাড়লুম!’ বিকেলে অনেকটা পথ হেঁটে সন্ধ্যায় নিজের ঘরে জপে বসলেন। একঘণ্টা পর সেবারত ব্রহ্মাচারীকে বাতাস করতে বলে শুয়ে পড়লেন। হাতে তখনও জপের মালা! বাঁ-পাশ থেকে দক্ষিণ পাশে ফিরলেন। মুখে অস্ফুট শব্দের সঙ্গে সঙ্গে মাথা এলিয়ে পড়ল বালিশে। মহাযোগী মহাধ্যানে প্রবেশ করলেন। চোখদু’টি অর্ধমুদিত। অর্ধখোলা সাদা অংশ থেকে যেন জ্যোতি বের হচ্ছে। সেই রাতে ভগিনী নিবেদিতা স্বপ্ন দেখলেন, শ্রীরামকৃষ্ণ আবার দেহত্যাগ করেছেন। ঘুম ভাঙল দরজায় প্রবল করাঘাতের শব্দে। দরজা খুলে দেখলেন মঠ থেকে স্বামী সারদানন্দ চিঠি পাঠিয়েছেন, ‘কাল রাতে স্বামীজি ঘুমিয়ে পড়েছেন, সেই ঘুম থেকে তিনি আর কোনওদিন উঠবেন না!’ আমেরিকার স্বাধীনতা প্রাপ্তির দিনে জগত থেকে বিদায় নিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। তবে তাঁর জাগ্রত বিবেক এখনও আমাদের প্রাণিত করে। গভীর প্রাণের মর্মস্থলে!
30th  June, 2024
স্বামীজির মৃত্যু ও এক বিদ্রোহের জন্ম
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

মশালটা জ্বলছে। মৃত্যুহীন প্রাণের আঁচ অনুভূত বাংলার মনে। তিনি চলে গেলেন নিঃশব্দে। তবু মশালটা জ্বলছে সংস্পর্শীদের হৃদয়তন্ত্রে। দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মেঘরাশি নিজেই সরিয়ে দিয়ে গিয়েছেন স্বামী বিবেকানন্দ। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে বেলুড়মঠে কামাখ্যা মিত্রকে বলেছিলেন ‘ভারতের আজ বোমার প্রয়োজন!’ বিশদ

30th  June, 2024
দাঁড়াও, পথিক-বর

হিন্দু না খ্রিস্টান—ধর্মীয় টানাপোড়েনে দেড় দিন মাইকেল মধুসূদন দত্তের নিথর দেহ পড়ে ছিল মর্গে! কবির মৃতদেহের দায়িত্ব নিতে রাজি ছিল না কেউ। কেন এমনটা হয়েছিল? লিখছেন অনিরুদ্ধ সরকার বিশদ

23rd  June, 2024
মাইকেলের সমাধি

কলকাতার কোলাহলমুখর অন্যতম ব্যস্ত মল্লিকবাজার মোড়। তার একটু আগেই শিয়ালদহ থেকে আসার পথে বাঁদিকে কলকাতার লোয়ার সার্কুলার রোড সেমেট্রি। গেট পার হলেই সোজা কিছুটা এগিয়ে ডান দিকে তাকালেই দেখা যাবে লেখা রয়েছে ‘মধু বিশ্রাম পথ’। বিশদ

23rd  June, 2024
বিস্মৃত বিপ্লবীর সন্ধানে

স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে বিপ্লবগুরু যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে নিরালম্ব স্বামী ও তাঁর চান্না আশ্রম। ইতিহাসের সেই অধ্যায় ছুঁয়ে এসে স্মৃতি উজাড় করলেন সৈকত নিয়োগী। বিশদ

16th  June, 2024
কোথায় বিপ্লব? কখন বিপ্লব?

পাথরের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ সন্ন্যাসীর। খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির ঘরে বসে আনমনা হয়ে মেঝেতে একটা বুলেট ঠুকছেন। পাশে ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রিভলভারের যন্ত্রাংশ। উল্টোদিকে মোড়ায় বসে এক যুবক ক্রমাগত তাঁকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছেন। বিশদ

16th  June, 2024
জামাইবাবু জিন্দাবাদ
কৌশিক মজুমদার

সে অনেককাল আগের কথা। এক পরিবারে দুই বউ ছিল। ছোট বউটি ছিল খুব লোভী। বাড়িতে মাছ কিংবা অন্য ভালো খাবার রান্না হলেই সে লুকিয়ে লুকিয়ে খেয়ে নিত আর শাশুড়ির কাছে গিয়ে বলত ‘সব ওই কালো বেড়ালটা খেয়ে নিয়েছে।’ বিড়াল মা-ষষ্ঠীর বাহন। বিশদ

09th  June, 2024
আদরের অত্যাচার
কলহার মুখোপাধ্যায়

মাছের মুড়ো মনে হচ্ছে হাঁ করে গিলতে আসছে। পাক্কা সাড়ে তিন কেজির কাতলা। জল থেকে তোলার পরও দু’মিনিট ছটফট করেছিল। এক-একটি পিস প্রায় ২৫০ গ্রামের। তেল গড়গড়ে কালিয়া হয়েছে। পাশে কাঁসার জামবাটিতে খাসির মাংস। সব পিসে চর্বি থকথক করছে। বিশদ

09th  June, 2024
ঝড়ের  ঠিকানা

কখনও আইলার মতো সরাসরি, কখনও বা রেমালের ‘লেজের ঝাপ্টা’—প্রায় প্রতি বছরই বর্ষার আগে বাংলায় আঘাত হানছে একের পর এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। একটার ক্ষত শুকোতে না শুকোতে আবার একটার তাণ্ডব। ব্যস, যাবতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার ব্যবস্থাপনা, পুনর্বাসন ও উন্নয়ন ধুয়েমুছে সাফ! শুধু জেগে থাকছে আতঙ্ক জাগানো একটা শব্দ, ‘সাইক্লোন’।
বিশদ

02nd  June, 2024
সবহারাদের কথা

সালটা ২০০৯। ২৬ মে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় আইলা। তছনছ হয়ে গিয়েছিল পাথরপ্রতিমা ব্লকের উত্তর গোপালনগর গ্রাম। গোবোদিয়া নদীবাঁধ ভেঙে সুন্দরবনের মধ্যে প্রথম প্লাবিত হয়েছিল এই গ্রামই। কোমরসমান জলের মধ্যে দাঁড়িয়েই শুরু হয় জীবনের লড়াই। সেই কথা মনে পড়লে আঁতকে ওঠেন স্থানীয়রা।
বিশদ

02nd  June, 2024
বাস্তবের সাইবর্গরা
কল্যাণ কুমার দে

মেরিন কর্পে কাজ করতেন ক্লডিয়া মিশেল। মোটরবাইক দুর্ঘটনায় একটি হাত হারিয়ে ফেলেন। সেখানে স্থাপন করা হয় একটি বায়োনিক হাত। সেটিকে যুক্ত করা হয় শরীরের নার্ভাস সিস্টেম বা স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে। এখন এই যান্ত্রিক হাতে তিনি এতটাই সাবলীল যে ফলের খোসা ছাড়াতেও কোনও অসুবিধা হয় না। বিশদ

26th  May, 2024
টেলিপ্যাথির ১০০ দিন

টেলিপ্যাথির দাম নাকি ৮ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা! ইলন মাস্ক অবশ্য এখনও প্রাইসট্যাগ লাগাননি। কিন্তু তাঁর সংস্থার যুগান্তকারী আবিষ্কার নিউরালিঙ্ক বা এনওয়ান চিপ মস্তিষ্কে বসাতে এতটাই খরচ হতে পারে বলে সংবাদমাধ্যমের দাবি। সঙ্গে রয়েছে আনুষঙ্গিক বিমা, ৩৩ লক্ষ ২৪ হাজার টাকার। বিশদ

26th  May, 2024
এসো কালবৈশাখী

বৈশাখ শেষের তামাটে বিকেলেই ধেয়ে আসে সর্বনাশী মেঘ। সব লন্ডভন্ড করে দেওয়া সেই ঝড়ের স্মৃতি ও একটুকরো ইতিহাস লিখলেন কৌশিক মজুমদার বিশদ

19th  May, 2024
সেকালের কলকাতার ঝড়বৃষ্টি

‘মনে হচ্ছে দুনিয়া ভাসিয়ে দেবার জন্য স্বর্গের জানলাগুলো খুলে গেছে। ভয়ানক বাজ আর তীব্র বিদ্যুৎ। ইউরোপে এমন বাজের আওয়াজ কোনওদিন শুনিনি। সেখানে বৃষ্টি মানে নেহাত আনন্দ। ঝড় আর বাজের এমন রূপ কেউ চিন্তাও করতে পারে না!’ লিখেছিলেন ফ্যানি পার্কস। বিশদ

19th  May, 2024
রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দের সংগ্রাম
পূর্বা সেনগুপ্ত

বুদ্ধের সেবা আর খ্রিস্টান মিশনারীদের সেবা—দুই সঙ্ঘবদ্ধ সন্ন্যাসীদের অভিজ্ঞতা মিশিয়ে স্থাপিত হয় রামকৃষ্ণ মিশন। বিশদ

12th  May, 2024
একনজরে
কালিম্পংয়ে ধস ও নদী ভাঙনে বিধ্বস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বুধবার নতুন করে ধস না নামলেও সংশ্লিষ্ট রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করেনি। ...

১৫ দিনে সাতবার! ফের বিহারে সেতু বিপর্যয়। এবারের ঘটনাস্থল সিওয়ান জেলা। জেলায় কয়েকদিন আগেই ভেঙে পড়েছিল একটি ব্রিজ। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই বুধবার ভোরে ...

লো ভোল্টেজের সমস্যার মাঝে আচমকাই ভোল্টেজ হাই হয়ে যাওয়ায় প্রায় দুশো পরিবারের কয়েক লক্ষ টাকার বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম পুড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতে সাগরদিঘি থানার বালিয়া পঞ্চায়েতের নয়নডাঙা গ্রামে রাতে এই ঘটনা ঘটে। ...

শ্যামপুরের প্রিয়ঞ্জনা জানা, উদয়নারায়ণপুরের সুস্মিতা দেবনাথের পর এবার আমতার খড়িয়পের তৃষা মান্না। সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডে জাতীয় স্তরের এক যোগাসন প্রতিযোগিতায় সোনার পদক জিতে এনেছে আমতার খড়িয়প ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৭৬: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতা লাভ করে
১৭৭৬: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতির পিতা বলে স্বীকৃতি পান জর্জ ওয়াশিংটন 
১৮১৭: স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তক রচনার জন্য কলকাতায় ক্যালকাটা স্কুল-বুক সোসাইটি গঠিত হয়
১৮২৮: উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক বাংলার গভর্নর জেনারেল পদে নিযুক্ত হন
১৮২৯: লন্ডনে প্রথম বাস চলাচল শুরু
১৮৮১: শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং-এর মধ্যে প্রথম টয়ট্রেন চলাচল শুরু হয়
১৮৮৬: ফ্রান্সের জনগণ যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে স্ট্যাচু অফ লিবার্টি উপহার দেয়
১৯০২: স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ
১৯০৪: পানামা খালের খনন কাজ শুরু হয়
১৯৩৪: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মেরি কুরির মৃত্যু
১৯৪৩: সিঙ্গাপুরের ক্যাথে সিনেমা হলে সুভাষচন্দ্র বসু রাসবিহারী বসুর কাছ থেকে ভারতীয় স্বাধীনতা লীগ ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন
১৯৪৪ - সুভাষচন্দ্র বসুর বর্মাতে স্মরণীয় আহ্বান তোমরা আমাকে রক্ত দাও,আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব
১৯৬৩: স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং ভারতের জাতীয় পতাকার নকশাকার পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার মৃত্যু
১৯৬৮: টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির জন্ম
১৯৭২: পুনরায় দুই কোরিয়া একত্রী করণের লক্ষ্যে প্রথমবার সরকারিভাবে যৌথ ঘোষণা করা হয়
১৯৮৭: প্রথম পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৩০০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন ইমরান খান
২০২২: বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক তরুণ মজুমদারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭০ টাকা ৮৪.৪৪ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৯ টাকা ১০৭.৭৫ টাকা
ইউরো ৮৮.২৩ টাকা ৯১.৩৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ আষাঢ়, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪।  ত্রয়োদশী ২/১৮ প্রাতঃ ৫/৫৫ পরে চতুর্দশী ৫৯/৫৫ শেষরাত্রি ৪/৫৮। মৃগশিরা নক্ষত্র ৫৭/১৮ রাত্রি ৩/৫৫। সূর্যোদয় ৫/০/২৭, সূর্যাস্ত ৬/২১/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৪ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/২ গতে ২/১০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৫ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৫৩ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/১৪ মধ্যে। বারবেলা ৩/১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪১ গতে ১/১ মধ্যে। 
১৯ আষাঢ়, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪।  ত্রয়োদশী প্রাতঃ ৫/৩৮ পরে চতুর্দশী শেষরাত্রি ৪/৩৮। মৃগশিরা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/২১। সূর্যোদয় ৫/০, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/১২ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১১/১৬ মধ্যে। কালবেলা ৩/৩ গতে ৬/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪২ গতে ১/১ মধ্যে।  
২৭ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ঝাড়খণ্ডে আগামী ৮ জুলাই বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে আস্থা ভোট

08:03:14 PM

মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্ট থেকে শুরু টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের ভিক্ট্রি প্যারেড

07:55:00 PM

শিক্ষা দপ্তরের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য সুখবর
রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের অধীনে থাকা চুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য ...বিশদ

07:35:19 PM

মেরিন ড্রাইভে ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক রাখতে মুম্বইয়ের পুলিস কমিশনারকে নির্দেশ দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে

07:17:32 PM

মুম্বই বিমানবন্দরে ট্রফি হাতে হার্দিক পান্ডিয়া

06:49:35 PM

মুম্বই বিমানবন্দরে পৌঁছল টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দল

06:35:34 PM